ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নিপাহ ভাইরাস নিয়ে সচেতনতা কাম্য

মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
নিপাহ ভাইরাস নিয়ে সচেতনতা কাম্য

চলতি শীত মৌসুমে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিপাহ ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ৮ জন। অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে এবার আক্রান্তÍ হওয়ার সংখ্যা বেশি। গত বছর (২০২২) নিপাহ ভাইরাসে তিনজন আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে দুজনকে বাঁচানো যায়নি।

বাদুর যখন খেজুরের রস খায়। অন্য কোনো যে কোনো ফলও খেতে পারে। তখন ভাইরাস আক্রান্ত বাদুরের লালা খেজুরের রসে পড়ে। এই রস পান করলে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয় মানুষ। পরিবারে একজন আক্রান্ত হলে তার দ্বারা অন্যরা আক্রান্ত হতে পারে। তাই কাঁচা খেজুরের রস, বাদুরে খাওয়া ফল খাওয়া যাবে না। শীতকালের খেজুরের রস পছন্দ সবার। তাই বলে কাঁচা রস খেয়ে বিপদ শুধু একার নয়। গোটা পরিবারের জন্য ডেকে আনবেন কেন। একটু সতর্ক হলে অসুবিধা কোথায়? সংক্রমিত ও মৃতদের বেশির ভাগই রাজশাহীর বিভাগের। বাদুর তো দেশের সব জায়গায় আছে। তাহলে রাজশাহী বিভাগের মানুষ আক্রান্ত বেশি হচ্ছে কেন। সেটা গবেষণার দাবি রাখে। পাশাপাশি নিপাহ ভাইরাসে আক্রন্তদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

২০২১ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশে সরকারিভাবে ৩২৫ জনের দেহে নিপাহ ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে মধ্যে ২৩০ জনই মারা গেছে। মৃত্যুর হার ৭১ শতাংশ। পরিসংখ্যান দেখলে বুঝা যায়, নিপাহ ভাইরাস কতটা ভয়াবহ।

তবে আশার কথা, আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রের (আইসিডিডিআর,বি) এক গবেষণায় প্রথমবারের মতো মায়ের কাছ থেকে সন্তানের শরীরে নিপাহ ভাইরাসের অ্যান্টিবডি বা সম্ভাব্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার প্রবাহের প্রমাণ মিলেছে। সম্প্রতি আইসিডিডিআরবির বিজ্ঞানী এবং সহযোগীদের একটি নতুন গবেষণার ফলাফল ট্রপিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

মানুষকে সচেতন করার জন্য সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকারি তৎপরতাগুলোতে সবার সহযোগিতা দরকার। আমরা নিজ পরিবার, পরিচিতজনের সতর্ক করতে পারি। বিশেষ করে পরিবারের উঠতি বয়সি কিশোরদের। যারা রাত-বিরাতে নানা আয়োজনে কাঁচা রস পান করে। সচেতনতা ছাড়া নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা কমানো যাবে না।

বনানী ঢাকা।

[email protected]

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত