চি ঠি প ত্র

দিশেহারা মানুষ

প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

স্বল্প ও মধ্যম আয়ের মানুষের জীবনযাত্রায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত চাল, সয়াবিন তেল, আটা, মুরগি, চিনিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্য। দৈনন্দিন সংসারের খরচ বহনে হিমশিম খেতে হচ্ছে এ শ্রেণির মানুষগুলো। বাজারে নিত্যপণ্যের দামে ঊর্ধ্বগতি চাঁদপুর জেলার মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত ও সীমিত আয়ের মানুষের জন্য অপ্রত্যাশিত দুর্ভোগরূপে দেখা দিয়েছে। এসব অনিয়ন্ত্রিত মাত্রাতিরিক্ত পণ্যের মূল্য সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষকে হতাশাগ্রস্ত করছে। দেখার যেন কেউ নেই। যে যার মতো করে ব্যবসা করে যাচ্ছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, মোকামেই তাদের কাছ থেকে বেশি রাখছেন, তাই তারাও ক্রেতাদের কাছে এমনটাই করছেন। অন্যদিকে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন দুর্যোগ কিংবা পণ্যের সংকট দেখিয়ে অতিরিক্ত দামে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছেন পাইকাররা।

নিত্যপণ্যের অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধিতে বাজারদর বহু আগেই তাদের ক্রয়সীমার বাইরে চলে গেছে। ফলে বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনোভাবে টিকে থাকায় এখন দায়। বর্তমান নিত্যপণ্যের অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধিতে দু’বেলা ডাল-ভাতের জোগান দেয়ার নিশ্চয়তাও ক্রমেই হারিয়ে ফেলছেন তারা। বাজারে নিত্যপণ্যের সংকটের অজুহাতকে পুঁজি করে ব্যবসায়ীরা নিত্যপণ্যের দাম প্রতিনিয়ত বাড়িয়ে চলছেন। বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের তেমন নজরদারি না থাকায় ব্যবসায়ীরা দোকানে মূল্য তালিকাবিহীন প্রতিনিয়িত যে যার মতো করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে চলছেন। খুচরা কিংবা পাইকারি ব্যবসায়ীদের এমন অজুহাতে দিশেহারা জেলার নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষগুলো। এমতাবস্থায়, পর্যাপ্ত পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করা, ভোক্তাবান্ধব বাজার ব্যবস্থা এবং কৃত্রিম সংকট তৈরির সঙ্গে জড়িত অসাধুচক্রকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিতে সরকারের সুদৃষ্টি প্রয়োজন। সেইসঙ্গে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ে চাঁদপুর জেলা ও স্বস্ব উপজেলা প্রশাসনের কড়া নজরদারি কামনা করছি।

মো. মাসুদ হোসেন

চাঁদপুর সদর