চি ঠি প ত্র

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় চাই

প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী একটি জেলা। শিক্ষা ও সংস্কৃতির পীঠস্থান হিসেবে পরিচিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক রাজধানী বলা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার শিল্প ও অর্থনীতি ব্যবস্থা খুবই সুপরিচিত। এ জেলার তিতাস গ্যাস ফিল্ড দেশের এক-তৃতীয়াংশ গ্যাস সরবরাহ করে। তাছাড়া আশুগঞ্জ তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র। আশুগঞ্জ সার কারখানা দেশের ইউরিয়া সারের অন্যতম বৃহত্তম শিল্পকারখানা। দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া বন্দর। এ জেলা তাঁত শিল্পের জন্য বিখ্যাত। এছাড়াও প্রবাসী আয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখার ক্ষেত্রে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার রয়েছে বেশ গুরুত্ব। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, এ জেলার জনসংখ্যা ২৮ লাখ ৪০ হাজার ৪৯৮ জন, আয়তন প্রায় ১ হাজার ৯২৭ বর্গকিলোমিটার এবং সাক্ষরতার হার ৪৫.৩ শতাংশ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ৯টি উপজেলা, ৯টি থানা, ৫টি পৌরসভা, ১০০টি ইউনিয়ন, ৯৯৩টি মৌজা, ১ হাজার ৩৩১টি গ্রাম ও ৬টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত। তবে অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অনেকটাই অবহেলিত। অন্যান্য জেলায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি মেডিকেল কলেজ থাকলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেই কোনো সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা মেডিকেল কলেজ। এইদিক থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী বৈষম্যের শিকার ও অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে। সম্প্রতি দেশে আরও ৯ জেলায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অথচ এ বিষয়ে অনেকবার মানববন্ধন থেকে শুরু করে নানা সমাবেশ ও কর্মসূচি পালন করে আসছে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী। বর্তমান সরকারের নেতৃত্বে, ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপরেখা বাস্তবায়ন শেষে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছে সবাই। আর এই স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর প্রাণের দাবি, এ জেলাতে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল কলেজ। এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ পদক্ষেপে এগিয়ে যাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং সমৃদ্ধ হবে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা, এমনটাই প্রত্যাশা।

মামুন হোসেন আগুন

বাঞ্ছারামপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া