ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে

জনগণও তাই চায়
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে

আগামী সাধারণ নির্বাচন হবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। নির্বাচন কমিশনকে সব ক্ষমতা দেয়া আছে। তারাই একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত করবে। এই নির্বাচনে কমিশনকে সর্বোচ্চভাবে সহযোগিতা করবে সরকার। নির্বাচনে জনগণ ইচ্ছামতো ভোট দেবে। তাতে যদি বিজয় হতে না পারে, তবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ জনতার কাতারে চলে যাবে এবং সেখানে থেকেই দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করে যাবে। গতকাল জাতির উদ্দেশে এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সঙ্গে জনগণও একমত। কেননা, জনগণও তাই চায়। জনগণের মনের কথাই ব্যক্ত করেছেন জনগণের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নির্বাচন নিয়ে নানা কথা বলে বেড়াচ্ছে বিরোধীরা। তারা তো এই সরকারের অধীনে নির্বাচনই করবে না এবং কোনো নির্বাচন হতেও দেবে না। সুখের কথা যে, বিরোধীদের এমন মন্তব্য ও তৎপরতা দীর্ঘদিন ধরে চলে এলেও এখন পর্যন্ত অধিকাংশ মানুষ তাদের কথা বিশ্বাস করছে না। এ জন্য তাদের আন্দোলনেও শরিক হচ্ছে না। কেননা, জনগণ বিশ্বাসই করতে পারে না যে, এই সরকারকে হটিয়ে কেউ নতুন সরকারের অধীনে নির্বাচন করাতে পারবে। এর পরও বিরোধীরা বলছে, এই সরকারের অধীনে তারা নির্বাচন করবেও না, নির্বাচন হতেও দেবে না। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে জনগণ আরও নিশ্চিত হয়ে গেছে যে, এই সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে এবং সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। এবং এই অবাধ নির্বাচনে সব দলই অংশ নেবে। কেউ যদি না নেয়, তাহলে ধরে নিতে হবে, সেটা সেই দলের নিজস্ব ব্যাপার। হয়তো নির্বাচনে ভরাডুবি হওয়ার ভয়েই তারা নির্বাচন থেকে দূরে থাকতে পারে।

বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সরকার। এই দলের নেতৃত্বেই দেশ স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তারই কন্যা শেখ হাসিনা এখন আওয়ামী লীগের প্রধান। তিনিই নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী। এমন একটি দল এবং যার নেতৃত্বে আছেন শেখ হাসিনা, তাদের কাছ থকে দেশ ও জাতি কোনো কিছু থেকে বঞ্চিত হবে- তা কেউ কল্পনাও করতে পারে না। একটানা ১৪ বছরে দলটির সরকার অনেক কিছুই করেছে। একটি স্বাধীন দেশের গণতান্ত্রিক সরকার যা কিছু করতে পারে, তার সব কিছুই করেছে এই সরকার এবং ভবিষ্যতে কী কী করবে, তার একটি নকশাও প্রণয়ন করেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে সরকার।

আমরা আশা করব, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত। সেই গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী করতে সব রাজনৈতিক দলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। জনগণ কার সঙ্গে আছে, কতজন আছে- তার মাপকাঠি হলো নির্বাচন। নির্বাচন ছাড়া জনপ্রিয়তা যাচাই করা যায় না। সুতরাং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। অথচ সেই নির্বাচন না করে, অন্য কোনো পথে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে একটি দল, যার সঙ্গে স্বাধীনতা বিরোধীদের যোগাযোগ দীর্ঘদিনের। তারাই কি তাদের নির্বাচনে অংশ নিতে নিষেধ করছে? হতে পারে। এমন অনেক খেলাই তো হয়ে থাকে।

আমরা বিশ্বাস করি, তারা যদি এমন খেলা খেলে থাকে, ব্যর্থ হবে এবং গণতন্ত্রের প্রতি যাদের শ্রদ্ধা আছে, তারা সফল হবে। এরই ফল স্বরূপ, আগামী সাধারণ নির্বাচন এই সরকারের অধীনেই হবে এবং তা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত