ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

গৌরবময় বাংলার পাট এবার কৃষিপণ্যের মর্যাদায়

কৃষিবিদ ড. মো. আল-মামুন, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, প্রজনন বিভাগ, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট, [email protected]
গৌরবময় বাংলার পাট এবার কৃষিপণ্যের মর্যাদায়

সোনালি আঁশ খ্যাত পাটের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য গভীরভাবে জড়িয়ে আছে। পাট খাত দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী অন্যতম ক্ষেত্র। দেশীয় সংস্কৃতি ও কৃষ্টির সঙ্গে মানানসই পাট ও পাটজাত পণ্য দেশে-বিদেশে পরিবেশবান্ধব পণ্য হিসেবে সমাদৃত। আমাদের দেশেই পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত মানের পাট উৎপাদিত হয়। বাংলাদেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার প্রায় তিন শতাংশ পাট থেকে আসে এবং দেশের জিডিপিতে-এর অবদান প্রায় শতকরা তিন ভাগ। এ দেশের প্রায় ৪০ লাখ কৃষক পাটের ফসল উৎপাদন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত। দেশের শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান ও রপ্তানীতে পাট খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বিশ্বব্যাপী পরিবেশের ওপর প্লাস্টিক ও পলিথিনের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি হওয়ায় ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে বিকল্প প্রাকৃতিক তন্তু হিসেবে পরিবেশবান্ধব পাটের।

বিশ্বের শীর্ষ পাট উৎপাদনকারী দেশ এখন বাংলাদেশ। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সর্বশেষ স্ট্যাটিস্টিক্যাল বুলেটিনের তথ্যমতে, ২০২০-২১ অর্থবছরে ভারতে পাটের উৎপাদন ৯ লাখ ৮০ হাজার টন। আর বাংলাদেশের উৎপাদন ছিল ১৪ লাখ ৮ হাজার টন। ভারতের উৎপাদন কমে যাওয়ায় বাংলাদেশ শীর্ষস্থান দখল করেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২১-২২ অর্থবছরে আমাদের দেশে ৭ লাখ ২১ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, উৎপাদন বৃদ্ধিতে ঘাতসহিষ্ণু জাত উদ্ভাবন এবং কৃষকদের কাছে সব সুবিধা দ্রুত পৌঁছে দিতে পারলে অন্তত ১০ লাখ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ বাড়ানো সম্ভব। পাট অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, বছরে দেশে ৮৫ থেকে ৯০ লাখ বেল কাঁচাপাট উৎপাদিত হয়। এর মধ্যে বেসরকারি পাটকলগুলোর জন্য বছরে ৬০ লাখ বেল কাঁচাপাট প্রয়োজন। আর গৃহস্থালিতে ব্যবহারের জন্য দরকার পাঁচ লাখ বেল। পাট খাতের বৈশ্বিক রপ্তানি আয়ের ৭২ শতাংশ এখন বাংলাদেশের দখলে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যমতে, ২০২১-২২ অর্থবছরে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে আয় হয়েছিল ১১২ কোটি ৭৭ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এ খাত থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের লক্ষ্য ১২৮ কোটি ডলার।

আধুনিকায়ন ও বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে পাটের অতীত গৌরব ফিরিয়ে আনতে সরকারের নানাবিধ উদ্যোগের ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে এ খাতের অবদান ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাট ও পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি এবং বিশ্বব্যাপী সোনালি আঁশের উজ্জ্বল সম্ভাবনা তুলে ধরার লক্ষ্যে পাটপণ্যকে ‘বর্ষপণ্য ২০২৩’ এবং পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। মন্ত্রিসভা বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সোনালি আঁশ পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে কৃষি মন্ত্রণালয় এবং গত ১ মার্চ ২০২৩ প্রজ্ঞাপনের গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। পাট কৃষিজাত পণ্য হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় এখন থেকে কৃষিঋণের মধ্যে পাটও যুক্ত হবে এবং পণ্য রপ্তানিতে পাবেন সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা। কৃষি বিপণন আইন অনুসারে কৃষিপণ্য হিসেবে এখন থেকে পাটের সর্বনিম্ন মূল্য ও যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ এবং তা বাস্তবায়ন করবে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। পাশাপাশি পাটপণ্যের মূল্য সংযোজন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ কার্যক্রমে সহায়তা, অভ্যন্তরীণ ও রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ এবং শিল্প ও ব্যবসার উন্নয়ন, প্রসার, বিপণন কার্যপদ্ধতি উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সুবিধা পাবে।

সরকার বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উদ্ভাবন, ব্যবহার সম্প্রসারণে গুরুত্বারোপ করেছে। দেশের অভ্যন্তরে পাটপণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধির পাশাপাশি পাট চাষসহ পাট খাতের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন ও সুরক্ষার লক্ষ্যে ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০’, ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার বিধিমালা, ২০১৩’, ‘পাট আইন, ২০১৭’, জাতীয় পাটনীতি, ২০১৮’ এবং ‘চারকোল নীতিমালা, ২০২২’ প্রনয়ন করা হয়েছে। পাট ও পাটজাতীয় ফসলের উন্নত জাত উদ্ভাবন, পাটচাষিদের প্রশিক্ষণ প্রদান ও উদ্ধুদ্ধকরণ এবং উন্নতমানের পাটবীজসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহের ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাটের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলশ্রুতিতে পাটকলগুলো নিরবছিন্নভাবে পাট সংগ্রহ করতে পারছে, যা রপ্তানি আয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এবং কৃষকরাও পাচ্ছেন পাটের সঠিক মূল্য।

অভ্যন্তরীণ বাজার ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন করে ইউরোপের দেশগুলোতে পাটজাত পণ্যের রপ্তানি বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জেডিপিসি)-এর নিবন্ধিত উদ্যোক্তারা বিভিন্ন ধরনের দৃষ্টিনন্দন ও শৈল্পিক গুণসম্পন্ন নতুন নতুন ডিজাইনের বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদন এবং বিশ্ববাজারে বহুমুখী পাটজাতপণ্যকে জনপ্রিয় করতে প্রচার-প্রচারণাসহ বিদেশে বিভিন্ন মেলার আয়োজন করার কাজ চলমান রয়েছে। দেশের রপ্তানি বাণিজ্যকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে নগদ সহায়তা প্রদান করছে সরকার। এছাড়া পাটবীজ উৎপাদনে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে একটি রোডম্যাপও তৈরি করা হয়েছে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রম সম্প্রসারমান পাট ও পাটজাত পণ্য দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ‘পাট শিল্পের অবদান, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ প্রতিপাদ্যে ৬ মার্চ প্রতি বছরের ন্যায় দেশজুড়ে পালিত হয়েছে জাতীয় পাট দিবস।

কাঁচা পাটের পাশাপাশি জুট ইয়ার্ন, টুওয়াইন, চট ও বস্তার পর এবার বিশ্ব বাজারে পাটের কাপড়ের চাহিদা বেড়েছে। শীতপ্রধান দেশগুলোতে প্রায় ৫০ ধরনের পাটের কাপড় রপ্তানি হচ্ছে। হাতে তৈরি বিভিন্ন পাটজাত পণ্য ও কার্পেট মধ্যপাচ্যের দেশগুলোতে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। জলবায়ু পরির্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বাঁধ ও নদীভাঙন রোধে পাটের বস্তা ব্যবহার বাড়ছে। বাংলার পরিবেশবান্ধব পাট নিয়ে বিশ্বের নানা প্রান্তে গবেষণা চলছে। পাট অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পাটের তৈরি বৈচিত্র্যময় পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে কয়েকগুণ। পাটের ২২ জাতের সুতা রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের ১৪টি দেশে। আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলোতে প্যাকিং সরঞ্জাম, স্মার্ট পাটের ব্যাগ, পাটের তৈরি টব, খেলনা, জুট ডেনিম, জুয়েলারি, ম্যাটস, জুতা, স্যান্ডেল ও বাসকেটের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। এ ছাড়াও যুদ্ধ বা দুর্ভিক্ষে বিধ্বস্ত দেশগুলোতে দাতা সংস্থার ত্রাণসামগ্রী উড়োজাহাজ থেকে নিচে ফেলতে পাটের দড়ি ও বস্তার চাহিদা বেড়েছে। পাট পাতার স্যুপ ও পাটের কফিন ইউরোপের দেশগুলোতে জনপ্রিয় হয়ে ওঠছে। এছাড়া থাইল্যান্ড, চীন ও জাপানে এ স্যুপের বেশ কদর রয়েছে। বিশ্বের কয়েকটি দেশে বাণিজ্যিকভাবে পাটপাতা রপ্তানির সুযোগ রয়েছে।

পাটের আঁশের পাশাপাশি সম্ভাবনার নতুন খাত হিসেবে আবির্ভূত পাটখড়ি থেকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় তৈরি করা হয় উচ্চমূল্যের অ্যাক্টিভেটেড চারকোল। এই চারকোল থেকে তৈরি হচ্ছে কার্বনপেপার, কম্পিউটার ও ফটোকপির কালি, মোবাইল ফোনের ব্যাটারি, ওয়াটার পিউরিফিকেশন প্ল্যান্ট, বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী পণ্য। পাটের চারকোল রপ্তানি হচ্ছে চীন, তাইওয়ান, ব্রাজিলসহ বিভিন্ন দেশে। কার্বন ফ্যাক্টরি মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ চারকোল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে চার হাজার ১৮২ দশমিক ২৭ টন চারকোল রপ্তানি থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে ২৯ লাখ ২৭ হাজার ৫৮৯ ডলার বা প্রায় ২৫ কোটি টাকা। বিশ্বখ্যাত বিলাসবহুল গাড়ি ও উড়োজাহাজের ইন্টেরিয়রও তৈরি হচ্ছে পাট দিয়ে। জাপানের টয়োটা কোম্পানির গাড়ির বডিতে পরিবেশবান্ধব পাট ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ছাড়াও আমেরিকার শীর্ষ গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জিএম মোটরস এবং জাপানের মিতসুবিশি কোম্পানিও তাদের গাড়িতে বাংলাদেশের পাট ব্যবহার করছে। টয়োটা গাড়ির বডির ৩৭ শতাংশে পাট ব্যবহার করা হচ্ছে। বাংলাদেশের পাট দিয়ে পরিবেশবান্ধব প্লাস্টিক তৈরির চিন্তাভাবনা চলছে। এ জন্য বিশ্ব বিখ্যাত কানাডিয়ান ফেল কোম্পানি বাংলাদেশে তাদের কান্ট্রি প্রতিনিধি নিয়োগ করেছে। প্লাস্টিকের সঙ্গে ৩০ ভাগ পাট মিশিয়ে প্লাস্টিকসামগ্রী তৈরি করা হবে। যা পরিবেশবান্ধব হবে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) গাড়ির বডিতে ব্যবহারকৃত কাঁচ, অ্যাজবেসটস ও প্লাস্টিকের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব পাট ব্যবহারের জন্য গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে।

বাংলার পাটের রয়েছে বিশাল গৌরবময় ঐতিহ্য। আমাদের প্রাচীন সাহিত্যে পাটবস্ত্রের বর্ণনা পাওয়া গেছে। মধ্যযুগে মহর আলীর পাটের শাড়ি, হাজার বুটিক পাটের শাড়ি, সৈয়দ শামসুল হকের নুরলদীনের সারাজীবনে আগুন পাটের শাড়ির উল্লেখ রয়েছে। পাটখড়ি থেকে বিজ্ঞানী কুদরত-ই খুদা পারটেক্স আবিষ্কার করেছেন। পাট বাংলার নিজস্ব সম্পদ, অত্যন্ত মূল্যবান অর্থনৈতিক সম্পদ। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাস্তবতায়, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পাট চাষের উন্নয়ন ও পাট আঁশের বহুমুখী ব্যবহারের লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। পাটের বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য এর আধুনিকায়নের কোনো বিকল্প নেই। পণ্য বৈচিত্র্যকরণে সরকারি পাটকলগুলোতে আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজন এবং উৎপাদন স্থিতিশীল রাখার জন্য পাটের ন্যূনতম বাজারমূল্য নির্ধারণ করা যেতে পারে। এ খাতে সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে দেশীয় উদ্যোক্তাদের সহায়তা দিতে হবে এবং ছোট করাখানাগুলোকে সমবায়ের মাধ্যমে বড় আকারের উৎপাদনে কাজে লাগাতে হবে।

কালের পরিক্রমায় কৃত্রিম তন্তুর ব্যবহার বৃদ্ধি পেলেও বর্তমান টেকসই উন্নয়নের যুগে বিশ্বব্যাপী পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটপণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। অন্য যে কোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতি ও মাটি পাট উৎপাদনের জন্য বিশেষ উপযোগী হওয়ায় বিশ্বের প্রায় ৬০টি দেশে বাংলাদেশের পাট ও পাটপণ্যের চাহিদা রয়েছে। বিশ্বের এই চাহিদা মেটাতে, পাটকে বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে আমাদের কাজ করতে হবে। ফলে পাটের সোনালি অতীত ফিরে আসার ব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে পাটের জীবন রহস্য উন্মোচনের ফলে পাটবিষয়ক গবেষণা ও উন্নয়নের পথ সুগম হয়েছে। আমাদের শ্রম, মেধা, গবেষণালব্ধ ফলাফল, পাটের বহুমুখী পণ্যের সম্ভার, সম্প্রসারণশীল বাজার এবং সরকারি-বেসরকারি সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় পাট খাত উত্তরোত্তর এগিয়ে যাবে। পরিবেশবান্ধব পাট শিল্পের এ বৈপ্লবিক পরিবর্তন দ্রুতই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে পরিগণিত হবে এবং বিশ্ববাজারে একটি উল্লেখযোগ্য স্থান করে নিতে সক্ষম হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত