ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

২১ মার্চ বর্ণবৈষম্য বিলোপ দিবস

বর্ণবাদহীন মানবতার সমাজ সবার কাম্য

রায়হান আহমেদ তপাদার, গবেষক ও কলামিস্ট, [email protected]
বর্ণবাদহীন মানবতার সমাজ সবার কাম্য

মানুষ সামাজিক জীব। সমাজে বসবাস করতে গিয়ে আমাদের নানান পেশার, নানান ধর্মের মানুষের সঙ্গে সহাবস্থানে থাকতে হয়। সমাজে বিভিন্ন শ্রেণির বিভিন্ন পেশার মানুষ বসবাস করে। আমরা সবাই একে অন্যের প্রতি নির্ভরশীল। আমরা কেউ কাউকে ছাড়া চলতে পারি না। একজন শিক্ষক, ডাক্তার, উকিল, ইঞ্জিনিয়ার যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি কামার, কুমার, জেলে-তাঁতি ও নাপিতও সমান গুরুত্বপূর্ণ সমাজে। বর্তমান সময়ে বিশ্বের উল্লেখযোগ্য সমস্যার মধ্যে একটি হচ্ছে বর্ণবাদ বা বর্ণবৈষম্য। কালো এবং সাদায় বৈষম্যমূলক আচরণ। বর্ণবৈষম্য এখন শুধু বর্ণেই সীমাবদ্ধ নয়। এটি ছড়িয়ে পড়ছে মানুষের আচার-আচরণ, সমাজব্যবস্থা, রাজনৈতিক ইস্যু, ধর্মীয় মনোভাব, গোত্রীয় প্রভাব, পদ- পদবিতেও। দিনে দিনে এই বর্ণবৈষম্যের সূচক বেড়েই চলেছে। এই বৈষম্য একে অপরের প্রতি ঘৃণা আর হিংসাকে ত্বরান্বিত করে তুলছে। বর্তমান ইউক্রেন যুদ্ধেও বর্ণবৈষম্য দেখা দিয়েছে। গায়ের রং দেখে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ইউক্রেনের সেনা। এশিয়া ও আফ্রিকার নাগরিকদের বেছে বেছে হেনস্তা করা হচ্ছে, এমনকি বিপন্ন সীমান্তেও স্বর উঠছে বর্ণবৈষম্যের প্রতিবাদে। জাতিবৈষম্যের বিরোধিতা শোনা যাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের নেলসন ম্যান্ডেলা ফাউন্ডেশন পরিস্থিতির তীব্র খেদ জানিয়েছে। প্রতিষ্ঠানের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, একের পর এক প্রতিবেদন আসছে। ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, নাইজেরিয়ার মতো দেশগুলোর ছাত্রছাত্রীরা বৈষম্যের শিকার। ইউক্রেনের সংঘাত ফের তুলে এনেছে বিশ্বজুড়ে টিকে থাকা বর্ণবৈষম্য এবং জাতিবিদ্বেষের গভীর ভেদরেখাকে। এই আচরণ অত্যন্ত উদ্বেগের। জাতিবিদ্বেষ এবং বর্ণবৈষম্যের ঘটনা নথিভুক্ত করার দায়িত্বে থাকা রাষ্ট্রসংঘের আধিকারিক টেন্ডাই আইকুমেও ইউক্রেনের সেনার ব্যবহারে ক্ষোভ জানিয়েছেন প্রকাশ্যে।

প্রতিনিয়ত অনেক অভিযোগ আসছে, বেছে বেছে নির্দিষ্ট কিছু দেশের নাগরিককে বৈষম্যের মুখে পড়তে হচ্ছে। বোমারোধী আশ্রয় থেকে নিজেদের দেশের দূতাবাসে যাওয়ার জন্য যানবাহনের ব্যবস্থা থাকছে এই দেশগুলোর নাগরিকদের। এই আচরণ চলছে জাতিবিদ্বেষের কারণে। বিদ্বেষেরজনিত হত্যার দিকে ঠেলে দিতে পারে কাউকে কাউকে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, ব্রিটেনের রাজপরিবারও এ বর্ণবৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে রাজপ্রাসাদে থাকা হ্যারি-মেগান। হ্যারি-মেগানের সব বিস্ফোরক অভিযোগ স্তম্ভিত হয়ে শুনেছে বিশ্ববাসী। মেগান কোনো রাখঢাক না করেই বলেছেন, বিয়ের পর থেকেই তার গায়ের রঙ মাথাব্যথার কারণ ছিল রাজপরিবারের। বারবার বর্ণবৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে রাজপ্রাসাদে। এমনকি তার সন্তানের গায়ের রং কেমন হবে, সেই নিয়ে চর্চা হত সবসময়। চরম মানসিক অবসাদে ভুগতেন মেগান। মেগানের এও অভিযোগ ছিল, রাজপরিবারের বংশধরের গায়ের রঙ কালো হবে না তামাটে হবে নাকি হ্যারির মতো দুধসাদা রঙ হবে, সেই নিয়ে আলোচনা চলত সব সময়। মেগানকে খোঁটা দিতেও ছাড়তেন না রাজপরিবারের সদস্যরা। মানসিক অবসাদ এমন চরমে ওঠে যে, নিজেকে শেষ করে দেয়ার কথাও ভেবেছিলেন মেগান। কৃষ্ণাঙ্গী মায়ের ছেলে হওয়ার কারণেই তার সন্তান আর্চিকে রাজকুমারের খেতাব দেয়া হয়নি। অদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গদের বিরুদ্ধে বর্ণবৈষম্য ও সহিংসতার ইতিহাস বেশ পুরোনো। দেশটির জন্মলগ্ন থেকেই বলা যায় কৃষ্ণাঙ্গদের বিরুদ্ধে বর্ণবৈষম্য চলে আসছে। ২০২০ সালের ২৫ মে আমেরিকার মিনিসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে ডেরেক শোভিন নামের এক পুলিশ কর্মকর্তা জর্জ ফ্লোয়েড নামের ৪৬ বছর বয়সি এক কৃষ্ণাঙ্গকে যেরকম পাশবিক কায়দায় হত্যা করেছে। তা মার্কিন সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে বর্ণবাদ যে জেঁকে বসেছে তার জ্বলন্ত প্রমাণ বহন করে।

প্রতিবাদী মার্কিন জনতা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে লকডাউন ও কারফিউ উপেক্ষা করে ‘আই কান্ট ব্রেথ’, ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটারস’ স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে রেখেছিল দেশটির প্রধান প্রধান রাজপথ। কোথাও কোথাও শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি সহিংস দাঙ্গায় পরিণত হয়েছিল। যদিও আমেরিকার বর্ণবাদী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই বর্ণবাদী আন্দোলনকে নিছক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আখ্যা দিয়ে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিলেন। ঘটনাটি এমন এক সময় ঘটেছিল, যখন গোটা বিশ্ব করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত। সেই সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শেতাঙ্গ পুলিশ কর্তৃক কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিককে ঘাড়ে হাঁটু চাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যায় বর্ণবাদী আন্দোলন ক্রমেই সহিংস দাঙ্গায় রূপান্তরিত হচ্ছিল। এই বর্ণবাদী আন্দোলন ইতালি, স্পেন, যুক্তরাজ্য, জার্মানিসহ ইউরোপের অধিকাংশ দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল। ১৯৯৫ সালে সিবিএস পরিচালিত জরিপে বলা হয়েছে, শ্বেতাঙ্গ নাগরিকদের মাত্র ১৫ শতাংশ বলেছে বিদ্যমান অপরাধ আইন একপেশে এবং কৃষ্ণাঙ্গ স্বার্থবিরোধী। এ অভিমত ৫১ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকের। বর্তমান যুগে বর্ণবাদ নিয়ে শেতাঙ্গ মার্কিনিদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ছে। দেশটির অনেক বেশিসংখ্যক শেতাঙ্গ নাগরিক এখন এ মত পোষণ করে যে, বর্ণবাদ অন্যতম জাতীয় সমস্যা। এ ধরনের মানসিকতা থেকে নাগরিকদের বিরত রাখতে সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি। বর্ণবাদ কি শুধুই সাদা-কালো? সমাজ গবেষকরা বলছেন, শুধু রং না, এটি প্রবল আর প্রান্তিকতার বিষয়। আধিপত্য আর ক্ষমতার বিষয়। ব্রিটিশ থেকে শুরু করে যারাই এ দেশ জয় করেছে, তাদের গায়ের রং ফর্সা ছিল। রাজার রংয়ের প্রতি সমীহ, যাকে শক্তপোক্ত করেছে বিশ্ব পুঁজির সৌন্দর্যবাজার, সেও ইউরোপকেন্দ্রিক। পশ্চিমা দেশে গায়ের রংয়ে বর্ণ চেনা গেলেও, বর্ণবাদ স্রেফ গায়ের রংভিত্তিক না। শ্বেতাঙ্গ মানুষের দাস বাণিজ্য আর ঔপনিবেশিক ইতিহাস থেকে উঠে আসা শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্বের বিপরীতে সব জাতি, সব বর্ণ এবং সব ধর্মের মানুষ বর্ণবাদের স্বীকার।

বর্ণবাদ তাই যতটা সাদা-কালো বলে মনে হয়, ততটা সাদা-কালোর বিষয় নয়। এটি প্রবল আর প্রান্তিকতার বিষয়, আধিপত্য আর ক্ষমতার বিষয়। ৪০২ বছর আগে, আফ্রিকান দাসদের ভার্জিনিয়ার সমুদ্র উপকূলবর্তী ঔপনিবেশে জোর করে ধরে আনা হয়েছিল। ২ বছর আগে ১৬১৯ প্রকল্পের মাধ্যমে এ বার্ষিকীর স্মরণে সেই সময়কার ঘটনার বিষয়ে মনোযোগ আকর্ষণ করা হয়েছিল এবং দাসত্বের পরিণতি এবং কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানদের অবদান, আমাদের ইতিহাস ও আমাদের জাতীয় আখ্যানের কেন্দ্রে ফিরিয়ে নিয়ে গেছে। দাসত্ব আসলে আমেরিকার পাপ। এটি আমাদের প্রতিষ্ঠাকালীন নথি ও নীতিমালায় শেতাঙ্গদের শ্রেষ্ঠত্ব ও কৃষ্ণাঙ্গদের হীনম্মন্যতার বুনন। তবে দাসত্ব আমাদের আদি পাপ হলেও আমেরিকা দাসত্বের মূল উৎস নয়। অন্যরা আমাদের সঙ্গে এই লজ্জার ভাগীদার। বিশ্বের প্রতিটি কোণে দাসত্বের অস্তিত্ব রয়েছে। আমেরিকান উপনিবেশ বাদীদের অস্তিত্বের অনেক আগে থেকেই আফ্রিকানরা স্বদেশি আফ্রিকানদের দাস বানিয়ে রেখেছিল এবং দুঃখের বিষয় হলো- আজও বিশ্বজুড়ে অনেক স্থানে দাসত্বের অস্তিত্ব রয়েছে। ২০২০ সালে আমেরিকায় বর্ণবৈষম্যের শিকার হয়েছিলেন জর্জ ফ্লয়েড, ব্রেওনা টেইলরসহ অনেক কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান অনর্থক হত্যার শিকার হয়েছেন, যা বিশ্বজুড়ে জাতিগত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন ছড়িয়ে দিয়েছে। এর মানে হলো আমাদের অন্য ধরনের ঘৃণার বিষয়গুলোকেও মোকাবিলা করতে হবে। এফবিআই গত ৩ বছরে হেইট ক্রাইম বাড়ার কথা জানিয়েছে বিশেষ করে লাতিন আমেরিকান, শিখ, মুসলিম আমেরিকান, ইহুদি আমেরিকান ও অভিবাসীদের বিরুদ্ধে। বাঙালির গায়ের রং সাধারণত বাদামি। কারও কারও রং একটু ফর্সার দিকে। তবু বাঙালির গায়ের রঙ যতই ফর্সাই হোক সাদাদের তুলনায় বাদামি।

কিন্তু অনেক বাঙালিদের দেখি, এই পশ্চিমেও কোথাও আফ্রিকান বা অন্য কোনো দেশের গায়ের রং কালো মানুষ দেখলে নাক সিঁটকে বলে, কালাইয়া, কালুনী, কালী! এদের লাগে কেমন, কেমন বিশ্রী? দেখতে যেমন বিশ্রী, তেমনি চালচলনও বিশ্রী। এরকম আরও কত কি! একজন মানুষের গায়ের রং কেমন বা সে দেখতে কেমন তা কোনো ব্যাপার নয়। মানুষের বাহ্যিক রূপ-রঙে মানুষের বিচার হয় না, হয় গুণে। এই অতি সহজ ব্যাপারটা মানুষ আজও বুঝতে পারে না। সাম্প্রতিক এক উপাত্ত থেকে দেখা যায় যে, হেইট ক্রাইম এতটাই বেড়েছে, যা গত এক দশকের বেশি সময় ধরে দেখা যায়নি এবং এ পরিসংখ্যানে কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের পর থেকে এশিয়ান আমেরিকানরা যে বুলিং, বৈষম্য, নৃশংসতা এবং সহিংসতার মুখোমুখি হচ্ছে তা ধরা হয়নি। বর্ণবাদ শুধু আমেরিকায় অনন্য সাধারণ কোনো ঘটনা নয়। আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে বর্ণবাদের ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। তবে পৃথিবীর যেখানেই বর্ণবৈষম্য থাকুক না কেন, তার অবসান বিবেকবোধসম্পন্ন প্রায় প্রতিটি মানুষেরই কাম্য। কমবেশি আমাদের সবারই জানা আছে, ১৯৬০ সালের ২১ মার্চ দক্ষিণ আফ্রিকার শার্পভিলে রাষ্ট্রের বর্ণবাদী আইন পাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন অগণিত মানুষ। সেদিন ৬৯ জন নিহত হয়েছিলেন পুলিশের গুলিতে। তারপর ১৯৬৬ সালে জাতিসংঘ ২১ মার্চকে আন্তর্জাতিক বর্ণবৈষম্য বিলোপ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। সেটারও অর্ধশতাব্দী বছর পার হয়ে গেল। কিন্তু বিশ্ব থেকে এখনও বর্ণবৈষম্য দূর হয়নি। বরং কিছুসংখ্যক মানুষ রাজনৈতিক সংঘাতের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে এটাকে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতি বছর ২১ মার্চে বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক বর্ণবৈষম্য বিলোপ দিবস পালন করা হয়।

কিন্ত এটাকে শুধু দিবস পালন বিবেচনাতেই না রেখে বাস্তবে প্রতিফলিত হোক সেই প্রত্যাশাই করি।

পৃথিবীতে বিদ্যমান সব ধর্মেই আছে সামনের দিকে এগিয়ে চলার দর্শন। মানবকেন্দ্রিক কর্ম এবং জীবনকে বিকশিত করার পাথেয় যে ধর্মে নেই, সেই ধর্ম কালের আবর্তে প্রত্যাখ্যাত হতে বাধ্য। বলা অসঙ্গত নয়, একুশ শতকের দুই দশক কাটিয়ে এসেও আমরা এই ভুলের বৃত্ত থেকে বের হয়ে আসতে পেরেছি, অবস্থাদৃষ্টে এই বিশ্বাস নিশ্চিত করে স্থাপন করা যাবে না। বরং বর্তমানে আন্তর্জাতিক বিশ্বে মৌলবাদ, হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান প্রত্যেক সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িক চেতনা এমনভাবে তার ডালপালা মেলে দিয়েছে যে, এখন আর এক ধর্মের ন্যাজওয়ালা গোঁড়া অন্য জাতের কাউকে সহ্য করতে পারছে না। জাতিগত বিদ্বেষ সাধারণ মানুষকে ভিটেমাটি ছাড়া করে ছাড়ছে। রোহিঙ্গা নামে অহিংস বুদ্ধের অনুসারী শাসকের মিয়ানমার থেকে মুসলিম বিতাড়ন- যাদের ২০ লাখ বাংলাদেশে এসে মানবেতর উদ্বাস্তু জীবনযাপন করছে, সাম্প্রদায়িক মানসিকতার ফল। শক্তির এই বল প্রয়োগ নীতি-ধর্মবিদ্বেষ ছাড়া অন্য কিছু নয়। বর্ণবাদের মূলে রয়েছে একে অপরের প্রতি ঘৃণা ও অবিশ্বাস। যতদিন না এই ঘৃণা আর অবিশ্বাস সবার মধ্য থেকে দূর না হচ্ছে, তত দিন পর্যন্ত আলোর ছায়া দেখা যাবে না। এখন সবার এটাই চাওয়া; যে বিশ্ব মানুষের জন্য, সে বিশ্বে মানুষের দ্বারা তৈরি হোক বর্ণবাদহীন মানবতার সমাজ ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন রাষ্ট্রব্যবস্থা, যেখানে সব মানুষ নিরাপদে, সুখে, শান্তিতে বাস করবে- এটাই সমগ্র বিশ্ববাসীর প্রত্যাশা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত