ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কিশোর গ্যাং রোধে সামাজিক সচেতনতা

কিশোর গ্যাং রোধে সামাজিক সচেতনতা

বর্তমান সময়ে কিশোর গ্যাং সমাজের জন্য মারাত্মক ব্যাধিতে রূপ নিয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের ফলে সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে। যত দিন যাচ্ছে ততই সমাজে এ গ্যাংয়ের উত্তাপ প্রকট হচ্ছে। দিন দিন কিশোর গ্যাংয়েরা যেভাবে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে, এদের কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। কিশোর গ্যাং আসলে করা? কিশোর গ্যাং হচ্ছে ১৮ বছরের নিচে যে কিশোর গুলো দলবদ্ধভাবে দাঙা-হাঙামা, অন্যায় বিশৃঙ্খলা চালায় তারাই আসলে কিশোর গ্যাং। দেখা গেছে, ১৫ থেকে ১৬ বছরের কিশোরগুলোই কিশোর গ্যাংয়ে পরিণত হচ্ছে। কিশোর গ্যাংদের কাজ কি? কিশোর গ্যাংদের কাজ হচ্ছে- মানুষকে উত্ত্যক্ত করা, মেয়েদের টিচ করা, বকাবকি করা, হুমকি দেয়া, স্কুল-কলেজপড়ুয়া ছাত্রীদের আটকিয়ে বাজে বাজে প্রস্তাব, বাজে বাজে কমেন্ট করা, ভয়ভীতি দেখানো, সমাজে উত্তেজনা সৃষ্টি করা এদের কাজ। এ বখাটে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যগুলো লেখাপড়া না করে নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে। যার ফলে রাতের বেলা দলবদ্ধভাবে নেশাদ্রব্য পান করে, তাড়াতাড়ি তাদের মস্তিষ্কগুলো খারাপ কাজের দিকে ধাবিত করে। তাই আমাদের করণীয় সামাজিক সচেতনতা তৈরি করে কিশোর গ্যাং প্রতিরোধ করা। কিশোর যেন, কিশোর গ্যাংয়ে পরিণত না হয়, তার জন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। আমাদের প্রতিটা সমাজে, পাড়া-মহল্লার যে প্রভাবশালী

বা সমাজের অভিভাবকরা রয়েছে, তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে পরামর্শ করে, তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে। যেখানেই কিশোর গ্যাং দেখা যাবে সঙ্গে সঙ্গে তাকে আটকিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অর্পণ করতে হবে। কিশোর গ্যাং যে পরিবার থেকে গড়ে উঠবে সে পরিবারকে সচেতন করতে হবে, তাদের বিচারের মাধ্যমে শাস্তি প্রধান করতে হবে। প্রতিটা পরিবারকে সচেতন করতে হবে, কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে সচেতনামূলক কর্মকাণ্ড চালাতে হবে। বিচার-শালিস ব্যবস্থাগুলো বাড়াতে হবে। কিশোর যেন ঘরের রোগ না হয়ে, ঘরের আলো হয়ে উঠে। কিশোর যেন আগামীর কলঙ্ক নয়, আগামীর ভবিষ্যৎ হয়ে উঠতে পারে। তাদের প্রতি স্নেহ-ভালোবাসা-যত্ন বাড়াতে হবে। ফলে আমরা কিশোরকে কিশোর গ্যাং নয়, কিশোর হিসেবে গড়ে তুলতে পারব এবং কিশোর গ্যাং থেকে মুক্ত করতে পারব।

তামিম হোসেন

শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত