আপনাদের ভাবনা

রমজান মাসে সদাচার প্রদর্শন

মিসবাহুল ইসলাম

প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

বছরের একটি মাস রমজান, এই একমাস আমরা সিয়াম সাধনায় মগ্ন থাকি। একে ঘিরেই তৈরি হয় নানা উৎসব আর আয়োজন। সাহরি এবং ইফতারের বাহারি আমেজে মেতে উঠে সবাই। দেখা যায়, রমজান মাস আসার আগেই প্রস্তুতি স্বরূপ দোকানপাট, শপিংমল কিংবা ছোট বড় বাজারে ক্রেতাদের নিত্য পণ্য কেনার দৌড় লেগে যায়। এ সুবাদে কুচক্র মহল অসাধু ব্যবসায়ীরা পণ্যের কল্পনাতীত দাম বৃদ্ধি করে। অতিরিক্ত এ মূল্যের কারণে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা কষ্টের সম্মুখীন হয়। সংসারের খরচ জোগাতে হিমশিম খেতে হয় তাদের। বাঁচা মরার লড়াই শুরু হয়ে যায়। অথচ রমজানের শিক্ষা ছিল, ‘তুমি বিনয়ী হও, খোদাকে ভয় করো, অন্যকে কষ্ট দিও না, সবার প্রতি সদাচারী হও’। কিছু এই উত্তম গুণের বহিঃপ্রকাশ কতক দেশগুলোতে এই সময়টায় দেখা যায়। শুধু বাংলাদেশের অবস্থা ভিন্ন রকম। ব্যবসায়ীরা এমন মহানুভতা দেখালে দেশ ও গণমানুষের জীবনযাত্রার মানে কিছুটা হলেও সুফল বয়ে আসত। কঠিন এই পরিস্থিতি দেখতে হতো না। তাই তো ব্যবসায়ীদের কেয়ামতের দিন পাপী হিসেবে উঠে আসার কথা বলা হয়েছে শুধু সৎ, সত্যবাদী এবং যারা আল্লাহকে ভয় করে তারা ব্যতীত। রমজানের মৌলিক শিক্ষা হলো খোদাভীতি এবং সদাচার প্রদর্শন। তাই রমজানকে কেন্দ্র করে খাদ্যমজুদ করে রাখার মানসিকতা এবং অতিরিক্ত ভোজনের চাহিদা আমাদের কমাতে হবে। উপবাসের মাস বলা হয় রমজানকে। তিন বেলা না খেয়েও দেখা যায়, কয়েক বেলার আহার করি আমরা। কিন্তু এ অতিরিক্ত আহারের দ্বারা মূলত নিজের প্রতি জুলুম করি। ইবাদত বন্দেগি করতে কষ্ট হয়। অথচ রমজান মাস ছিল ইবাদত এবং নেকির পাল্লা ভারী করার সিজন। তাই এই সময়ে অতিরিক্ত পানাহারের অভ্যাস পরিত্যাগ করতে হবে। খাদ্য উৎসব, অপচয় এবং জুলুমের এমন ব্যাধি থেকে আমাদের সবার ফিরে আসতে হবে। রমজান বিনয়ের মাস। আমরা বিনয়ী হই। অন্যের প্রতি দয়া, শ্রদ্ধা এবং সদাচারের নামই রমজান। তাই নিজে এসব খেয়াল রেখে নেক আমল করে পাল্লাকে ভারী করি, অন্যকেও এর প্রতি উদ্বুদ্ধ করি। মহান রাব্বুল আলামিন সবাইকে যেন এ রমজান মাস ইবাদত পালনের মাধ্যমে কাটানোর তৌফিক দান করেন।

শিক্ষার্থী

বারিধারা, ঢাকা

[email protected]