চি ঠি প ত্র

বাবা-মাই একমাত্র ভরসা

প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

জীবনে চলার মাঝে বড় শিক্ষক আমাদের বাবা-মা। তবুও অনেক সময় এই শিক্ষকের কদর আমি-আপনি বুঝি না। অনেক সময় বকাবকিও ভুল হয়ে যায়, দীর্ঘ সময় জীবন অতিবাহিত করার পর এখন শিরায় শিরায় উপলব্ধি হয় আল্লাহ যদি বাবা-মায়ের মায়াটা সৃষ্টি না করলে এই কলুষিত ও বিষাক্ত দুনিয়ায় এক মিনিট দম নিতেও কষ্ট হতো। মানুষের দাম শুনেছি মানুষের কাছেই পাওয়া যায়, বাস্তব অর্থে মানুষের ওপর মানুষ থেকে পশু-পাখিরাই বেশি ভালোবাসতে জানে, একটু চর্চা করে দেখলে তা সহজেই বোঝা যায়। প্রকৃত বাবা-মায়ের ছায়া না পেলে এই জগৎটি বুঝতে কতটা কঠিন হয়, তা আমার আশপাশে শিশুদের দিকে একটু লক্ষ্য রাখলে বোঝা যায়। আমাদের নোংরা সমাজটা এমন করে রেখেছে, যেখানে ছেলে শিক্ষিত ও বড় হলেই আমাদের মাঝে অহমিকা চলে আসে। বাবা-মা আর কি বুঝে, আর কি জানে, জীবনের একটা সময় পড়াশোনা, যখন কারও অফ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়, একমাত্র মায়েরাই পদক্ষেপ নেন ছেলেকে মানুষ করার জন্য। তবুও এ সমাজের কুলাঙ্গার প্রতিবেশীরাও কান্না-হাসি দেয়। যেই দুর্বল হাত-পাকে সবল হাত-পায়ে রূপান্তরের জন্য যারা দীর্ঘবছর ধরে ছুটে চলছে, দিন শেষে তাদের জন্য উল্লেখযোগ্য কিছু করার ক্ষমতা আমার হয়নি। আজও বহু পথ হেঁটেও বারবার হোঁচট খেয়ে জীবনের অর্থ টাকার ওপর মনে করা শিখিনি কখনও। টাকা জীবনের অর্থ হতে পারে না। দিন শেষে বেঁচে থাকা ও আশার একমাত্র আলো তারাই।

মো. ইমন মিয়া

শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ