অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণ রোধে ব্যবস্থা নিন

মিসবাহুল ইসলাম

প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

নিত্যদিনে মানুষের মৃত্যু, দেশ ও জনগণের সম্পদ নষ্ট হওয়ার অন্যতম কারণ হলো অগ্নিকুণ্ড ও বিস্ফোরণ। মিডিয়া ও পত্রিকায় প্রতিদিন এ ধরনের খবর উঠে আসে। এক বা দুইজনের অসতর্কতার দরুণ হাজারো মানুষের মৃত্যু ও ক্ষতিসাধন হয়। নিজেদের কারণে সংঘটিত এ ধ্বংসাত্মক অবস্থা থেকে ফিরে আসতে আমাদের একটু নজরদারি প্রয়োজন। অন্যথায়, আগুনের এ ক্ষতির শঙ্কা নিয়েই বেঁচে থাকতে হবে। মার্চের শুরু থেকে এখন? পর্যন্ত এক জরিপ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ১৪ মার্চ ঢাকার তেজকুনিয়া পাড়ায় এক বস্তিতে আগুনের ঘটনায় অসংখ্য মানুষের ক্ষয়ক্ষতি হয়। ফায়ার সার্ভিস নিরাপত্তা বাহিনীর মতে, গ্যাসের মাধ্যমেই এই বিস্ফোরণ বড় আকার রূপ নিয়েছে। ৭ মার্চ, ছিদ্দিক বাজারের ৭ তলা ভবনের ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা সম্পর্কে সবাই কমবেশি অবগত। জমে থাকা গ্যাস থেকেই এই বিস্ফোরণ হয়েছে বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন অনেকে। এই ঘটনায় নিচতলা এবং দুতলা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। শতাধিক আহত এবং অনেকেই মারা যায়। এর দুই দিন আগে গত ৫ মার্চ, ২০২৩ ইং সাইন্স ল্যাবরেটরি এলাকার ৩ তলার একটি ভবনের বিস্ফোরণ হয়েছে । এতে ১৫ জন আহত এবং তিনজন মারা গিয়েছে। পরবর্তী সমযে অগ্নি-নিষ্ক্রিয়করণ একদল বলছে, গ্যাস লাইন ছিদ্র হওয়ার পাশাপাশি অন্য কারণও রয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, গ্যাসের সমস্যাজনিত কারণেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে রাজধানী। আরেক জরিপে দেখা গেছে, ৪ মার্চ ২০২৩ ইং গুলশানের এক বাসায় অগ্নিকুণ্ডের ঘটনায় একজন নিহত ও আরেকজন গুরুতর আহত হয়েছিলেন। অফিস, প্রতিষ্ঠান এবং ফ্যাক্টরিসহ সব জায়গায় নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ছে। অথচ, সচেতনতা বাড়ালেই এমন পরিস্থিতি সামনে আসে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভবন নির্মাণের নানা আইন লঙ্ঘন ও ত্রুটি-বিচ্যুতি, গ্যাস লাইনের ছিদ্র এবং গ্যাস-সিলিন্ডারের অবহেলিতজনিত কারণেই এমন সমস্যা। তাই, গ্যাসের চুলায় সতর্কতা বাড়ানোর পাশাপাশি বৈদ্যুতিক পুরাতন লাইনগুলো পুনরায় সংস্কার করতে হবে। পুরো ঢাকা শহর নতুন করে তদারকি করা এবং নিজ নিজ রান্নাঘরের সিলিন্ডার, গ্যাস ও বৈদ্যুতিক লাইনগুলোর সঠিক ব্যবহার করতে হবে। অতএব, জনসচেতনতার পাশাপাশি কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার বিশেষ আর্জি প্রকাশ করছি।

শিক্ষার্থী

দারুল হেদায়া ইসলামিক

ইনস্টিটিউট বারিধারা ঢাকা

[email protected]