ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চি ঠি প ত্র

নতুন নিয়মে ট্রেনের টিকিট ক্রয়ে বিড়ম্বনা

নতুন নিয়মে ট্রেনের টিকিট ক্রয়ে বিড়ম্বনা

নতুন নিয়মে এনআইডি বা জন্মনিবন্ধনের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট ক্রয়ের কী যে বিড়ম্বনা, তা দিন দিন আরও বাড়বে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। টিকিট কালোবাজারি রোধ করতে গিয়ে এ ধরনের নতুন নিয়মে টিকিট বিক্রির বাধ্যতামূলক পদ্ধতি কোনোভাবেই সফলতা বয়ে আনা সম্ভব নয়। এতে লাভবান হবে ট্রেনের টিটি ও এটেনডেন্টরা। তারা বিনা টিকিটধারীদের এখন ট্রেনের খালি সিটে অনায়াসে বসাতে পারবে। এতে করে রেলওয়ের রাজস্ব কমতে বাধ্য। রেলপথ মন্ত্রণালয় দেশের ৯২টি স্টেশনে আপাতত আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রে নিবন্ধনের নতুন সিস্টেম প্রবর্তনে সাধারণ কেন সব যাত্রীর জন্য তা শুধু বিড়ম্বনাই নয়, হয়রানিও বটে। নিবন্ধনপদ্ধতিতে টিকিট ক্রয়ে ভালো হলেও তা সাধারণ মানুষের জন্য নয়। এ ক্ষেত্রে এনআইডি কার্ড হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে। পরিবারে পরিবারে এখন নিবন্ধন প্রয়োজন হলেও ট্রেনে টিকিট যার, ভ্রমণ তার কালোবাজারিদের জন্য ঠিক আছে; কিন্তু ট্রেন যাত্রীদের জন্য বিড়ম্বনা। মূলত একজনের জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে অন্য কেউ ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবে না, আবার করলেও জরিমানা গুনতে হবে, সেটা কি ধরনের আইন। এমনিতে দেশের মানুষের অনলাইন প্রযুক্তি বা এর অভিজ্ঞতা কম থাকার কারণে এ ধরনের টিকিট বিক্রয় সুখকর নয় বরং রেলপথ মন্ত্রণালয় এ পদ্ধতি চালুর আগে জণগণের মতামত নেয়া উচিত ছিল। বলে রাখা ভালো, এ ধরনের গণপরিবহণে রেলওয়ের নতুন নিয়ম কোনোভাবেই ঠিক হয়নি। সেটা আজ হোক কাল হোক জনস্বার্থে পরিবর্তন করতেই হবে। ট্রেন জনগণের সুবিধার জন্য, ভোগান্তির জন্য নয়, এ কথাটি রেলওয়ে মন্ত্রণালয়কে অনুধাবন করতে হবে। আশা করি, ট্রেনের বগি ও টিকিট কাউন্টার বাড়নো হবে। টিকিট ক্রয়ে বিড়ম্বনা ও ভোগান্তি তা দূর করার চেষ্টা করুন এবং রেলওয়ের চুরি ও দুর্নীতি কমান, তাহলে রেলওয়ের রাজস্ব বাড়বে। ট্রেনযাত্রীদের অযথা হয়রানি করবেন না। ট্রেনের টিকিট ক্রয়ের পদ্ধতি অনেকটা ভোগান্তি সেটা পুনর্বিবেচনা করবেন বলে আশা করছি।

মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী

ফরিদাবাদ-গেন্ডারিয়া, ঢাকা

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত