ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রমজানে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান

সাকিবুল হাছান
রমজানে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান

পবিত্র রমজান সংযমের মাস। রমজানে আত্মশুদ্ধি অর্জন ও কুপ্রবৃত্তি দমনের মাস। এ মাসে প্রতিদিন প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের জন্য সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকা ফরজ করা হয়েছে। এ মাসে আল্লাহতায়ালা ইবাদতের সওয়াব বহুগুণে বৃদ্ধি করে দেন।

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) রমজান মাসে প্রচুর দান-সদকা করতেন। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) কল্যাণের কাজে ছিলেন সর্বাধিক দানশীল, বিশেষ করে রমজান মাসে। তাছাড়া রমজান মাসে রোজাদারদের ইফতারির ব্যবস্থা করা একটি ফজিলতপূর্ণ আমল। রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে, সে ওই রোজাদারের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে এবং রোজাদারের সাওয়াবও কমানো হবে না।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৮০৭)।

আমরা শুধু নিজের চিন্তা না করে নিম্নবিত্ত ও শ্রমজীবী মানুষদের কথা চিন্তা করা করতে হবে, যারা দিন আনে দিন খায়। আবার অনেক মানুষ আছে যাদের ৮ থেকে ১০ দিন আয়-রোজগারের পথ বন্ধ হলে নেমে আসে চরম দুর্দশা। তাই পবিত্র রমজানে আমরা একটু সংযম হয়ে অসহায় ও দরিদ্র মানুষের ইফতারির ব্যবস্থা করতে পারি।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে এ বছর অনেক মানুষের সাহরি-ইফতার জোগাতে কষ্ট হচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়লে স্বল্প আয়ের মানুষের জীবনে যে বিড়ম্বনা সৃষ্টি হয়, তা বলে প্রকাশ করার মতো নয়। কারণ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়লেও বেশির ভাগ মানুষের আয় বাড়েনি। আমরা যদি মিতব্যয়ী হয়ে তাদের পাশে দাঁড়াই, তাহলে তারা হাসিমুখে রমজান মাস অতিবাহিত করতে হবে। এতে তাদের দোয়াও পাওয়া যাবে, আবার তাদের রোজার সমপরিমাণ সওয়াবও পাওয়া যাবে। যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিঃস্বার্থভাবে ক্ষুধার্ত মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করে, মহান আল্লাহ তাদের জন্য জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন।

চলমান পরিস্থিতির কারণে বেশির ভাগ মানুষই বিপাকে পড়ছে। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তরা পরিবারগুলো। কিন্তু আমরা যদি নিজেরা একটু মিতব্যয়ী হয়ে অন্যদের সহযোগিতা করি, তাহলে আল্লাহর আমাদের উত্তম প্রতিদান দেবে। আমাদের রিজিকদাতা একমাত্র আল্লাহ, তাঁর ওপর ভরসা করে যদি আমরা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াই, তাহলে তিনি আমাদের রিজিকেও বরকত দেবেন ইনশাআল্লাহ।

তাই আমাদের উচিত নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে দাঁড়ানো। পবিত্র রমজান মাসে আমরা আমাদের ব্যয় কমিয়ে আমাদের নিম্নআয়ের আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের পাশে দাঁড়াতে পারি। ফলে আল্লাহ খুশি হবে, সেইসঙ্গে অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফুটবে।

ঢাকা কলেজ, ঢাকা

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত