ঢাকা ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সমাজ-চিন্তা

প্রতিযোগিতা নয়, সহযোগিতা

আফতাব চৌধুরী, সাংবাদিক ও কলামিস্ট, বৃক্ষরোপণে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত
প্রতিযোগিতা নয়, সহযোগিতা

বর্তমান যুগে প্রতিযোগিতাহীন মানবজীবন চিন্তাই করা যায় না। কালের প্রবাহে ‘স্যারভাইভ্যাল অব দ্য ফিটেস্ট’ তত্ত্ব পুরোনো হলেও প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তার নবপ্রকাশ ঘটছে। সৃষ্টির প্রথম দিকে কালক্রমে যারা মানিয়ে নিতে পারেনি তারা পৃথিবী থেকে উধাও হয়ে গেছে, কত জীবজন্তু কীটপতঙ্গ, গাছপালা, তৃণ, গুল্ম ও আরও কত কিছু প্রকৃতি থেকে চিরবিদায় নিয়েছে। বংশধারা রেখে যেতে পারেনি অথবা রূপান্তরিত হয়েছে। পৃথিবী যেন সবাইকে নিয়ে রসেবসে থাকতে পারছে না। কোথা থেকে দমকা হাওয়া নিয়ে প্রতিযোগিতার বিকল্প পথ অবশ্যই বেছে বের করতে হবে। প্রতিযোগিতা সুপ্ত হিংসাকেই জাগিয়ে তোলে, ভালোবাসাকে নয়।

প্রতিযোগিতাকে আবার ভালো ও খারাপ দু’ভাগে ভাগ করা হয়েছে- সুস্থ প্রতিযোগিতা ও অসুস্থ প্রতিযোগিতা। সুস্থ প্রতিযোগিতা মানুষের গুণাবলি ও শক্তির বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে। অপর পক্ষে অস্বাস্থ্যকর প্রতিযোগিতা মানুষকে অসামাজিক এমনকি খুনিতেও পরিণত করতে পারে। সুস্থ ও অসুস্থের মধ্যে সুকুমারমতি বালক-বালিকা সব সময় লাগাম টানতে পারে কী? আর প্রতিযোগিতা বিষয়টিই হলো স্নায়ুতে প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টিকারী, ক্ষুরধার ও অগ্নিগর্ভ একটি ব্যবস্থা। মানুষের মনে শান্তির চেয়ে অশান্তিরই বাতাবরণ সৃষ্টি করে। প্রতিযোগিতার চাপে মানুষ বাল্যের চপলতা, কৈশোরের অনুসন্ধিতা ও যৌবনের প্রাচুর্য হারিয়ে ফেলেছে। সবাই যেন অকালে বুড়িয়ে যাচ্ছে। আর মোবাইল ও ইন্টারনেট এসে এ ব্যাপারে ঘৃতাহুতি দিচ্ছে। বিভিন্ন দিক খুলে যাওয়ায় বাস্তবজীবনে কত উঁচুতে উঠতে পারা যায়, এটাই ছোটদের ভাবনা হয়ে উঠেছে। ভাবনা থাকলে কী হবে বাস্তবে তাদের সীমিত জ্ঞান-বুদ্ধি দিয়ে শীর্ষে পৌঁছতে পারছে না। নিজেরা চাপের মধ্যে পড়ছে। অভিভাবক আরও চাপ বাড়িয়ে দিচ্ছেন। তারা তাদের সোনামণিদের শীর্ষে দেখতে চান। কিন্তু সবাই কি শীর্ষ স্থান দখল করতে পারে?

কিন্তু প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্র যেমন লেখাপড়া, চাকরিবাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য বা অন্যান্য ক্ষেত্র সেখানে যারা হেরে যায় সমাজ তাদের কথা মর্মে মর্মে অনুভব করে কী? অথবা ‘সারভাইভ্যাল অব দ্য ফিটেস্ট’ তত্ত্ব অনুসারে এদের বিদায় করে দেয়? রবার্ট ক্রসের অনুসরণ করে দশবার চেষ্টা করেও যারা হেরে যায়, আর কোনো শক্তি থাকে না বা কোনো সাšন্ত¡না খুঁজে পায় না, তখন সে হয়তো আত্মহননের পথ বেছে নেয়। এই পরিস্থিতি থেকে তাকে কে উদ্ধার করবে? শান্ত ও সুশীল মানবসমাজকেই তো এগিয়ে আসতে হবে। কারণ এই অবস্থার জন্য দায়ী সমাজ, শাসক, প্রতিযোগিতায় সফলকাম মানুষও পরোক্ষভাবে দায়ভার অস্বীকার করতে পারেন না? মেনে নিলাম প্রতিযোগিতা থাকলে গুণের নির্যাস বেরিয়ে আসে। খুবই দক্ষ কিছু সংখ্যক মানুষ আমরা পেয়ে যাই। তাদের উৎপাদনশক্তি খুবই বেশি, মানুষে মানুষের প্রতি দয়ামায়া নিয়ে ভাবার সময় তাদের খুবই কম অথবা সে শিক্ষা তারা পাননি। সারাক্ষণই তারা কাজে ব্যস্ত। তারা এক প্রকার রোবটেই পরিণত হন। তারা মর্যাদার ঘেরাটোপে বসে শুধু করণীয় বা করণীয় নয়- এর নিধান দেন। স্বাস্থ্যহীন, গৃহহীন, শিক্ষাহীন ও খাদ্যহীন মানুষের বাস্তব জীবনের কোনো অভিজ্ঞতা এদের থাকে না। তাই তাদের নীতি নির্দেশিকা ত্রুটিহীন হতে পারে না। তাদের দন্তরাশি কৌমুদি কখনও দেখা যায় না। অধর ও ওষ্ঠ দৃঢ়বদ্ধ কখনও কখনও ঊর্ধ্বতনের মনোরঞ্জনের কারণে সামান্য প্রসারিত। তারা ‘শুষ্কং কাষ্ঠংকে নিরস তরুবর’ পর্যন্ত করতে পারেন না। তারা একটি আলাদা সমাজ গড়ে নেন। এরা বৃহত্তর সমাজের খুবই ক্ষুদ্র অংশ। বৃহত্তর সমাজের দুঃখণ্ডকষ্ট এদের স্পর্শ করতে পারে না। তারা পাষাণ। অথচ এই পাষাণের নির্দেশেই গোটা সমাজকে চলতে হচ্ছে। পাষাণের সংস্পর্শে মানুষ পাষাণই হয়। সমাজ যেন অচলায়তন হয়ে পড়ে। সমাজকে সচল করেত এক বছর সমাজের সকল স্তরের মানুষের সব সমস্যা চাক্ষুষ করতে হবে, বুঝতে হবে। তারপর পাষাণে প্রাণ সঞ্চার হলে তাদের জ্ঞানও বিচিত্রমুখী হবে, সমাজের সচলতা বাড়বে।

অবশ্য আমি এখানে বরেণ্য বিজ্ঞানী, বিভিন্ন আবিষ্কর্তা, কালজয়ী সাহিত্যিক, কবি বা লেখক, মহান সমাজসেবী, মহান রাষ্ট্রনায়ক, আত্মত্যাগী মহামানব তাদের কথা বলছি না। তারা তাদের নিজস্ব উপায়ে সমাজকে সচল করে চলেছেন। সমাজের প্রতি তাদের মহান কর্তব্য বা ভালোবাসা সব সমালোচনার ঊর্ধ্বে। নিজের জীবন দিয়েও ত্যাগের পরাকাষ্ঠা দেখিয়েছেন। তারা সবার বরণীয়। তবে তারা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে উঠে আসেননি। তারা সমাজের যে স্তরেই থাকুন না কেন, তারা স্বয়ম্ভু।

এখানে বাজারি প্রতিযোগিতার কথা একটু আলোচনা করছি। আজকাল উন্মুক্ত বাজার প্রথা প্রতিযোগিতাকে এককাঠি এগিয়ে নিয়ে গেছে। উৎপাদন বা বাজারে পূর্ণ প্রতিযোগিতা থাকলে এখানে কোনো নিম্নমানের উৎপাদক বা ক্রেতাণ্ডবিক্রেতা টিকে থাকতে পারে না। চাহিদা ও জোগানের ঘাত-প্রতিঘাতে উৎপাদন ও দাম নির্ধারিত হচ্ছে। ক্রেতা ও তার প্রান্তিক প্রয়োজনকে মূল্যের পরিমাপের সঙ্গে বিচার করে ক্রয় করে থাকেন। আবার অপরদিকে চাহিদাও আয় দ্বারা প্রভাবিত হয়। একদিকে উৎপাদন খরচ ও জিনিসের বিক্রয় মূল্যের স্থিরতা অপরদিকে চাহিদা ও জোগানের ঘাত-প্রতিঘাতে বাজার মূল্যের স্থিরতা ও উৎপাদনকারীর সামান্য লাভ সবকিছুই নাকি বাজারে প্রতিযোগিতা থাকলে সঠিক হয়। বিকল্প ব্যবস্থা যেমন- মনোপলি, আল গো পলি, ডুয়োপলি বা সরকার নিয়ন্ত্রিত সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা সব কিছুতেই নাকি মূল্যের যথার্থ নির্ধারণ হয় না। তাই বর্তমানে প্রতিযোগিতারই গুণগান করা হয়। কিন্তু এই ব্যবস্থাতেও মন্দা বা বেকারত্ব প্রকটরূপে পরিলক্ষিত হচ্ছে। পুরোনো দিনে মন্দার সময় জিনিসপত্র খুব সস্তা হতো। কারণ চাহিদার তুলনায় জোগান খুবই বেশি ছিল। কিন্তু এখন চাহিদা না থাকলেও জিনিসের দাম তেমন কমে না। কারণ এখন উৎপাদক ও ব্যবসায়ী খুবই সতর্ক। তাই খুব বেহিসাবি ইনডেনটরি বা গুদামজাত পণ্যদ্রব্য থাকে না। তাই বাধ্য হয়ে খুব কম দামে বেচতে হয় না। আবার ক্রেডিট কার্ডে কেনা বেচায় ব্যাংকেও হুইপ না আসা পর্যন্ত প্রকৃত অবস্থাও বোঝা যায় না। আর প্রতিযোগিতামূলক অর্থনীতিও ধনী-দারিদ্র্যের মধ্যে বৈষম্য দূর করতে পারছেই না। বরং ফারাক আরও বাড়ছে।

তাই দারিদ্র্য দূরীকরণের নব নব পথ আবিষ্কার করার ওপরই সারা বিশ্ব জোর দিচ্ছে। তাই তো অতি সম্প্রতি অধ্যাপক অভিজিৎ বিনায়ক বন্দোপাধ্যায়, তার স্ত্রী এস্থারও হার্ভার্ডের অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন। একুশ বছর আগে অধ্যাপক অর্মত্য সেনও কল্যাণকর অর্থনীতি প্রবক্তা হিসেবেই নোবেল পুরস্কার পান। পুরস্কার পান আমাদের ড. মো. ইউনুসও। অভিজিৎ-এস্থার হলেন ‘আবদুল লাতিফ জামিলা পার্টি অ্যাকশন ল্যাব নামের গবেষণা কেন্দ্রের যুগ্ম প্রতিষ্ঠাতা। এর মাধ্যমে তারা আর সি টি পদ্ধতিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। একই রকম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন দুই দল মানুষের মধ্যে এক দলের মধ্যে নতুন নীতির প্রয়োগ করে অন্য দলে কোনো পরিবর্তন না ঘটিয়ে দুই দলের মধ্যে তুলনা করলে নতুন পদ্ধতির লাভালাভ বোঝা যায়। এটাই আর সি টি পদ্ধতি। পর্যবেক্ষণ, অভিজ্ঞতা, যুক্তি প্রয়োগ বা পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে যা ফল পাওয়া গেল, তার সঙ্গে আরসিটি না মিললে মনে করা হতো আরসিটি-ই ঠিক। একমাত্র সাক্ষ্য-প্রমাণ না হলেও আরসিটি-ই যে একমাত্র পাকাপোক্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ হিসেবে মান্যতা পেল। তবে এই আরসিটি-ই যে একটি সমাজ, তার আদর্শ, নীতি বা দেশের অর্থনীতির পক্ষে শেষ কথা হতে পারে না। ভিন্ন ভিন্ন দেশে দারিদ্র্যের সমস্যা ভিন্ন ভিন্ন তাই ভিন্ন ভিন্ন মানদণ্ড দিয়েই তার বিচার ও সমাধান করতে হবে।

তবে মোট কথা, প্রতিযোগিতা দারিদ্র্য দূরীকরণে সহায়ক নয়। পন্থা নির্ধারক, নীতিনির্ধারক ও সরকারি প্রচেষ্টায় দারিদ্র্য দূরীকরণ সম্ভব হলেও হতে পারে। তাই প্রতিযোগিতার বিকল্প অবশ্যই ভাবতে হবে। এই প্রতিযোগিতার জন্য যে হাহাকার এমনকি আত্মহননের চেষ্টা এর থেকে মুক্তির উপায় খুঁজতে হবে, মনে রাখতে হবে মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা বা প্রকৃতির প্রতিটি সৃষ্টির প্রতি প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি মানুষের ভালোবাসা ও দায়বদ্ধতা থাকতে হবে। নতুবা সৃষ্টির মূল সুর কেটে যাবে। তাই জীবনযুদ্ধে ব্যর্থ সাথিকে রক্ষা করতে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র সবাইকেই এগিয়ে আসতে হবে। জ্ঞানী ব্যক্তিরা তাদের জ্ঞান বিতরণ করে, ধনীরা তাদের ধন বিতরণ করে, সমাজসেবীরা তাদের সেবা বিতরণ করে, প্রেরণাদায়ীরা প্রেরণা জুগিয়েও রাষ্ট্র এদের যথাযথ কাজের ব্যবস্থা করে এদের জীবনে চলার উপযোগী করতে হবে। না হলে কবির কথা অক্ষরে অক্ষরে সত্য হবে- যারে তুমি রেখেছ পশ্চাতে সে তোমারে টানিবে পশ্চাতে।

কোনো শিশু বড় হয়ে কী হবে বা কীভাবে কর্মক্ষম হবে, পিতামাতাকেই তাদের স্বাভাবিক উৎকর্ষতা লক্ষ করে সেদিকেই ধাবিত করতে হবে। তারপর বিদ্যালয়েও শিক্ষক সমাজ ছাত্রদের স্বাভাবিক উৎকর্ষতা লক্ষ করে সেদিকই ধাবিত করতে হবে। শিক্ষক সমাজ ছাত্রদের স্বাভাবিক উৎকর্ষতা বেছে নিয়েই সেদিকে উৎকৃষ্ট করার চেষ্টা নিতে হবে। সাহিত্যে উৎকৃষ্ট যারা তাদের কখনও জোর করে কোনোভাবেই বিজ্ঞানে ভর্তি করা উচিত নয়। তারপর গুণগত ও কর্মগত শিক্ষা দেওয়া অবশ্য জরুরি। এর জন্য বিদ্যালয়গুলোতে উপযুক্ত পরিকাঠামো থাকতে হবে। বিদ্যালয় শিক্ষার স্থান ঠিকই, তবে সেখানে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশের ওপর নজর রাখতে হবে। অন্যায় করলে, অবাধ্য হলে মারধর না করে যুক্তির মাধ্যমে, ভালোবাসার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করতে হবে। লাঠিপেটানোর যুগ এখন আর নেই। ছোট্ট শিশুরাও এখন খুবই সংবেদনশীল। শিক্ষকদের ছাত্রকে নিজের সন্তানের মতোই শিক্ষা দিতে হবে। একজন প্রকৃত শিক্ষকই মানুষ, সমাজ ও দেশ গড়ার কারিগর। সালাম জানাই সেই আদর্শ শিক্ষককে। ছেলেমেয়ে বড় হয়ে কোনো না কোনোওভাবে নিজের স্বাধীন জীবিকা বেছে নিতে যাতে পিছপা না হয়, এই শিক্ষা অবশ্যই তাকে দিতে হবে।

তাই বলি, প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে থাকা মানুষদের বেঁচে থাকার জন্য আমাদের সবাইকেই চেষ্টা করতে হবে। প্রথমেই খুব দৃঢ়ভাবে সমস্যা নিয়ে ভাবত হবে। ভাবনা থেকেই প্রেরণা ও কাজ। সবাই মিলে রাষ্ট্রনাকদেরও সে পথে পরিচালিত করতে হবে। পৃথিবীতে জন্ম নেওয়া কোনো কিছুই যাতে অকালে হারিয়ে না যায়, সেটার নিশ্চয়তা দেওয়াই প্রকৃত মানবসমাজের কর্তব্য। প্রাচীনকালেই মনীষীরা বলেছেন, পরের উপকারেই পুণ্য আর অন্যকে পীড়া দেওয়াই পাপ।

কবি বলে গেছেন- ‘সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে।’ তাই প্রতিযোগিতা নয়, সহমর্মিতা নিয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রকে চলতে হবে। ছোটবেলা থেকেই ছাত্রছাত্রীকে মেধা হিসেবেও উপযুক্ত করে বিভিন্ন কাজের জন্য তৈরি করতে হবে। একেবারে হঠাৎ করে কেউই দক্ষ হয় না। প্রত্যেকেরই বিশেষ গুণ থাকে। সে হিসাবে বেছে তৈরি করলে প্রত্যেকে জীবনপথে পাথেয় জোগাড় করে নেবে।

কেউ কাজ না পেলে সরকার তাদের ব্যবস্থা করবে। কোনো দেশ গরিব হলে উন্নত দেশগুলো সে দেশকে সমস্যা সমাধানে সাহায্য করবে। বড় বড় সমাজসেবী সংস্থাও সাধ্যনুসারে মানুষকে চলার পথে সাহায্য করবে। এটাই তো মানবতা। তবে সাহায্যের অজুহাতে মানুষের আত্মসম্মান যেন খর্বিত না হয়। মানুষের মধ্যেই অফুরন্ত শক্তি আছে। কোনো কারণে তা কোনো সময় হয় তো সুপ্ত থাকে। কিন্তু সামান্য ইন্ধনেই সেই শক্তি জেগে ওঠে। তাই পিছিয়ে পড়া মানুষকে সারা জীবন টানতে হয় না। আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে সঠিক পথে চলার জন্য সাহায্যটুকুই দরকার। প্রতিযোগিতা নয়, সহযোগিতাই কাম্য।

আলোকিত বাংলাদেশ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত