ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জনস্বার্থ ও জনস্বাস্থ্য

আফতাব চৌধুরী, সাংবাদিক ও কলামিস্ট, বৃক্ষরোপণে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত
জনস্বার্থ ও জনস্বাস্থ্য

চাইলেও আজ ক্লিনিক্যাল মেডিসিন প্র্যাকটিস করতে পারবেন না কোনো চিকিৎসক। অর্থাৎ, শুধু নিজের হাত, চোখ, নাক, কানের সাহায্যে রোগীকে পরীক্ষা করে, অধ্যয়নরত জ্ঞানের সঙ্গে মিলিয়ে আর অভিজ্ঞতালব্ধ ষষ্ঠেন্দ্রিয়ের পরামর্শ মেনে রোগীর চিকিৎসা আজ আর সম্ভব নয়। কোনো রোগীও আর পেতে পারবেন না এরকম চিকিৎসা। এভিডেন্স বেইজড মেডিসিনের যুগে প্রতিটি অনু সিদ্ধান্তের সমর্থনে তথ্য জমা করতে হয়। এই তথ্যভিত্তিক বৈজ্ঞানিক চিকিৎসার অনেক ভালো দিক আছে। কীভাবে মূলত সেসব ভালো দিকের কারণেই এই পদ্ধতি অপরিহার্য ও অবশ্য মানা হয়ে উঠেছে, তা আলোচিত হয়েছে আগে। আলোচিত হয়েছে কেমনভাবে যুক্তির দেয়ালে থেকে যায় বড়সড় ফাটল, বিজ্ঞানমনস্কতা ব্যবহারিক ক্ষেত্রে অনেক সময়ই হয়ে দাঁড়ায় বিজ্ঞানে ভক্তি বা বিশ্বাস, কীভাবে উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে চিকিৎসার উন্নতি হয় এবং পাশাপাশি হতে থাকে ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ- এসব নানা বিষয়। এবার দেখতে চেষ্টা করব এভিডেন্স বেড মেডিসিনের সঙ্গে চিকিৎসার ব্যয়বৃদ্ধির সরাসরি সম্পর্কটা কেমন। এই বাণিজ্যিক সম্পর্কটা বিজ্ঞানের কাজে গড়ে উঠলেও তা শুধু বিজ্ঞানের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় না আসলে। পর্দার পেছন থেকে ক্ষমতার সুতো হাতে ধরে থাকে বাণিজ্যিক স্বার্থ, রাজনীতি ও আইন। সুতোর টানে তারা নাচায় রোগী ও চিকিৎসক নামক পুতুলদের। নাচের ঘোরে মাঝেমাঝে মাথা ঠুকে যায় পরস্পরের। গোলোযোগ হয়। উভয় গোত্রের পুতুল তখন সে সব ঠোকাঠুকি ও চোট-আঘাত নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। নিজেরা অজান্তে নৃত্যনাট্যের স্ব-ইচ্ছাহীন কুশীলব হয়ে যাওয়ায় কেউ আর খেয়াল করে না শ্রীবৃদ্ধির লক্ষ্যে। বাণিজ্যে একদা বাস করতেন লক্ষ্মী। প্রতীকীভাবে তার কিছু মঙ্গলময় দিক ছিল। আজ বাস করেন কুবের। তিনি শুধু অনন্ত সঞ্চয় করতে জানেন। এমনকি চিকিৎসা-বাণিজ্য প্রযুক্তির সাহায্যে চিকিৎসা করে না যে সমগ্র পুতুলনাচটি! পরিকল্পিত হয়েছে বাণিজ্য থেকেও মঙ্গলময়তা ক্রমেই মুছে যাচ্ছে।

দীর্ঘ বৈজ্ঞানিক মগজধোলাইর সাহায্যে আমাদের প্রজন্ম ও পরবর্তী প্রজন্মের চিকিৎসকদের মনে কয়েকটি বিশ্বাসকে গেঁথে দেওয়া গেছে অজ্ঞাতে। যেমন, আমাদের বুদ্ধি-বিবেচনা, জ্ঞান বা অভিজ্ঞতা তেমন নির্ভরযোগ্য নয়। তার চেয়ে অনেক বেশি দামি নির্দিষ্ট কিছু জার্নালের গবেষণাপত্রে প্রকাশিত কিছু তথ্য। যদি আমাদের প্রাত্যহিক অভিজ্ঞতার সঙ্গে সেগুলো না মিলে, তা হলে আমাদের অভিজ্ঞতা বা বোঝার মধ্যেই ভুল আছে।

দ্বিতীয়ত, এভিডেন্স বা প্রমাণ বলতেও সেটাই প্রামাণ্য, যার কথা নির্দিষ্ট কিছু গবেষণাপত্রে প্রকাশিত। এভিডেন্স হিসেবে তা প্রতিষ্ঠা পেয়েছে সংখ্যাতত্ত্বের বিচারে, যাদের ওপর গবেষণা করা হয়েছে, তারা সবাই সমগোত্রীয় কি-না, আমেরিকার গবেষণার ফলাফল অন্য দেশে প্রযোজ্য কি-না, সংখ্যাতাত্ত্বিক ‘অপর’ হিসাবে বাইরে থেকে যাচ্ছে, যেসব মানুষ অর্থাৎ গবেষণায় যাদের ফল সংখ্যাগরিষ্ঠের অনুরূপ হয়নি তাদের কী হবে- ইত্যাদি প্রশ্ন তাকে তুলে রেখেই কাজ করতে হবে। নিজের রোগীর চিকিৎসা করার সময় খুঁজে বের করতে হবে এমন সব প্রমাণ, যা ওই প্রামাণ্য শাস্ত্র-প্রমাণের সঙ্গে মেলে। কী সেই প্রমাণ? চিকিৎসক রোগীকে নিজে পরীক্ষা করে, যা আইডিয়া করেছেন তাকে সরাসরি ত্যাজ্য বলে না দিলেও বিচারের লগ্নে সেগুলোকে নাক কুঁচকে সরিয়ে রাখাই দস্তুর। এভাবে চিকিৎসকের আত্মবিশ্বাস নিয়মিতভাবে ভেঙে দেওয়া হয়, বিশেষত বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোতে, যেসব দেশকে সম্ভাবনাময় বাজার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এভাবে প্রমাণ সংগৃহীত হবে কীভাবে? কোনো যন্ত্রের মাধ্যমে সংগৃহীত প্রমাণই শ্রেষ্ঠ, কারণ মানুষ মাত্রেই ভুল করে এবং যন্ত্র মাত্রেই নির্ভুল। না, ভুল বললাম। কোনো নির্দিষ্ট কাজের জন্য নতুন মডেলের উন্নততর যন্ত্র বেরিয়ে পড়লে জানা যায় যে পুরোনো যন্ত্র এতদিন ভুল বলছিল; কিন্তু নতুনটি অভ্রান্ত। সুতরাং এ মুহূর্তে বাজারজাত সর্বাধুনিক যন্ত্রটির বলে দেওয়া ‘রিপোর্ট’ থেকেই প্রমাণ সংগ্রহ করতে হবে। কিছু ক্ষেত্রে প্রমাণ সংগ্রহ করতে কাল ঘাম ছুটে যাবে এবং রোগীর পকেট গড়ের মাঠ হয়ে যাবে; কিন্তু চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এমনকি বেশ কিছু ক্ষেত্রে প্রমাণ সংগ্রহ না করে চিকিৎসা শুরু করাও আইনত বিপজ্জনক। চিকিৎসক হিসেবে কেউ যদি রোগীর অর্থাভাব ইত্যাদির কথা ভেবে সংক্ষিপ্ততর ও সস্তা পথ অবলম্বনের চেষ্টা করেন, তবে তাঁর জন্য আছে কঠোর শাস্তির বিধান, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ সেই পথে পা বাড়াতে সাহস না করেন।

এভিডেন্সের এই চরিত্রের কারণেই আমরা মেনে নিতে বাধ্য যে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিসের মতো ঘরে ঘরে বেড়ে চলা রোগগুলোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে আধুনিক দামি ওষুধগুলোর ‘সুবিধা’ রোগীদের না দেওয়া এক ধরনের বৈজ্ঞানিক অপরাধ ও রোগীর প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা। হয়তো পুরোনো ও নতুন ওষুধে রক্তচাপ বা রক্তের শর্করার মাত্রা প্রায় একই রকম যায়; কিন্তু নতুন ওষুধে আছে এমন কিছু বাড়তি সুবিধা যাতে পরবর্তী ১০ বছরের মারা যাওয়ার সম্ভাবনা প্রায় আড়াই বা তিন শতাংশ কমে যায়। তার জন্য খরচ বৃদ্ধি দিনে মাত্র দেড়-দুইশ টাকা। ১০ বছরে লাখ পাঁচেক টাকার বিনিময়ে আড়াই শতাংশ বাড়তি বাঁচার সম্ভাবনা সব রোগীর সামনে উন্মুক্ত করে দেওয়া চিকিৎসকের অবশ্য কর্তব্য।

একটা ভুল বোঝার সম্ভাবনাকে নাশ করা দরকার। এমন নয় যে, পরীক্ষাগুলো ভালো নয়।

ওগুলো ভালো। কিছু মানুষের জন্য জীবনদায়ী। এটা বিজ্ঞানের বিজয়। সমস্যা হলো প্রায় সর্বত্র নতুনতম ওষুধ প্রয়োগ করার জন্য চিকিৎসকদের ওপর যে প্রবল বৈজ্ঞানিক চাপ সৃষ্টি করা হয়, তা বিশুদ্ধ বিজ্ঞান নয়। সায়েন্টিফিক কমার্স বলা যায়। আমেরিকান ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশনের মতো মান্য এবং ক্ষমতাধর সংস্থারা যখন সংশ্লিষ্ট রোগের চিকিৎসার গাইডলাইন তৈরির সময় এই চাপ সৃষ্টির খেলায় হাত মেলায় এবং আদালত যখন দেশকাল ভুলে ওইসব নির্দেশ মানা বা না মানাকেই এ দেশের চিকিৎসকের কাজের গুণগত নিক্তি মনে করে, তখন সাধারণ চিকিৎসকের আর উপায় থাকে না সাধারণ হয়ে সাধারণের পাশে এসে দাঁড়ানোর।

চিকিৎসার খরচ বৃদ্ধির সবচেয়ে বড় ক্ষেত্রগুলোর একটা হলো ‘ইনটেনসিভ কেয়ার’ বা ‘ক্রিটিক্যাল কেয়ার’। সবচেয়ে বেশি অশান্তির জায়গাও এটাই। গত অর্ধশতক সময়ে এই ক্ষেত্রটিতে অভাবনীয় বৈজ্ঞানিক উন্নতি হয়েছে। সেই উন্নতিকে কাজে লাগিয়ে বোনা হয়েছে স্বপ্নের মায়াজাল। প্রতিটি বড় হাসপাতালে এখন আইসিউ ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট বা আইটিইউ-ইনটেনসিভ থেরাপিউটিক ইউনিট নামে এক বা একাধিক ওয়ার্ড আছে। নানা আধুনিক যন্ত্রের সমাহারে এক অতি জাগতিক পরিবেশ। এই ওয়ার্ডগুলোতে ভর্তি হন অতি জটিল পরিস্থিতিতে থাকা, প্রায়শ মৃত্যুর মুখোমুখি থাকা রোগীরা। বহু বয়স্ক ও গুরুতর অসুস্থ রোগীর শরীরে জটিল অপারেশন করা হয় এই ইউনিটগুলোর ভরসায়, যা আগে সম্ভব হতো না।

বস্তুত, মৃত্যুপথযাত্রী অনেক মানুষ বেঁচেও যান এই উন্নত চিকিৎসার সৌজন্যে। তা সত্ত্বেও কী আইটিইউ, আইসিইউ, সিসিইউগুলো নিত্য বিবিধ সমালোচনা ও আক্রমণের মুখোমুখি? অনেকে বলেন, বিক্ষোভ এই যুগের ও সমাজের বৈশিষ্ট্য। আমাদের ধারণা, সেটা যথেষ্ট ব্যাখ্যা নয়। এই বিশেষ পরিষেবার অগ্নিমূল্য এবং পরিষেবাটিকে জনপ্রিয় করার জন্য বেসরকারি হাসপাতালগুলোর তরফে রূপকথার মতো স্বপ্ন ফেরি করার কৌশল এজন্য অনেকাংশে দায়ী। এই বিষয়গুলো সব পক্ষেরই বোঝা প্রয়োজন। বস্তুত উন্নত ‘কাটিং এজ’ চিকিৎসার অর্থনৈতিক সমস্যার মডেল হিসেবে ক্রিটিক্যাল। কেয়ার নিয়ে দু-এক কথা বলা যায়।

ক্রিটিক্যাল কেয়ারের উন্নতি বা কার্যকারিতার পেছনে কয়েকটি উপাদান কাজ করে। প্রথমটি হলো, বহুল পরিমাণে অতি উন্নত যন্ত্র। একটি-দুটি নয়, বিভিন্ন কাজের জন্য কোটি কোটি টাকা মূল্যের অজস্র যন্ত্র থাকে এক-একটি ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে। হৃৎপিণ্ডের গতি, রক্তচাপ, রক্তের অক্সিজেন ইত্যাদি নানা খুঁটিনাটি ক্রমাগত মাপতে থাকার যন্ত্র ছাড়াও আছে শ্বাসযন্ত্রের কাজ চালানোর, হৃদযন্ত্রের কাজে সাহায্য করার, কিডনির ডায়ালিসিস, লিভার ফেলিয়রের জন্য আলাদা একধরনের ডায়ালিসিস গোত্রের প্রক্রিয়া, প্লাজমাফেরেসিস ইত্যাদি থেকে শুরু করে শরীরের বাইরের রক্ত যন্ত্রকে কৃত্রিমভাবে প্রবাহিত করে বিকল ফুসফুস-হৃদযন্ত্র ইত্যাদি অনেক কিছুর কাজ একসঙ্গে করে দেয়ার মতো যন্ত্রও।

দ্বিতীয়ত, নিত্য ওষুধ। নতুন চেহারায় মারাত্মক হয়ে ওঠা জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়ার নতুন অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়াও অন্য বিভিন্ন রোগের জন্য আবিষ্কৃত হতে থাকা নানাধরনের ওষুধ। তৃতীয়ত, এই ইউনিটগুলোতে কাজ করার জন্য সর্বাধুনিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ান নিয়োগ, তাদের কঠোর পরিশ্রম যা কিছু ক্ষেত্রে অমানুষিক এবং নিয়মিত চলতে থাকা প্রশিক্ষণ যা না করলে তারা বছরখানেকের মধ্যেই পিছিয়ে পড়বেন। এসবের জন্য খরচ নেহাত কম নয়। তার উপর বিনিয়োগকারীর লাভ। সব মিলিয়ে রোগীকে যে মাসুল গুনতে হয়, তা প্রায়ই দিনে চল্লিশ থেকে ষাট হাজার টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করে। ক্ষেত্রবিশেষে আরও বাড়তে পারে। জটিল চিকিৎসার মোট খরচ কেমন হতে পারে? মধ্য ত্রিশের এক মহিলা ফুসফুসের মারাত্মক রোগ নিয়ে ভর্তি হলেন। ওষুধপত্র, ভেন্টিলেটর ইত্যাদি কিছুতেই কাজ হয় না। তার স্বামী সর্বস্ব পণ করে বসলেন। তখন ‘একমো’ নামক অত্যাধুনিক যন্ত্র দিনের পর দিন ব্যবহার করে তাঁকে সুস্থ করে বাড়ি পাঠানো গেল। মোট খরচ পড়ল প্রায় পঞ্চাশ লাখ টাকা। আপনার মেডিক্লেম ইন্স্যুরেন্সের কভারেজ কত?

এই অস্বাভাবিক খরচের পরও সবাই বাঁচবেন, এমন কথা নেই। পদ্ধতিগুলো নির্দিষ্ট, তাদের ক্ষমতাও নির্দিষ্ট, খরচ সেই অনুপাতে, কিন্তু সাফল্য নিশ্চিত নয়, কারণ তা নির্ভর করে রোগ ও রোগীর শরীরের বহুবিধ খুঁটিনাটির ওপর। পঞ্চাশ লাখ টাকা খরচের পর সেই ভদ্রমহিলা যদি না বাঁচতেন, তা হলে তার স্বামীর প্রতিক্রিয়া কী হতো? বলা কঠিন।

কিন্তু ঢাকার একটি হাসপাতালে ষোলো লক্ষ টাকা খরচের পর একটি শিশুকে বাঁচাতে না পারার ফল কী হয়েছিল, তা আমরা জানি।

চিকিৎসা এবং মানবিকতার মাঝে দাঁড়িয়ে যে দেওয়াল, তার নাম বিজ্ঞান। তাই আমাদের মনে হয়, চিকিৎসার উন্নতি সম্পর্কে প্রচারের পাশাপাশি এর সীমাবদ্ধতা সম্বন্ধেও নিয়মিত প্রচার হওয়া উচিত (যা ব্যবসার পরিপন্থি বলে অনেকেই সমর্থন করবেন না)। আসলে গ্রাহকের পরিতৃপ্তি নির্ভর করে প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির সামঞ্জস্য বা পার্থক্যের ওপর। প্রাণপণ পরিষেবা দিয়েও যদি বিক্ষোভ এড়ানো না যায়, তা হলে ভাবতে হবে প্রত্যাশার পারদটা খুব বেশি চড়িয়ে দেওয়া হয়নি তো? বাস্তব হলো বিবিধ জটিল পদ্ধতিতে আমরা প্রাণ বাঁচানোর হার বাড়াতে পেরেছি, ধরা যাক তা আগের তুলনায় দ্বিগুণ হলো। সেটা অর্জন করতে গিয়ে চিকিৎসার খরচ বেড়েছে দশ গুণ আর প্রত্যাশা বেড়েছে শতগুণ। ঝকঝকে হাসপাতালের আইসিইউ থেকেও নিয়মিত কফিন বের হয়, এটাই বাস্তব।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত