ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কঠিন সময় ও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি এরদোয়ান

রায়হান আহমেদ তপাদার, গবেষক ও কলামিস্ট, [email protected]
কঠিন সময় ও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি এরদোয়ান

মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান ও সাবেক ফুটবলার রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ১৯৯৪ সালে ইস্তানবুল শহরের মেয়র নির্বাচিত হয়ে চলে আসেন রাজনীতির সম্মুখ সারিতে। মূলত প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের উত্থান শুরু হয় প্রায় তিন দশক আগে। এর পরে তিনি তিন-তিনবার প্রধানমন্ত্রী এবং দুই দফায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। তার এই ক্ষমতা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও লড়বেন তিনি। তুরস্ক যখন বিধ্বংসী ভয়াবহ ভূমিকম্প-পরবর্তী বিপর্যয় মোকাবিলার চেষ্টা করছে, তখনই প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানকে এ কঠিন রাজনৈতিক পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে ভূমিকম্পে তুরস্কে প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, গৃহহীন হয়েছে ১৫ লাখের মতো মানুষ। এ দুর্যোগ মোকাবিলায় ব্যর্থতার অভিযোগ উঠেছে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের বিরুদ্ধে। এছাড়া রয়েছে তুরস্কের টালমাটাল অর্থনৈতিক পরিস্থিতি। দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতি এমন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, জীবনযাত্রার খরচ মেটাতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০১৬ সালে সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থান চেষ্টা থেকে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বেঁচে গেলেও, আসন্ন নির্বাচনে তিনি কতটা সফল হবেন, সেটা নির্ভর করছে তার সরকার কীভাবে বিপর্যস্ত অর্থনীতি ও ভূমিকম্প-পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে তার ওপর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এরদোয়ান আভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সমস্যা ও সংকটের সম্মুখীন। যা তার জন্য কঠিন এক পরীক্ষা।

তুরস্কে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের দুই দশকের দমন-পীড়নের শাসন ও উত্তরোত্তর বাড়তে থাকা কর্তৃত্ববাদের অবসান ঘটানোর লক্ষ্য নিয়ে দেশটির ছয়টি বিরোধী দল নিজেদের মতভিন্নতা সরিয়ে রেখে অবশেষে আগামী মে মাসে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে একজন প্রার্থী দাঁড় করানোর বিষয়ে একমত হয়েছে।

চলতি মাসেই ছয়টি পক্ষ একজোট হয়ে ধর্মনিরপেক্ষ সামাজিক গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) নেতা কেমাল কিলিসদারোগলুকে তাদের প্রার্থী হিসেবে ঠিক করেছে। যখন একটি জনতুষ্টিবাদভিত্তিক কর্তৃত্ববাদী শাসকগোষ্ঠী গণতন্ত্র নিয়ে কারসাজি করছে, তখন সাধারণ জ্ঞানেই বোঝা যায়, বিরোধী দলগুলো সে অবস্থা থেকে মুক্ত হতে একজোট হবে। কিন্তু সেই ঐকমত্যে পৌঁছানোই শেষ কথা নয়; বস্তুত কঠিন ধাপটি আসে একতাবদ্ধ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর। বিরোধী দলগুলোকে এরদোয়ানের মতো একজন জনতুষ্টিবাদী লৌহমানব’কে উৎখাত করতে হলে তাদের গতানুগতিক রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির ঊর্ধ্বে উঠে আরও কিছু করতে হবে। সবার মনে রাখতে হবে, জনতুষ্টিবাদী নেতাদের গণতন্ত্রকে খাটো করার প্রমাণিত রেকর্ড থাকে এবং যৌক্তিকভাবেই বিশ্বাস করা হয়, তারা পুনরায় ক্ষমতায় এলে গণতন্ত্রের আরও ক্ষতি করবেন। যেমন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্তর ওরবান অস্বচ্ছ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর তার কর্তৃত্ববাদী আচরণকে আরও তীব্র করেছেন। জনতুষ্টিবাদীরা ক্ষমতায় গেলে সব রাজনীতি শক্তিশালী ব্যক্তিকে ঘিরেই আবর্তিত হয়। আর জনতুষ্টি বাদী নেতারা ঠিক সেটিই চান। তারা তাদের নিজস্ব সুবিধার জন্য মেরুকরণ এবং ব্যক্তিগতকরণ ব্যবহার করতে থাকেন। তারা মনে করেন, সবাই তার বিরুদ্ধে এবং একমাত্র তিনি সত্যিকারের জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী নেতা। রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের একটি সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, ভোটারদের সবাই যে জনতুষ্টিবাদী কর্তৃত্বপরায়ণ শাসনের ধ্বংসাত্মক প্রভাব এবং গণতন্ত্রকে হুমকির মধ্যে ফেলার বিষয়টি জানেন না, বিষয়টি মোটেও তা নয়। কিন্তু যখন তারা আমরা বনাম তারা যুক্তি ধরে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন এবং দেখে, বিরোধী জোটের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অনিশ্চিত, তখন তারা মন্দের ভালো হিসেবে জনতুষ্টি বাদের ভেতরেই আশাবাদ খোঁজার চেষ্টা করেন।

অন্যদিকে বিরোধী দলগুলো নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে যাকে বিরোধী প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করায়, তার প্রতি শরিক দলগুলোর এমন দৃষ্টিভঙ্গি থাকে যেন তিনি তাদেরই বিরোধী পক্ষ। গত বছর হাঙ্গেরির চরম ডানপন্থি জনতুষ্টিবাদী সরকারকে উৎখাত করার লক্ষ্য নিয়ে দেশটির সব বিরোধী দল একজোট হয়ে একজন ক্যাথলিক প্রাদেশিক মেয়রকে দাঁড় করিয়ে দেন। একইভাবে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে পরাস্ত করতে বিরোধীরা একজোট হয়ে বেনি গান্টস নামের একজন অবসরপ্রাপ্ত জেনারেলকে দাঁড় করান। উভয় ক্ষেত্রেই বিরোধীরা ব্যর্থ হয়েছেন। কারণ, নিজেদের মনোনীত প্রার্থীর নেতৃত্ব নিয়ে তাদের নিজেদের ভেতরই সংশয় ছিল। তুরস্কের ক্ষেত্রে এটি আরও সত্য। সেখানে বিরোধী ছয়টি দল কেমাল কিলিসদারোগলুকে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করলেও ছয়টি দলের কাছে তার সর্বান্তকরণ সমর্থন নেই। আর কেমাল নির্বাচিত হলে তারা কী কী রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার করবেন, সে বিষয়েও স্পষ্ট ধারণা ভোটাররা পাচ্ছেন না। ফলে এই নেতৃত্বের পক্ষে এরদোয়ানের মতো জনতুষ্টিবাদীকে হারানো তথা গণতন্ত্রকে অধিকতর হুমকি থেকে বাঁচানো কঠিন হবে। এরদোয়ান এবং ২০০৩ সালে তিনি প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এর পর তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। তিনবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর ২০১৪ সালে তিনি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। গত ২০ বছর ধরে তিনি দেশটির ক্ষমতায় আসীন। দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর তুরস্কের রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে বদলে দিয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করেন এরদোয়ান। আধুনিক তুরস্কের জনক মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের পর অন্য যে কোনো নেতার চেয়ে তিনিই দেশটিকে সবচেয়ে বেশি বদলে দিয়েছেন। একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী হয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া থেকেও এরদোয়ান ক্রমশ দূরে সরে গেছেন।

যখন তিনি দলের নেতৃত্বে আসেন, তার রাজনৈতিক আচরণে মনে হয়েছিল যে, তিনি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকতে চান। কিন্তু যতোই তিনি ক্ষমতার কাছাকাছি গেছেন, ততই তিনি ক্ষমতাকে এককেন্দ্রিক করেছেন। যদিও সেটা তিনি সাংবিধানিকভাবে করেছেন। প্রেসিডেন্টের হাতে সব ক্ষমতা দিয়ে তিনি প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েছেন। বিচার বিভাগ, সংবাদমাধ্যমসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে তার নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গেছেন। এর পাশাপাশি তিনি তুরস্কের আদর্শিক অবস্থানেও পরিবর্তন ঘটিয়েছেন। জনসমর্থন পাওয়ার উদ্দেশ্যে তিনি দেশটিকে ইসলামপন্থি ধারায় পরিচালিত করেছেন এরদোয়ানের ২০ বছরের শাসনামলকে তার রাজনৈতিক কৌশল ও কর্মকাণ্ডের বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, তার শাসনামলের শুরুর দিকে তুরস্কে বড় ধরনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটেছিল, হয়েছিল ব্যাপক উন্নয়ন। প্রথম ৭ বছরে তিনি অবকাঠামো উন্নয়নের দিকে জোর দিয়েছিলেন। নতুন করে রাস্তাঘাট, স্কুল কলেজ ও হাসপাতাল নির্মাণ করেন। এসব উন্নয়নের জন্য মানুষ তাকে ভোট দিয়েছে। পরের ৭ বছরে তিনি রাষ্ট্রের কিছু কাঠামোগত পরিবর্তন ঘটিয়েছেন। যেমন হিজাবের ওপরে যে নিষেধাজ্ঞা ছিল, সেটা তিনি প্রত্যাহার করেন, রাষ্ট্রের ভেতরে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা খর্ব করার চেষ্টা করেন।

আর শেষের ৭ বছরে তাকে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থান, অর্থনৈতিক বিপর্যয় এবং সবশেষে ভয়াবহ ভূমিকম্পের মুখে পড়তে হয়। যাহোক নির্বাচনের আগে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকে যে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে, তা হলো সাধারণ মানুষের ক্ষোভ।

জনমত সমীক্ষায় তিনি ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছেন। চরম মুদ্রাস্ফীতি এবং জীবনযাত্রার খরচের লাগামহীন বৃদ্ধির কারণে কারণে দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা এখন করুণ। ডলারের বিপরীতে তুর্কী লিরার দাম কমেছে রেকর্ড পর্যায়ে। এর মধ্যে যোগ হয়েছে সর্বশেষ ভূমিকম্প। এসব ইস্যুই মে মাসে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন এরদোয়ানের জন্য বড় ধরনের রাজনৈতিক পরীক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এরদোয়ানের জন্য কঠিন এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া কতটা সহজ হবে, সেটা নির্ভর করছে বিরোধী দলগুলোর একজোট থাকতে পারার ওপর। ছয়টি দল নিয়ে গঠিত এবং ‘টেবল অব সিক্স’ নামে পরিচিত এ জোট নিজেদের মতবিরোধ কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত এ নির্বাচনে একক প্রার্থী দিতে সম্মত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এরদোয়ানের বিরুদ্ধে যিনি বিরোধী জোটের প্রার্থী হয়েছেন, তিনি জোটের সবচেয়ে বড় ও ধর্মনিরপেক্ষ দল পিপলস পার্টি বা সিএইচপির প্রধান-৭৪ বছর বয়সি কেমাল কিলিচদারুগলু। বিভিন্ন জনমত সমীক্ষা বলছে, এরদোয়ানের সঙ্গে তার তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে। আধুনিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক এই সিএইচপি দলটি গঠন করেছিলেন। এটি সবচেয়ে পুরোনো দল, তবে নব্বই-এর দশক থেকে এটি ক্ষমতার বাইরে। এরদোয়ানের বিরুদ্ধে কে প্রার্থী হবেন, সেটা নিয়ে বিরোধী দলগুলোর মধ্যে টানাপড়েন চলছিল ১ বছর ধরে। বিরোধী জোটের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল গুড পার্টি ইস্তানবুল কিম্বা আঙ্কারার মেয়রকে প্রার্থী করতে চেয়েছিল। ইস্তানবুলের মেয়র একরাম ইমামগুলুর ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। ক্ষমতাসীন দল একে পার্টির প্রার্থীকে পরাজিত করে তিনি মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি নিজেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিরোধী জোটের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে কিলিচদারুগলু জয়ী হলে এই দু’জন মেয়রকে ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব দেয়া হবে। কামাল কিলিচদারুগলু ২০১২ সাল থেকে বিরোধী সিএইচপি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং তিনি এ দল সম্পর্কে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির আমূল পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম হয়েছেন। মানুষের একটা ধারণা ছিল যে, সিএইচপি হচ্ছে কট্টর বামপন্থি, কিম্বা শুধু ধর্মনিরপেক্ষ দল, অথবা শুধু আতাতুর্কের দল। তিনি এ ধারণা থেকে বের হয়ে এসে সবাইকে একত্রিত করার চেষ্টা করেছেন। এখানে সব ধরনের মতাদর্শের লোক রয়েছে। এমনকি ইসলামপন্থিরাও তার সঙ্গে রয়েছে।

এসব কারণে তুরস্কের রাজনীতিতে তিনি নতুন এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। তুরস্কের ইতিহাসে এ প্রথমবারের মতো বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক স্বার্থ ও মতাদর্শের প্রতিনিধিত্বকারী বিরোধী দলগুলো নির্বাচন-পরবর্তী সমযে একটি সম্মিলিত দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেছে। এটি এরদোয়ান সরকারের মেরুকরণ নীতির বিরুদ্ধে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, বিশ্বাসযোগ্য ও কার্যকর ভাষ্যের উত্থানেরও জোরালো ইঙ্গিত। এ ছাড়া বামপন্থি দলগুলো এইচডিপির নেতৃত্বে আরেকটি নির্বাচনি জোট গঠন করতে একত্র হচ্ছে। এরদোয়ান তার সমর্থকদের মনে এই ভয় জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করছেন, আমি যদি হারি, তাহলে আপনিও হারবেন। অন্যদিকে বিরোধীরা একটি ভিন্ন বার্তা দেয়ার চেষ্টা করছে। সিএইচপি নেতা ও বিরোধী দলগুলোর যৌথ সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কামাল কিলিসদারোগলু সম্প্রতি বলেছেন, বিরোধী দল ক্ষমতায় এলে তিনি রাষ্ট্রীয় সহিংসতা ও দমন-পীড়নের শিকার সব লোক ও গোষ্ঠীর জন্য সাধারণ ছাড় ঘোষণা করবেন। যাহোক শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি কোনদিকে গড়ায় এবং এরদোয়ানের পরীক্ষার ফল কেমন হয়, সেদিকেই থাকিয়ে আছে বিশ্ব। এখন শুধুই অপেক্ষার পালা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত