ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

এবারের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন হোক

মাহমুদুল হক হাসান
এবারের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন হোক

মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদকে কেন্দ্র করে ঘরমুখী মানুষের ঢল নামে বাস, লঞ্চ ও রেলস্টেশনে। মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর কর্মব্যস্ততা থেকে ছুটি পেয়ে পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানীর লাখ লাখ মানুষ স্বীয় গ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়। তথ্যমতে, প্রতিবছর রমজানের ঈদকে কেন্দ্র করে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ ব্যস্তনগরীর মায়া ছেড়ে ছায়া-সুনিবিড় গ্রামীণ পরিবেশে ঈদের মুহূর্তকে রাঙিয়ে তুলতে ঘরমুখে যাত্রা করে। প্রতিবছরই এ সময় পরিবহণ মালিকদের মধ্যে একধরনের অসুস্থ প্রতিযোগিতা দেখা যায়। বাস, ট্রেন ও লঞ্চের টিকিট সংগ্রহ নিয়ে মহাতুলকালাম লেগে যায়। নিজের আসনটি নিশ্চিত করতে যাত্রীদের নানা রকম হয়রানির শিকার হতে হয়। সুদীর্ঘ লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও একটি আসন নিশ্চিত করা যেন সোনার হরিণে পরিণত হয়। টিকিট কালোবাজারি দিন দিন এদেশের সংস্কৃতি হয়ে পড়ছে। এছাড়াও যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, ফিটনেসবিহীন ও পণ?্যবাহী যানে যাত্রীবহন এবং যানবাহনে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রীবহনও এসময়কার দৃষ্টি জুড়ানো চিত্র হয়ে ওঠে। অন্যদিকে পরিবহণ মালিকদের বাড়তি ট্রিপের চাপ সামলাতে গিয়ে চালকদের বাধে বড় ধরনের বিপত্তি। সড়কপথ, রেলপথ ও নদীপথে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রীবহনের ফলে দুর্ঘটনা এখানে নতুন কিছু নয়। নিজেদের অসচেতনতা, পরিবহণ মালিকদের অব?্যবস্থাপনা, প্রশাসনের দায়িত্বহীনতা, বিভিন্ন অসাধুচক্র সিন্ডিকেট, ছিনতাই ও মলম পার্টির দৌরাত্ম্য এসময় বেশ চোখে পড়ে। অনেক সময় সাধারণ যাত্রীদের অসাধু চক্রের খপ্পরে পড়ে ঈদ আনন্দ শোকানুভূতিতে পরিণত হয়। এমতাবস্থায়, কর্তৃপক্ষের উচিত বর্ধিত যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে যাত্রীদের ঈদযাত্রা নিরাপদ করে তুলতে যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি করা। পাশাপাশি শহরের প্রবেশ ও নির্গমন সড়ক যানযটমুক্ত রাখার সঙ্গে পরিবহণ খাতের সব অনিয়ম বন্ধে প্রশাসনের কঠোর দৃষ্টি প্রয়োজন। এ ব্যাপারে সবার সজাগ দৃষ্টি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

লেখক ও সাংবাদিক

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত