ঢাকা ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চি ঠি প ত্র

বাহাদুর শাহ পার্কের ভেতর রেস্তোরাঁ

বাহাদুর শাহ পার্কের ভেতর রেস্তোরাঁ

পুরান ঢাকার জনসন রোড-সদরঘাটে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী বাহাদুর শাহ পার্কের (ভিক্টোরিয়া পার্ক) অভ্যন্তরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নতুন করে খাবারের দোকানের বরাদ্দ দিয়েছে, যা কোনোভাবেই এলাকাবাসী, পরিবেশবিদ, পার্কের সন্নিকটে অবস্থিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, সোহরাওয়ার্দী কলেজ, মহানগর মহিলা কলেজ, গভঃ মুসলিম হাই স্কুল, কলেজিয়েট স্কুল, সেন্ট গ্রেগরি ও সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার্স গার্লস হাই স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবক, শিক্ষকবৃন্দ ও পার্কে প্রতিদিন হাঁটাহাঁটি করেন, তারা সবাই ক্ষুব্ধ। এখন আর প্রাণভরে নিঃশ্বাস নেয়ার জায়গাটাও রেস্তোরাঁর দখলে চলে যাবে, যা দেখার কেউ নেই। এরই মধ্যে খাবারের দোকান নির্মাণার্থে হাঁটাহাঁটি ও খোলা জায়গা অনেকটা সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। পার্কের পরিবেশ যথেষ্ট ক্ষতির সম্মুখীন হতে বাধ্য। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মাত্র ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে বাহাদুর শাহ পার্কের মধ্যে হোটেল-রেস্তোরাঁ নির্মাণ করার যে উদ্যোগ নিয়েছে, সেটা নগরবাসী ও জনস্বার্থ পরিপন্থি। পার্কের মধ্যে রেস্টুরেন্ট চালু হলে পার্কের ঐতিহ্য, সৌন্দর্য ও মুক্ত পরিবেশ নষ্ট হয়ে পড়বে। পুরান ঢাকার অহংকার এবং গৌরবময় স্মৃতিবিজড়িত স্মৃতিসৌধ এ বাহাদুর শাহ পার্ক। এখানে অনেক পুরুষ-মহিলা, অভিভাবক ও শিক্ষর্থী অবসর সময় কাটান এবং অনেক বয়স্ক শরীরচর্চা করেন। পার্কের মধ্যে রেস্টুরেন্টের রান্না করতে গেলেই পার্কের গাছ-পালার যথেষ্ট ক্ষতি হবে এবং পার্কটি নোংরা এবং অপরিষ্কার হয়ে পড়বে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। পার্কটি বহু ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী। পার্কটির ঠিক উত্তর-পশ্চিম দিকে রয়েছে ঢাকার জজকোর্ট, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং শাঁখারীপট্টি অবস্থিত। এ অবস্থায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও ঢাকা দক্ষিণের মেয়রের কাছে আকুল আবেদন, কোনোভাবেই যেন পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বাহাদুর শাহ্ পার্কের অভ্যন্তরে হোটেল-রেস্টুরেন্ট নির্মাণ করা না হয়।

মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী, ফরিদাবাদ-গেন্ডারিয়া, ঢাকা

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত