ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আমার ভাষা আমার পরিচয়

রায়হান আহমেদ তপাদার, গবেষক ও কলামিস্ট, [email protected]
আমার ভাষা আমার পরিচয়

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিও আমাদের জাতীয় জীবনে এই সংকট নেমে এসেছিল। ধর্মের সঙ্গে আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতির সংঘাত বাধিয়ে দিয়েছিল। এ সংঘাত থেকে রক্ষা করেছে একুশের আত্মদানকারীরা। আত্মত্যাগের ওপর সভ্যতার ভিত রচিত হয়। এ কথা বললে ভুল হবে না যে, বাঙালির সভ্যতার ভিত রচিত হয়েছে একুশের শহীদের আত্মদানের ওপর, ভাষাই মানুষকে মানুষ করে তোলে। নির্মম সত্য কথা। মানুষের যখন ভাষা ছিল না, তখন মানুষ ও পশুর সঙ্গে পার্থক্য ছিল না। মানুষের ব্যক্তিজীবন, সমাজজীবন, রাষ্ট্রজীবন ও জাতীয় জীবনের বিকাশ ঘটে ভাষার মাধ্যমে। ভাষা মানুষের বেঁচে থাকার হাতিয়ার। একুশ মানে মায়ের মুখের ভাষা, একুশ মানে স্বপ্ন, সাধ ও আশা। একুশ আমার শ্বাস-প্রশ্বাস, একুশ তাজা রক্ত, একুশ আমার প্রেম যমুনা, একুশ আলোর নদী, একুশ আমার গোলাপঝরা কৃষ্ণচূড়া ফুল, একুশ আমার পলাশ-শিমুল বাংলা ভাষার মূল, একুশ আমার সবুজ নিশান স্বাধীনতার সুর। একটি দিন সাক্ষী হয়ে গেল সেই ইতিহাসের, কুঁড়ি থেকে ফুল হতে হতে ঝরে যাওয়া জীবনের শত বাঙালির প্রাণের দাবি আদায়ের আন্দোলনের, মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠার। রাষ্ট্রভাষা বাংলা সাক্ষী আজ সেই গৌরবের। মায়ের ভাষার জন্য জীবন বাজি রাখার অনন্য ইতিহাসকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো একুশে ফেব্রুয়ারি দিনটিকে ঘোষণা করে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে। কিন্তু যে বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে বায়ান্নতে মাতৃভূমির অকুতোভয় সন্তানরা জীবন দিয়েছিলেন, সে ভাষার শুদ্ধতা রক্ষায় ব্যর্থ হলে পরম গৌরবময় সেই আত্মদান বৃথা যাবে। তাই ভাষাশহীদের শ্রদ্ধা জানানোর সবচেয়ে বড় উপায় হলো বাংলা ভাষার স্বাতন্ত্র্য ও শুদ্ধতা এবং সৌন্দর্য যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে সে লক্ষ্যে সক্রিয় থাকা। মাতৃভাষা সহজাতভাবেই মানুষ আয়ত্ত করে থাকে বটে, যদিও তার চর্চা বা প্রয়োগে সচেতন না হলে সে ভাষার শুদ্ধতা ও বৈশিষ্ট্য বজায় থাকে না।

ভাষা ব্যবহারে হেলাফেলা ও অসতর্কতার কারণে শুদ্ধতা হারাতে পারে প্রাণের ভাষা এটা মনে রাখা কর্তব্য ভাষার মাস, তাই ভাষার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের পাশাপাশি দায়বদ্ধতা সম্পর্কে সচেতনতার মাসও। ভাষার মাসে মাতৃভাষার প্রতি মানুষের ভালোবাসা জাগিয়ে তোলা এবং ভাষা-সচেতনতা গড়ে তোলার কাজটি তাৎপর্যপূর্ণভাবে শুরু করা এবং তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখা প্রয়োজন। নবীন শিক্ষার্থীদের জ্ঞান, আকাঙ্ক্ষা আর স্বপ্নের আদান-প্রদান মাতৃভাষার মাধ্যমেই সবচেয়ে সফলভাবে সম্পন্ন হতে পারে। বাঙালির অধিকার সচেতনতার অভাবে ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর আম্রকাননে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতনের মাধ্যমে বাংলার স্বাধীনতা সূর্য অস্তমিত হয়েছিল। ব্রিটিশ ভারতের ইতিহাস লক্ষ্য করলেই আমরা দেখতে পাই, বাঙালিরা কখনোই তাদের স্বার্থসিদ্ধির ব্যাপারে উদ্যমী এবং মরিয়া ছিল না। তাই সর্বপ্রথম বাঙালি জাতি ভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘটিত হয়েছিল এবং নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির ব্যাপারে ছিল বদ্ধপরিকর এবং সচেতন। অতএব, বলা যায় ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমেই বাঙালির মধ্যে অধিকার সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছিল। ভারতীয় উপমহাদেশে বাঙালি জাতির ইতিহাস হলো আন্দোলন-সংগ্রামের ইতিহাস। এ আন্দোলনের মধ্য দিয়েই ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ বেনিয়াদের উপমহাদেশ থেকে বিদায় করতে সক্ষম হয়। ব্রিটিশদের বিতাড়িত করার সঙ্গে সঙ্গে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তান ও ভারত নামে দুটি আলাদা রাষ্ট্রের জন্ম হয়। পাকিস্তান সৃষ্টি হওয়ার পর এর দুটি অংশের মাঝে ধর্মের মিল ছাড়া অন্য কোনো মিল ছিল না। শুরু থেকে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী এদেশের ভাষা ও সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। এর ফলে শুরু হয় ভাষা আন্দোলন। স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টিতে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অপরিসীম। ১৯৪৭ থেকে শুরু হওয়া এ আন্দোলন ১৯৫২ সালে চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করে। বাংলার ইতিহাসে পাকিস্তানের শোষণের বিরুদ্ধে এটাই ছিল বাঙালি জাতির প্রথম বিদ্রোহ।

বছর পরিক্রমায় একে একে ১১টি মাস অতিক্রম করে আবার আমাদের মাঝে উপস্থিত হচ্ছে ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। আর তাই তো বলি, একুশ মানে মায়ের মুখের হাসি, একুশ আমার মায়ের হাতের রঙিন কাচের চুড়ি, একুশ আমার প্রিয় ভাষায় স্বাধীন মনের বুলি, একুশ আমার কৃষক ভাইয়ের একমুঠো ধান, একুশ আমার বাউল মনে সুরের ঐক্যতান, একুশ মানে ফাগুনের আগুনরাঙা ফুল, একুশ মানে লক্ষ্য নির্ভুল, একুশ মানে রফিক, শফিক, বরকত ও জব্বার, একুশ মানে বাঙালি জাতির অহংকার। এ শুধু বইয়ের মেলা নয়, এটি বাঙালির প্রাণের মেলা। একুশের চেতনাদীপ্ত প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে বইমেলা শুরু ১ ফেব্রুয়ারি থেকে। এই মেলা চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ভাষা আন্দোলনের মাসে আয়োজিত এ মেলাকে কেন্দ্র করে বাঙালির সংস্কৃতিচর্চা ঋদ্ধ হয়। সময়ের পরিক্রমায় একুশে বইমেলা আমাদের বৃহত্তর সাংস্কৃতিক মেলায় পরিণত হয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের চর্চা সমৃদ্ধ হচ্ছে। এই মেলার সঙ্গে জড়িয়ে আছে ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি। ভাষার জন্য সেদিন যারা প্রাণ দিয়েছিলেন, তাদের স্মৃতি অমøান রাখতেই এ মেলার নামকরণ ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’। মাত্র ৩২টি বই নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল এই বইমেলা। ১৯৭২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মুক্তধারার প্রকাশক চিত্তরঞ্জন সাহা একক উদ্যোগে বইমেলা শুরু করেন। ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত তিনি একাই মেলা চালিয়ে গেছেন। পরে ক্রমান্বয়ে আরও প্রকাশনা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। ১৯৭৮ সালে বাংলা একাডেমি বইমেলার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়। তবে তখনও মেলার পরিসর ছিল ভিন্ন। বর্তমানে যে পরিসরে একুশে বইমেলার আয়োজন করা হচ্ছে, তা শুরু হয় ১৯৮৪ সাল থেকে। শুরুতে ফেব্রুয়ারিজুড়ে বইমেলা চলত না; কিন্তু বর্তমানে পুরো ফেব্রুয়ারিই বইমেলার মাস। লাখ লাখ মানুষের সমাগম ঘটে মেলায়। মেলার বাণিজ্যিক দিকটির চেয়ে বড় হয়ে ওঠে সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের দিকটি।

প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বইমেলার আয়োজন করা হয়। ভাষা আন্দোলনের গৌরবের স্মৃতিকে অমøান রাখতেই বইমেলার নামকরণ হয় ‘অমর একুশে বইমেলা’। বইমেলার ইতিহাস দীর্ঘদিনের। এর ইতিহাসের সঙ্গে যে নামটি ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে আছে তিনি চিত্তরঞ্জন সাহা। ১৯৭২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি চিত্তরঞ্জন সাহা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বর্ধমান হাউস প্রাঙ্গণে বটতলায় এক টুকরো চটের ওপর কলকতা থেকে আনা ৩২টি বই দিয়ে বইমেলা শুরু করেন। বাংলাদেশি শরণার্থী লেখকদের লেখা এই বইগুলো প্রকাশিত হয় তার প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন বাংলা সাহিত্য পরিষদ থেকে। যার বর্তমান নাম মুক্তধারা প্রকাশনী। ১৯৭২-১৯৭৬ সাল পর্যন্ত বইমেলা চলে এভাবেই। তার প্রচেষ্টায় এই মেলা বিকশিত হতে থাকে ক্রমাগত। ১৯৭৬ সালে বইমেলার প্রতি উৎসাহিত হন অন্য প্রকাশকরা। বইমেলার পরিধি বাড়তে থাকে। পরের বছরে বিক্রেতার সংখ্যা বেড়ে যায়। ১৯৭৮ সালে বইমেলা পূর্ণাঙ্গ মেলায় রূপান্তরিত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে। তখনকার মহাপরিচালক ড. আশরাফ সিদ্দিকী বাংলা একাডেমিকে বইমেলার সঙ্গে যোগ করার ঘোষণা দেন। তখন থেকেই বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বাঙালির প্রাণের মেলা শক্তভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭৯ সালে বাংলা একাডেমির বইমেলার সঙ্গে যুক্ত হয়, বাংলাদেশ পুস্তক বিক্রেতা ও প্রকাশক সমিতি। ওই বছরই বাংলা একাডেমির সঙ্গে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি যৌথভাবে বইমেলার আয়োজন করে। ১৯৮৪ সালে বাংলা একাডেমি বইমেলার জন্য বিধিবদ্ধ নীতিমালা প্রণয়ন করে। একই সঙ্গে এ বইমেলার নামকরণ করা হয় ‘অমর একুশে বইমেলা’। ওই সময় থেকে গৌরবের সঙ্গে প্রতিবছর অমর একুশে বইমেলা আয়োজিত হয়ে আসছে। অমর একুশে বইমেলা আমাদের মাতৃভাষা, সংস্কৃতি ও সাহিত্য বিকাশের অঙ্গীকারকে মনে করিয়ে দেয়।

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারিও আমাদের জাতীয় জীবনে এই সংকট নেমে এসেছিল। ধর্মের সঙ্গে আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতির সংঘাত বাধিয়ে দিয়েছিল। এ সংঘাত থেকে রক্ষা করেছেন একুশের আত্মদানকারীরা। আত্মত্যাগের ওপর সভ্যতার ভিত রচিত হয়। এ কথা বললে ভুল হবে না যে, বাঙালির সভ্যতার ভিত রচিত হয়েছে একুশের শহীদের আত্মদানের ওপর। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছেন- কোনোকালে একা হয়নিকো জয়ী পুরুষের তরবারি, প্রেরণা দিয়াছে, শক্তি দিয়াছে, বিজয় লক্ষ্মী নারী। বিশ্বজুড়ে সব মহৎ কাজে নারী-পুরুষ উভয়ের অবদান আছে। ভাষা আন্দোলনের শুরু থেকে শেষ অবধি আছে নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণের সমৃদ্ধ ইতিহাস। ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ দাবির আন্দোলনে সহযোদ্ধা হয়ে পুরুষদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন নারীরা। পাকিস্তান আর্মি ও পুলিশের তাক করা বন্দুকের নলকে উপেক্ষা করে ভাষার দাবির মিছিলগুলোতে সামনের কাতারে ছিলেন নারীরাও। যাই হোক, ভাষার দাবি মেনে নিলেও অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিকভাবে পাকিস্তানিদের দ্বারা বাঙালিদের শোষণ ও বৈষম্য চলতেই থাকল। ফলে ভাষার জন্য আন্দোলনের সমাপ্তি ঘটলেও অধিকারের জন্য আন্দোলন চলতেই থাকল। তারই ধারাবাহিকতায় অধিকার, স্বাধিকার, স্বায়ত্তশাসন এবং সবশেষে স্বাধীনতার জন্য আমাদের সংগ্রাম করতে হলো। আমরা যুদ্ধজয় করে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ পেলাম। পৃথিবীতে খুব কম রাষ্ট্রই আছে, যাদের রাষ্ট্রের নাম হয়েছে ভাষার নামে। সাধারণত দেশের নামে ভাষার নাম হয়েছে তেমনটাই দেখতে পাওয়া যায়। এখানেও একুশের চেতনাই জড়িত ভাষা আন্দোলন বিষয়টি নিতান্তই ভাষার জন্য ছিল না, পুরো বিষয়টিই ছিল অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক। পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে, ভাষা আন্দোলন ছিল বাঙালি জাতির মুখের ভাষাকে রক্ষা করার জন্য নিরস্ত্র বাঙালির সশস্ত্র পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে প্রথম প্রত্যক্ষ আন্দোলন।

বাঙালির মুখের ভাষা যাতে কেউ কেড়ে নিতে না পারে, সেজন্য প্রতিবাদে সোচ্চার ছিল। আর এ সচেতনতার কারণেই ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে বাঙালি সফল হয়। ভাষাই মানুষকে মানুষ করে তোলে। নির্মম সত্য কথা। মানুষের ব্যক্তিজীবন, সমাজজীবন, রাষ্ট্রজীবন ও জাতীয় জীবনের বিকাশ ঘটে ভাষার মাধ্যমে। ভাষা মানুষের বেঁচে থাকার হাতিয়ার। এ হাতিয়ার কেড়ে নিতে চেয়েছিল শাসকরা। রুখে দিয়েছিল ভাষাশহীদরা। যে মানুষের মতো মানুষ হতে হলে চাই মাতৃভাষা, চাই নিজেদের সাহিত্য ও সংস্কৃতি। একুশে ফেব্রুয়ারি ইতিহাসকে সফল করে তুলতে হলে মাতৃভাষা আর মাতৃভাষার সাহিত্যকে আমাদের জীবনের উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। করতে হবে তাকে সব জ্ঞানের বাহন। একুশের শহীদরা বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে প্রমাণ করেছেন, আমরা জাতি হিসেবে মহত্ত্বভ্রষ্ট নই, প্রাণহীন নই, জীবন্মৃত নই, প্রাণের যে বৈশিষ্ট্য তা আমাদের আছে। প্রাণ দিয়েই আমরা প্রাণের মূল্য রক্ষা করেছি, জীবন দিয়ে জীবনের মর্যাদা খাড়া করেছি। রক্ত দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছি। মানুষ কল্পনা করে, স্বপ্ন দেখে, প্রেমে, বিরহে অশ্রুবর্ষণ করে, বিদ্রোহে প্রতিবাদে জেগে ওঠে মাতৃভাষার মাধ্যমে। ধার করা ভাষায় পণ্ডিত হওয়া যায়, মানুষ হওয়া যায় না। তাই তো বলি, আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত