জাকাত গরিবের অধিকার

সাকিবুল হাছান

প্রকাশ : ০৮ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

জাকাত অর্থ পবিত্রতা ও প্রবৃদ্ধি। জাকাত প্রদানের মাধ্যমে সম্পদ পবিত্র হয়, আত্মা পরিশুদ্ধ হয় এবং সম্পদে বরকত হয়। জাকাত একটি নির্ধারিত ফরজ ইবাদত। যেসব প্রাপ্তবয়স্ক জ্ঞানসম্পন্ন মুসলমান মৌলিক প্রয়োজন পূরণের পর সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ অথবা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপা, অথবা সমপরিমাণ যেকোনো সম্পদ বা মূল্যের টাকার মালিক এবং এগুলো যদি তার হাতে ১ বছর থাকে, তাহলে তার ওপর জাকাত দেয়া ফরজ। ইসলামের সুস্পষ্ট নির্দেশ সম্পদশালী ব্যক্তিদের বছরে একবার তার সম্পদের হিসাব করে শতকরা আড়াই ভাগ দিয়ে দিতে হবে।

আমাদের দেশের মানুষের ধারণা হলো জাকাত গরিবদের প্রতি বড়লোকদের দয়া, করুণা। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে জাকাত গরিব-নিঃস্বদের প্রাপ্য বা হক। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে- ‘তাদের সম্পদে রয়েছে অভাবগ্রস্থ ও বঞ্চিতের হক।’ এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে- ‘অতএব, আত্মীয়কে দাও তাদের প্রাপ্য এবং অভাবগ্রস্থ মুসাফিরকেও যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করে তাদের জন্য এটা শ্রেয়। (সুরা ৩০:৩৮)।

সমাজে নিকটাত্মীয়, নিঃস্ব প্রতিবেশি, গরিব-অসহায়, অভাবীদের জাকাত দেয়া শ্রেয়। এতে করে মুসলমানদের মধ্যে পরস্পর ভ্রাতৃত্ব ও আত্মীয়তার বন্ধন দৃঢ় হয়। মনে রাখতে হবে, জাকাত গরিব বা নিকটাত্মীয়দের প্রতি করুণা নয় বরং তা তাদের প্রাপ্য হক। নিকটাত্মীয় ও সমাজের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্যতা নির্মূলের লক্ষ্যেই ইসলামের জাকাত প্রথা। জাকাত এমনভাবে দিতে হবে- যাতে গ্রহীতা স্বাবলম্বী হয়ে যায়, সে প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়।

জাকাত সম্পর্ককে পবিত্র করে। জাকাতযোগ্য সম্পদের প্রতি একবছরে জাকাত দিতে হয়। জাকাত প্রদান না করলে হালাল বা বৈধ সম্পদও হারামমিশ্রিত হয়ে যায়। হালাল খাদ্য ব্যতীত নামাজ, রোজা, হজ কোনো ইবাদতই কবুল হয় না। তাই জাকাত আদায় করা ফরজ।

ঢাকা কলেজ, ঢাকা