ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

গ্রন্থ পর্যালোচনা

‘মুজিব আমার স্বাধীনতার অমর কাব্যের কবি’

ড. এ. এইচ. এম মাহবুবুর রহমান, চেয়ারম্যান, সমাজকর্ম বিভাগ, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, [email protected]
‘মুজিব আমার স্বাধীনতার অমর কাব্যের কবি’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য কবি মুহাম্মদ সামাদের লেখা ‘মুজিব আমার স্বাধীনতার অমর কাব্যের কবি’ ২০২১ সালে প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশ করেছে মাওলা ব্রাদার্স। গ্রন্থটি আব সব গ্রন্থের আদলে বিন্যস্ত নয়। সূচিপত্র গতানুগতিক কোনো অধ্যায়ে বিন্যাস না হয়ে বিভিন্ন পর্বে সন্নিবেশিত হয়েছে। ভূমিকাণ্ডনির্ঘণ্টসহ গ্রন্থটির কলেবর ১৯২ পৃষ্ঠায় মুদ্রিত। ‘মুজিব আমার স্বাধীনতার অমর কাব্যের কবি’ গ্রন্থের শিরোনাম হলেও মুলত এটি ১৯৮৩ সালে কবির লেখা ‘মুজিব’ শিরোনামে কবিতার পংক্তি থেকে নেয়া। কবি মুহাম্মদ সামাদের প্রথম কাব্য গ্রন্থ ‘একজন রাজনৈতিক নেতার মেনিফেস্টো’ কাব্যগ্রন্থের ‘মুজিব’ কবিতাটি বাংলাদেশের প্রগতিশীল যে কোনো আন্দোলন সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর অনুসারীদের কাছে নানাভাবে সমাদৃত-মূল্যায়িত।

মুহাম্মদ সামাদের কবিতার চিত্রকল্প, অলংকার, উপমা-উৎপ্রেক্ষা, ছন্দণ্ডরস এবং অনুষঙ্গ বাঙালির শৌর্য-বীর্য, ইতিহাসের নানা উপাদান, চিরায়ত সমাজ জীবন আর মানুষের দ্রোহ, দুঃখ, বেদনাকে পরম মমতায় চিত্রিত করে। বাঙালির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে তার পংক্তি ‘মুজিব আমার স্বাধীনতার অমর কাব্যের কবি’ অমোঘ সত্য সাবিত্রির মতো উজ্জ্বল ভাস্বর হয়ে আজ ন্বাধীনতা প্রিয় প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে প্রোথিত। ১৯৭১ সালে ৩০ লাখ শহীদের রক্তে বাঙালির স্বাধীনতার যে কাব্য রচিত হয়েছে তাঁর কবি মুজিব। কবির কাছে মুজিব কোনো সরল সাধারণ সহজ উচ্চারিত কোনো বিশেষ্য নয়। মুজিব একটি ইতিহাসের জনক, মুজিব একটি ভূখণ্ডের নির্মাতা মুজিব একটি মানচিত্রের শিল্পী মুজিব মধ্যযুগের আব্দুল হাকিম, ভারতচন্দ্র, আলাওয়াল হয়ে রবীন্দ্রনাথ, মাহকেল এর পর বাঙালির স্বাধীনতার অমর কাব্যের কবি। কবি মুহাম্মদ সামাদের কবিতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব চিত্রিত হয়েছে নানা উপমায় ব্যঞ্জনায়। রাজপথে স্লোগানে স্লোগানে যেমন ধ্বনিত হয় তার কবিতা তেমনি শহীদ মিনার থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অলিতে গলিতে পোস্টারে দেওয়ালে মুহাম্মদ সামাদের কবিতায় বঙ্গবন্ধু ঘুরে ফিরে আসে।

গ্রন্থের ‘বঙ্গবন্ধু পর্বে’ কবি লিখেছেন- ‘১৯৮৩ সালের মার্চে রচিত মুজিব শিরোনামের আমার একটি কবিতার পঙক্তি ‘মুজিব আমার স্বাধীনতার অমর কাব্যের কবি’ ৩৪তম কবিতা উৎসবের মর্মবাণী এবং কবিতাটিকে উৎসবসংগীত হিসেবে নির্বাচন করা হয়। এতে আমি অভিভূত হই ও গর্বিত বোধ করি। রচনার পর থেকেই সারা দেশের দেওয়ালে পোস্টারে ব্যবহৃত হয়েছে; রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের কণ্ঠে বক্তৃতায় স্লোগানে ধ্বনিত হয়েছে এবং কবিতাটি বহু আবৃত্তিকারের কণ্ঠে উচ্চারিত হয়ে চলেছে। উল্লেখ্য, প্রথমে চয়ন ইসলামের সুরে ও কণ্ঠে; পরবর্তীকালে গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীররের সুরে ও কণ্ঠে কবিতাটি গান হিসেবে গীত হয়ে দেশে-বিদেশে জনপ্রিয় হয়েছে। আজ থেকে প্রায় চারদশক আগে রচিত কাব্য পঙক্তিটিকে উৎসবের মর্মবাণী হিসেবে গ্রহণ করার সূত্রে জাতীয় কবিতা উৎসবের উদ্বোধনী পর্বে ২০২০ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি সকালে প্রদত্ত আমার সভাপতির ভাষণ এই লেখার উৎস।’

কবি মুহাম্মদ সামাদ মুজিব পাগল আন্তপ্রাণ একজন মানুষ। ১৯৮০ সালে ৩ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু ও জেলখানায় জাতীয় চার নেতা হত্যার প্রতিবাদে হরতাল চলাকালীন সময় মিছিলে জেনারেল জিয়ার ভাড়াকরা গোন্ডা বাহিনী গুলি ছুড়লে জাতীয় নেতাদের (আ. রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদ, সৈয়দ আহমদ, মুকুল বোস) সঙ্গে কবি নিজেও গুলিতে আহত হোন। মিছিলে আক্রান্ত কবি সেদিন লাশ হয়ে যেতে পারতেন। ঢাকা মেডিকেল থেকে চিকিৎসা নিয়ে জগন্নাথ হলে আত্মগোপন করে কবি সে যাত্রা জেনারেল জিয়ার আক্রোস থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন। জীবনের মায়া ত্যাগ করে বঙ্গবন্ধুকে অসীম ভালোবাসার উদাহরণ আমরা তাই দেখি কবির কবিতায় চিত্রিত হতে। বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ আর এদেশের সাধারণ মানুষকে পরম মমতায় আশ্রয় দেন কবি তার কাব্যে।

আমরা শুরুতেই বলেছি ‘মুজিব আমার স্বাধীনতার অমর কাব্যের কবি’ গ্রন্থটির সূচিপত্র গতানুগতিক নয়। বিভিন্ন পর্বে বিভাজিত গ্রন্থটি প্রথমেই বঙ্গবন্ধু পর্ব, শেখ হাসিনা পর্ব এবং কবিতা পর্ব। তিন পর্বে বিভক্ত গ্রন্থটিতে বঙ্গবন্ধু পর্বে মুহাম্মদ সামাদ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের নিবিড় সম্পর্ক ব্যাখ্যা করেছেন সুনিপুণভাবে। মুহাম্মদ সামাদ লিখেছেন- ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সারা জীবনের স্বপ্ন ও সাধনা ছিল বাঙালির একটি শোষণমুক্ত ও অসাম্প্রদায়িক স্বাধীন-সার্বভৌম জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা এবং রাষ্ট্রের সর্বস্তরের মানুষের উন্নত জীবন-বিশেষকরে দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো। তার রাজনৈতিক জীবনের দিকে দৃষ্টিপাত করলে আমরা দেখি- অসহনীয় জেল-জুলুম, নির্যাতন, ষড়যন্ত্রমূলক মামলা-মোকদ্দমা অসম সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করে তিনি লক্ষ্যে স্থির ও অবিচল থেকেছেন। এভাবেই ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্বদান ও গ্রেপ্তার বরণ; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে শাস্তিস্বরূপ মুচলেকা দিয়ে ছাত্রত্ব রক্ষার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ছাত্রত্ব বাতিল বা বহিষ্কার; যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন, বাঙালির ৬ দফার সংগ্রাম, ফাঁসির আশঙ্কা নিয়ে আগরতলা মামলায় দীর্ঘ কারাভোগ; ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে নিঃশর্ত মুক্তিলাভ ও সত্তরের সাধারণ নির্বাচনে বিশাল বিজয় লাভের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন। সর্বোপরি ১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে হাজার বছরের পরাধীন বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য প্রতিষ্ঠা করেন স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র- বাংলাদেশ।’

‘বঙ্গবন্ধু পর্বে’ কবি মুহাম্মদ সামাদ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিভিন্ন ঐতিহাসিক সত্য উন্মোচন করেছেন। একজন কবি বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতাকে নিয়ে তার ভাবনার জানালা কতো বিস্তৃত ও পরিবেষ্ঠিত হতে পারে তা আমরা দেখি গ্রন্থের উপ-শিরোনামগুলো পাঠ করে। কবিতার শব্দ আর বাক্যের নিঁখুত বুননে কবি যেমন আবেগময় হয়ে পড়েন নিজেকে মেলে দিয়ে, তেমনি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবির আজন্ম লালিত শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার প্রগাঢ় অনুভূতির প্রকাশ দেখি প্রত্যেকটি উপ-শিরোনামে। যেমন- ‘আমার বঙ্গবন্ধু ও মুজিববর্ষ’ ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব’ ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ছাত্রজীবন’ ‘ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা’ ‘ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্বদান’ ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারীদের আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধুর ছাত্রত্ব বাতিল’ ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় নিঃশর্ত মুক্তিলাভ’ ‘বঙ্গবন্ধু উপাধি ও ডাকসু’ ‘মুক্তবুদ্ধিচর্চায় বঙ্গবন্ধুর উদার দর্শন ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ, ১৯৭৩’ ‘দ্বিতীয় বিপ্লবের বর্মসূচি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’ ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর শুভাগমনের আয়োজন’ ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আনুষ্ঠানিক শোক প্রস্তাব ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন’।

কবির ভাবনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জাতির পিতার বাংলাদেশ নির্মাণের এক নিবিড় নিটোল সম্পর্ক আমরা খুঁজে পাই অন্তঃমিল ছন্দের মতো । যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সোনালি সময়গুলো তরুণ নেতা শেখ মুজিবের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য গ্রন্থির মতো বেড়ে ওঠেছে। প্রতিটি ঘটনার কি দারুণ অনস্বীকার্য সংযোগ, সংস্থাপিত সর্নিবদ্ধ-সংশ্লেষ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ মুজিবকে প্রথমে দেখি একজন শিক্ষার্থী হিসেবে তারপর সেই সরল সহজ শিক্ষার্থী হয়ে ওঠেন আন্দোলন আর সংগ্রামের প্রতিভূ প্রতিমা। অধিকার আদায়ের সংগঠিত প্রেরণার উৎসমূল ছাত্র সংগঠন ‘ছাত্রলীগ’ প্রতিষ্ঠা করেন নিজের মেধা আর মননের কর্ষণে। শেখ মুজিবকে আবার দেখি শোষিতের বেড়াজাল ছিন্ন করে পাকিস্তানের অন্যায্য প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ফেটে পড়তে এবং বাঙালির ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে। টগবগে অগ্নিসাহসে বলীয়ান মুজিব জেল খাটেন মায়ের ভাষার জন্য।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ কর্মচারীদের দাবি আদায়ে অকুতোভয় নরম চিত্তের সংবেদনশীল মুজিব সামনে গিয়ে দাঁড়ান। গরিব কর্মচারীদের অধিকার আদায়ে নিজেকে সমর্পণ করে কর্তৃপক্ষের বিরাগভাজন হন। নিজের ছাত্রত্ব বাতিল হলেও তার কোনো খেদ থাকে না, নির্ভার মুজিব আত্মসম্মান নিয়ে মাথা উঁচু করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে যেতে দেখি মুহাম্মদ সামাদের বিশ্লেষণী লেখায়। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে নিঃশর্ত মুক্তি, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর আগমনের সেই রোমাঞ্চকর উত্তাল আনন্দের দিনের প্রস্তুতি আর সেই মহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষার এক অনিন্দ্য বর্ণনা পাই ‘মুজিব আমার অমর কাব্যের কবি গ্রন্থে।’ ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর কবি মুহাম্মদ সামাদ বেদনার নীলে, শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েন। বঙ্গবন্ধুহীন বাংলাদেশে সেই বৈরী সময়ে যেসব সাহসী নেতৃবৃন্দ ৪ নভেম্বর ১৯৭৫ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট অধিবেশনে বঙ্গবন্ধুর জন্য শোক প্রস্তাবের আহবান করেছিলেন কবি তাদের সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেছেন। কবি সামাদের নিগঢ় অন্বেষণ পাই জাতির পিতার লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ (২০১২) ‘কারাগারের রোজ নামচা’ (২০১৭) এবং ‘আমার দেখা নয়াচীন’ (২০২০) গ্রন্থ তিনটির অসাধারণ বিশ্লেষণে।

‘মুজিব আমার অমর কাব্যের কবি’ গ্রন্থে শেখ হাসিনা পর্ব সন্নিবেশিত হয়েছে ইতিহাসের নানা বাঁক থেকে সঞ্চিত ঘটনাবহুল স্মৃতি আর দৃশ্যপট দিয়ে। বঙ্গবন্ধুহীন বাংলাদেশে কোটি কোটি মানুষের আশ্রয়ের একমাত্র নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কিভাবে জননন্দিত হয়ে ওঠেন দিনের পর দিন তার কাব্যিক বিশ্লেষণ পাই কবি মুহাম্মদ সামাদের ভাষায়। প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে সমস্ত দুঃখকে হাসিমুখে বরণ করে নিয়ে কিভাবে ছুটে গেছেন বাংলাদেশের গ্রাম থেকে পাড়া-মহল্লায়। দরিদ্রক্লিষ্ট অসহায় মানুষের আশ্রয়ের ঠিকানা হয়েছেন ভালোবেসে। নারী শিশুকে বুকে টেনে নিয়েছেন আনন্দ চিত্তে তার বিষদ বর্ণনা কবি তার হৃৎকলমে ব্যক্ত করেছেন। পিতার যোগ্য উত্তরসূরি শেখ হাসিনা নিজের জীবন বিপন্ন হবে ভেবেও আন্দোলন-সংগ্রাম থেকে পিছু হটেননি। নিঃস্ব রিক্ত অসহায় শেখ হাসিনার একমাত্র সহায় এদেশের সাধারণ মানুষ এই পরম সত্য কবি মুহাম্মদ সামাদের ‘মুজিব আমার স্বাধীনতার অমর কাব্যের কবি’ গ্রন্থে আরেকবার শ্বাশত উচ্চারিত হয়েছে। (সংক্ষেপিত)।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত