সরকার কোনো ধরনের ঘোষণা ছাড়াই জানুয়ারি ২০২৩ বিদ্যুতের মূল্য বাড়িয়েছে। আবারও নতুন করে বিদ্যুতের মূল্য বাড়ল, যা অমানবিক। যুদ্ধ এবং এ করোনার ক্রান্তিলগ্নে দেশের মানুষ যখন দিশেহারা, ব্যবসা-বাণিজ্য নেই, চাকরি নেই, বেতন নেই, কর্ম নেই, ঘরে ঘরে বেকারত্বের হাহাকার, রাস্তায় রাস্তায় নায্যমূল্যের চালের ট্রাকের পেছনে শত শত মহিলা-পুরুষের দৌড়ঝাঁপ ঠিক সেই মুহূর্তে বিনা প্রয়োজনে সরকার জনগণের ওপর আরেক ধাপ বিদ্যুৎ বিলের বোঝা চাপিয়ে দিল। প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম যথেষ্ট বৃদ্ধি করেছে সরকার। সরকারের এ ধরনের কার্যকলাপে জনগণ ক্ষুব্ধ। এরই মধ্যে ঢাকা ওয়াসাও পানির দাম বাড়িয়েছে। কোথায় যাবে জনগণ। মনে হয়, জনগণের পাশে সরকার নেই। নতুন করে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির মাধ্যমে দেওয়ালে জনগণের পিঠ ঠেকে গেছে। এটা বড়ই দুঃখজনক। আবার নাকি গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি করার পাঁয়তারা চলছে। অথচ দেশে গ্যাস সংকট লেগেই রয়েছে। ঘরে ঘরে গ্যাস নেই। বিদ্যুৎ খাতে প্রচুর অযৌক্তিক ব্যয় রয়েছে। তারপর এই সেক্টরে লুটপাটের সীমা নেই। অনিয়ম, দুর্নীতি বন্ধ করে এই সেক্টরে শৃঙ্খলা-সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা গেলে বিদ্যুতের মূল্য করার কোনো প্রয়োজন ছিল না, এমনিতেই সামনে নির্বাচন। সরকারকে বুঝেশুনে এগুতে হবে। আশাকরি সরকার বিষয়টি পুনঃবিবেচনা করবেন। কারণ যুদ্ধ ও করোনা মহামারিতে জনগণের আয়-উন্নতি বা ব্যবসা-বাণিজ্য নেই বললেই চলে। অথচ এ দ্রব্যমূল্যের বাজারে নতুন করে বিদ্যুৎ বিলের চাপ সহ্য করা জনগণের পক্ষে দুষ্কর।
মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী
ফরিদাবাদ-গেন্ডারিয়া, ঢাকা