ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অনিরাপদ ঢাকা শহর

অনিরাপদ ঢাকা শহর

শহরের রাস্তা দিয়ে যখন চলাচল করি, তখন উপরে কনস্ট্রাকশনের কাজ নিচে ইলেকট্রিসির তার থেকে শুরু বিভিন্ন লাইনের তার। রাস্তার দুই পাশে রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন মিল ফ্যাক্টরির আগুনের শিখা। অকল্পিত অবকাঠামো, গ্যাস লাইন। ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েই চলেছে। যেভাবে অনিয়ম, অব্যবস্থাপনায় পরিণত হচ্ছে এ শহর তাতে এখানে টিকে থাকাটাই অস্বাভাবিক। বছর বছর তথাকথিত কোটি টাকার বাজেট পাস হলেও কোনো খোঁজখবর নেই সাধারণ মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে। কয়েকদিন আগেই সাইন্সল্যাবের এসি বিস্ফোরণ, তার ৩ থেকে ৪ দিনের মাথায় ভয়াবহ এসি বিস্ফোরণ হয় গুলিস্তানে। যেখানে দোকানের মালিক কর্মচারী এবং পথচারীদের অনেকেই প্রাণ হারান যা খুবই দুঃখজনক।

এ রেস কাটতে না কাটতে ঢাকা বঙ্গবাজারে ঘটে গেল ভয়াবহ অগ্নিদুর্ঘটনা। মিডিয়ার সূত্রে জানা যায়, সেখানে মোট দোকান ছিল ২ হাজার ৯৩১টি, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ৫ হাজার। দোকানিদের হিসেবে ক্ষতির পরিমাণ ৭০০ কোটি টাকা। ২০১৯ সালে মার্কেটটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। গতকাল ফায়ার সার্ভিসের ডিজি বলেন, ‘মার্কেটটি ছিল অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ, ১০ বার নোটিশ দিয়েছিলাম।’ এই দায়ভার কাদের? ঢাকা শহরের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ওপর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, নগরীতে গড়ে ওঠা অবকাঠামোর ৭৩ শতাংশই পুরোপুরি অপরিকল্পিত। যার কারণে প্রতিবছর অগ্নিকাণ্ড, ভবন ধসে অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারায়। এ শহরে প্রতিটা মুহূর্তে বেঁচে থাকাটাই অস্বাভাবিক। এখনই সময় সচেতন হওয়ার। চাই পরিকল্পিত শহর, পরিকল্পিত নগর এবং চাই পরিকল্পিত ভবন। দূর হোক অবৈধ কলকারখানা কিংবা মার্কেট। সরকার কঠোর হস্তে দমন করবে- এটাই আমাদের প্রত্যাশা। তাই কর্তৃপক্ষ সুদৃষ্টি সেই সঙ্গে জনসাধারণের সচেতনতা কাম্য।

সাকিবুল হাছান

ঢাকা কলেজ, ঢাকা

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত