ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চি ঠি প ত্র

বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানো জরুরি

বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানো জরুরি

সাহরির পর ঘুমন্ত বঙ্গবাজারে আগুনের হানা। ঘুম ভাঙতেই সব শেষ। যতদূর চোখ যায় দাউদাউ করে জ্বলছে আগুনের শিখা। ধোঁয়া মিশ্রিত বায়ু যেন সম্পূর্ণ রাজধানীর আকাশছোঁয়া। ব্যবসায়ীদের বছরের পর বছর ব্যবসার মাধ্যমে স্বপ্ন বুনন গত ৪ এপ্রিল ডানাহীন পাখির উড়ার মতো হয়ে গেল। গত ৪ এপ্রিলের আগেও যাদের বাড়ি ও বাজারে ছিল আনন্দের হৈচৈ, আজ তাদের বাজার ও বাড়িতে কান্নার হৈচৈ। দেশের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীরা বাজারে আমদানি শুরু করেছিল নতুন দ্রব্য। বিভিন্ন রকম পোশাক দিয়ে মজুদ করেছিল অলি-গলি, স্ব স্ব ভবনের ছাঁদসহ ইত্যাদি জায়গা। প্রচণ্ড দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় সময়ের ব্যবধানে আজ বঙ্গবাজারের সবই ফাঁকা। ব্যবসায়ী ও স্বজনরা অশান্তি ও অস্থিরতা নিয়ে অবস্থান করছে ধ্বংসস্তূপের চারপাশে। যে ব্যবসায়ীদের স্লোগান ছিল হাসির, গত একদিনের ব্যবধানে স্লোগান পরিণত হয়েছে কান্নার। দেশবাসী তাদের বিষণ্ণ মুখ থেকে শুনতে পাচ্ছে- ‘কিচ্ছু নাই, সব শেষ হয়ে গেছে’ এমন অকল্পনীয় স্লোগান। আমাদের ব্যবসায়ীদের দিশাহারা ভয়াবহ দিনে পাশে দাঁড়ানো জরুরি। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তাদের সান্ত¦না দিতে হবে। সম্পূর্ণভাবে আর্থিক সাহায্য করা আমাদের সামর্থ্যরে বাইরে হলেও তাৎক্ষণিক আর্থিক ব্যবস্থা (খাওয়া, আশ্রয়, ভরণপোষণ ইত্যাদি) করতেই পারি। তাছাড়া অনলাইন ও অফলাইনে বিশ্বস্ত মানুষের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে মানবিক আবেদন করতে পারি। গত বছরের ভয়াবহ সিলেট-সুনামগঞ্জের বন্যার সময়সহ অন্যান্য সময়ে দেশবাসী ও প্রবাসী ভাইবোনরা যে মানবিকতা দেখিয়েছিলেন আজ আবার বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের দুর্দিনে দেখানোর উপযুক্ত সময়। আমাদের সবার সাহায্যে যদি বাঁচে অসহায় মানুষদের প্রাণ, আমরা অবশ্যই সামর্থ্য অনুযায়ী করতে পারি তাদের দান। সরকারের কাছে বিনীত প্রার্থনা ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনসহ সর্বোচ্চ আর্থিক সহায়তা দ্রুত ব্যবস্থা করার জন্য।

সুমন চৌধুরী, শিক্ষার্থী

শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত