ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

গ্রামভিত্তিক ন্যায্যমূল্যের দোকান খুলুন

তৌহিদ বিল্লাহ
গ্রামভিত্তিক ন্যায্যমূল্যের দোকান খুলুন

রহমত, বরকত আর সংযমের বার্তা নিয়ে ফিরে এলো মাহে রমজান? কিন্তু নিত্যদ্রব্যের বাজারে সংযমের ছিটাফোঁটাও দেখা মিলছে না। নিত্যদ্রব্যের অসহনীয় ও লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি ক্রেতা সাধারণের মাঝে উদ্বিগ্নতাই ছড়িয়ে দিচ্ছে। সিয়াম সাধনার এই মাসের শুরুটাই যেন সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাসে জীবন বিষিয়ে উঠার উপক্রম! বর্তমানে দেশের শতকরা ৬৮ ভাগ মানুষ খাবার কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। নিত্যদ্রব্যের উচ্চমূল্য নিয়ে অনেক কথা হলেও সরকার দাম বাড়ানোর জন্য দায়ী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট চক্রকে পরাস্ত করতে পারেনি। যার ফলে বাজারে এমন কোনো জিনিস নেই, যার দাম ক্রমাগত বাড়ছে না। বর্তমানে ওএমএসের মাধ্যমে চাল দেয়া হচ্ছে। ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে তা সংগ্রহ করতে হয়। অনেকে পান, অনেকেই পান না। এ অবস্থায় প্রত্যেক এলাকায় ন্যায্যমূল্যের দোকান খুলে সাধারণ মানুষকে নিত্যপণ্য সরবরাহ করা জরুরি। পরিস্থিতি অবলোকন করে বুঝাই যাচ্ছে, এই সিন্ডিকেট চক্রকে পরাস্ত সরকারের জন্য সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। ততক্ষণে সাধারণ মানুষ এ রমজানে অতিষ্ঠ হয়ে উঠবে। উচ্চ দ্রব্যমূল্যের চাপে মধ্য ও নিম্নবিত্তরা যখন দিশেহারা, তখন সরকারের পক্ষ থেকে গ্রামভিত্তিক ন্যায্যমূল্যের বাজার চালু তথা দোকান খুললে দেশের প্রান্তিক জনপদেও এর সুফল ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব। এই কাজটি সফল করতে সরকার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রিত টিসিবি বিভাগকে কাজে লাগিয়ে দ্রুততার সঙ্গে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে পারে। অর্থাৎ, বর্তমানে টিসিবির চলমান কার্যক্রমকে তড়িৎ সম্প্রসারিত করে গ্রামের একদম শেষ ব্যক্তিটি পর্যন্ত পৌঁছে দেয়াই হবে মূল লক্ষ্য। সিয়াম সাধনার এই মাসকে সহনীয় রাখতে গ্রামভিত্তিক ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু করতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি? তবে হয়তো কিছুটা হলেও আপাত সমাধান মিলবে?

ঘোড়াশাল, পলাশ, নরসিদী

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত