ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সন্তানের প্রতি যত্নশীল হোন

হালিমা আক্তার
সন্তানের প্রতি যত্নশীল হোন

প্রতিটি পরিবার আলোয় আলোকিত করে রাখে সন্তান-সন্ততিরা। সন্তান যখন বিপথে যায়, খারাপ বন্ধুদের সঙ্গে মিশে, নেশা করতে শুরু করে, বাবা-মার অবাধ্য হতে শুরু করে, তখন একটা সংসার কালো মেঘে ঢেকে যায়। এটার প্রধান কারণ হলো সন্তানের সঙ্গে বাবা-মার সম্পর্কের অবনতি। বর্তমান সময়ে প্রায় দেখা যায় বাবা-মা দু’জনেই চাকরি করে। যার শিশুদের সঙ্গে আনন্দ করার মুড থাকে না। ফলে, শিশু নিজেকে একাভাবে। আরেকটা সাধারণ চিত্র হলো একক পরিবার। বর্তমানে যৌথ পরিবার দেখাই যায় না। তবে হাজার সমস্যার মধ্যে, আমি মনে করি, সন্তান বিপথে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো বয়ঃসন্ধি কাল সম্পর্ক তাদের সচেতন না করা। এ সময়ে বাবা-মা হিসেবে আপনাদের দায়িত্ব হলো সন্তানদের এই বিষয়ে তাদের জানানো। তাদের এই সময় করণীয় বিষয়গুলো বোঝানো। বিপরীতে লীঙ্গের প্রতি তখন যে তাদের আকর্ষণ হবে, এই বিষয়ে তাদের বলা, এটার সুফল-কুফল সম্পর্কে বলা।

আরেকটি বিষয় হলো- তাদের ওপর চাপিয়ে দেয়ার নীতি। এ নীতি দয়া করে বন্ধ করুন। একটি সাধারণ বিষয় হলো অমুকের ছেলে বিজ্ঞান বিভাগে পড়ে, আমার ছেলেকেও পড়তে হবে। অমুকের মেয়ে গান পাড়ে, আমার মেয়েকেও পারতে হবে। এটা একটা অসুস্থ প্রতিযোগিতা এ প্রতিযোগিতা বন্ধ করুন। কথায় আছে না- ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে। সত্যি তাই প্রতিটা শিশুর মাঝে নিজস্ব কিছু প্রতিভা থাকে, তা খুঁজে বের করুন। সে কি হতে চায় তা দেখুন। আপনি কি বানাতে চান তা নয়। ওদের সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হতে সাহায্য করুন।

সন্তানদের বই পড়ার অভ্যাস করুন। অনেক বাবা-মা বলে থাকেন, শিশুরা শুধু মোবাইল-ল্যাপটপ নিয়ে ব্যস্ত, বই কখন পড়বে। বিশ্বাস করুন আপনি নিজে মোবাইল থেকে দূরে থাকুন। আপনি আপনার সন্তানের সামনে বই পড়েন। দেখবেন তারাও বই পড়া শুরু করবে।

প্রতিটি শিশুদের মধ্যে বাবা-মার আচরণের ছাপ থাকে। আপনার আচরণ যথাযথ করুন। তাহলে আপনি ও ভালো আচরণ পাবেন সন্তানদের কাছ থেকে।

সন্তানদের ছোটকাল থেকেই ধর্মীয় বিষয়াবলি শিক্ষা দেয়ার চেষ্টা করবেন। তবে আগে নিজে ধর্মীয় বিষয়াবলির প্রতি যত্নশীল হবেন। দেখবেন আপনার সন্তান অটোমেটিকভাবে ধর্মীয় বিষয়ের প্রতি আগ্রহী হচ্ছে। সর্বোপরি বলব, সন্তানদের প্রতি যত্নশীল নয়- যথাযথ যত্নশীল হোন। তাদের শারীরিক মানসিক বিষয়াবলির প্রতি মনোযোগী হোন, তাহলেই সুন্দর পরিবার গড়ে উঠবে। আপনার সন্তানের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।

শিক্ষার্থী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

[email protected]

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত