বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সুযোগ অন্বেষণ এবং দক্ষ জনশক্তি

রেজাউল করিম খোকন, সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা ও কলাম লেখক

প্রকাশ : ০৯ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

পবিত্র রমজান মাস ও ঈদ উপলক্ষ্যে প্রবাসীদের বৈধপথে রেমিট্যান্স তথা প্রবাসী আয় পাঠানোর পরিমাণ বেড়েছে। গত মার্চ মাসে তারা ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে ২০১ কোটি ৭৬ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন। এই আয় আগের মাস ফেব্রুয়ারির তুলনায় ২৯ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ বেশি। এর আগে গত জুলাই ও আগস্ট মাসে প্রবাসী আয় ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বিবরণী অনুযায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাস জুলাই-মার্চে মোট প্রবাসী আয় এসেছে ১ হাজার ৬০৩ কোটি ডলার। রমজান ও ঈদের কারণে আগের চেয়ে বেশি আয় পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। আবার জাকাতের তহবিলও আসছে। এ ছাড়া ডলার-সংকটের কারণে অনেক ব্যাংক বেশি দামে প্রবাসী আয় নিয়ে আসছে। এর প্রভাব পড়েছে প্রবাসী আয় আসার চিত্রে। ব্যাংকগুলো এখন প্রবাসী আয় সর্বোচ্চ ১০৭ টাকা দাম দিতে পারে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ১৫৬ কোটি ১২ লাখ মার্কিন ডলারের প্রবাসী আয় দেশে এসেছিল। এই আয় জানুয়ারির তুলনায় ৩৯ কোটি ৭৬ লাখ ডলার বা প্রায় ২০ শতাংশ কম ছিল। জানুয়ারিতে প্রবাসী আয় এসেছিল প্রায় ১৯৬ কোটি ডলার। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির চেয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে প্রবাসী আয় বেড়েছে ৬ কোটি ৬৮ লাখ ডলার। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এসেছিল ১৪৯ কোটি ৪৪ লাখ ডলারের প্রবাসী আয়। রমজান মাস এলেই প্রবাসী আয় বেড়ে যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ঈদের কারণেও প্রবাসী আয় বাড়বে। এর ফলে ডলারের সরবরাহ কিছুটা হলেও বাড়বে। পাশাপাশি ঘোষিত দামের চেয়ে বেশি দামে অনেকে প্রবাসী আয় আনছে, এমনটা শোনা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, মার্চ মাসে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে আসে ৪৫ কোটি ৬১ লাখ ডলার, দি সিটি ব্যাংকের মাধ্যমে আসে ১৫ কোটি ৬৩ লাখ ডলার ও পূবালী ব্যাংকের মাধ্যমে ১২ কোটি ২৩ লাখ ডলার। এরপরই সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে আসে ১০ কোটি ৭৫ লাখ ডলার, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ৮৭ লাখ ডলার ও অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ৪০ লাখ ডলার। প্রবাসী আয়ে ব্যাংকের মাধ্যমে নিয়ে আসার জন্য সরকার প্রণোদনার হার ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে এখন আড়াই শতাংশ দিচ্ছে। এরপরও দেশে ডলার-সংকট শুরু হওয়ার পর থেকে প্রবাসী আয়ে গতি কম। সামনে অবশ্য বৈশাখ ও দুই ঈদের মতো উৎসব আছে। উৎসবে প্রবাসী আয় বেশি আসে। চলতি মাসেও ভালো পরিমাণ আয় আসার আশা করছেন ব্যাংকাররা। প্রবাসীরা বিভিন্ন এক্সচেঞ্জ ও রেমিট্যান্স হাউস এবং ব্যাংকে প্রবাসী আয় জমা দেন। যেসব প্রবাসী দেশের নির্দিষ্ট ব্যাংক হিসাবে অর্থ পাঠাতে চান, তা তাৎক্ষণিক জমা হয়ে যায়। যাদের হিসাব নেই, তারা মোবাইল নম্বর দিয়ে ব্যাংক বা নির্দিষ্ট পয়েন্ট থেকে প্রবাসী আয় সংগ্রহ করতে পারেন। এসব মোবাইলে একটি কোড আসে, সেই কোড দিয়ে টাকা উত্তোলন করা যায়। সব প্রবাসী আয় বিভিন্ন ব্যাংক প্রতিযোগিতা করে কিনে নেয়। অন্য ব্যাংকের হিসাবে হলে তা তাৎক্ষণিক পাঠিয়ে দেয়। স্বাভাবিকভাবে ঈদের সময় নগদ টাকার চাহিদা মেটাতে প্রবাসীদের দেশে অর্থ পাঠানোর তাগিদ থাকে। আর এ কারণে সারা বছরের মধ্যে ঈদের সময় রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স আসে। করোনাকালেও প্রবাসীরা জমানো অর্থ পরিবার-পরিজনের কাছে পাঠিয়েছে। ফলে ওই সময়ও রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। তবে এখন কিছুটা কম থাকলেও ভবিষ্যতে তা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। করোনাকালে লকডাউন থাকায় প্রবাসীদের জীবন যাত্রার ব্যয় কমে গিয়েছিল বিপরীত দিকে লকডাউন থাকায় অবৈধ পথে রেমিট্যান্স আসেনি। ওই সময় প্রবাসীরা তাদের জমানো অর্থ দেশে পাঠানোর কারণেই রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়ে গিয়েছিল। করোনা মহামারির কারণে অনেক প্রবাসী কাজ হারিয়েছে, অনেকে দেশে ফেরত এসেছে। তাছাড়া যারা প্রবাসে আছে তাদের খরচ বেড়েছে, ওভারটাইম কমেছে। এসব কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ ফের সঠিক জায়গায় ফিরে আসছে। করোনাকালে রেমিট্যান্স আসার যে রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছিল তার বেশ কিছু কারণ আছে। আমাদের রেমিট্যান্স আসার অন্যতম উৎস মধ্যপ্রাচ্য। করোনায় অনেকের কাজ কমে গেছে, যারা ওভারটাইম করত তারা তা করতে পারছে না। করোনার আগে যেসব প্রবাসীরা দেশে এসেছিল তারা অনেকেই ফেরত যেতে পারেনি। তাছাড়া করোনার মাঝেও যারা দেশে এসেছে তারা তাদের সব আয় দেশে ফেরত এনেছে। ফলে করোনাকালে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছিল। মহামারিতে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ধস নামলেও দেশে আসা রেমিট্যান্সের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছিল। প্রবাসীরা দেশে ২৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়ে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করে, যা অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মহামারির মধ্যে রেমিট্যান্সের বৃদ্ধি অনেককেই বিস্মিত করেছিল। সব ধরনের অর্থ আনুষ্ঠানিক চ্যানেলের মাধ্যমে আসছিল তখন। যাতায়াতের বিধিনিষেধ ও বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি কার্যত বন্ধ থাকার কারণে হুণ্ডির মতো অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলগুলো তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছিল না। কিন্তু এ অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলগুলো বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার পর আবার চালু হয়েছে এখন । ফলে আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে রেমিট্যান্স কমে যাচ্ছে। এখন প্রবাসীদের জন্য চাকরির সুযোগ আগের তুলনায় কমেছে।

সাম্প্রতিক সময়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সংক্রান্ত জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে নতুন দেশে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সুযোগ অন্বেষণ এবং দক্ষ জনশক্তি পাঠানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বৈধ মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, জনশক্তি পাঠানোর জন্য আমাদের নতুন কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র এবং নতুন দেশ খুঁজে বের করতে হবে। আমরা কর্মীদের জন্য এমন ধরনের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করব, যা একটি দেশের জন্য খুবই প্রয়োজন। সরকার এরই মধ্যে কয়েকটি নতুন দেশে কর্মী পাঠানো শুরু করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের দক্ষ জনশক্তি পাঠাতে হবে এবং সেজন্য আমরা কর্মীদের জন্য বহুমুখী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি। তিনি আরও বলেন, যদি আমরা যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি পাঠাতে পারি, তাহলে আমাদের অর্থনৈতিক সচ্ছলতা অর্জনের বড় সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশি প্রবাসী শ্রমিকরা কীভাবে ভালো থাকবেন এবং বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত করবেন- সে বিষয়েও তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রবাসীরা যদি হুণ্ডির মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স পাঠান, তবে তা হয়তো তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে পৌঁছায় এবং তারা তা ব্যয় করে; কিন্তু এতে যিনি এই অর্থ পাঠাচ্ছেন তার কোনো সঞ্চয় হয় না। অনেক প্রবাসী শ্রমিক দেশে ফেরার পর দেখেন যে দেশে তার কোনো টাকা নেই এবং অনেককে এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যারা ব্যাংকিং বা আইনি মাধ্যমে টাকা পাঠায়, তার সরকার তাদের সেই রেমিট্যান্স প্রবাহে প্রণোদনা দিচ্ছে। তার সরকার কর্তৃক প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে এজেন্ট নিয়োগের মাধ্যমে সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে প্রবাসীরা তাদের আবাসস্থলে থেকে সহজেই রেমিট্যান্স পাঠাতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন দেশে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের সুযোগ অন্বেষণ এবং সেখানে দক্ষ জনশক্তি পাঠানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বৈধ মাধ্যমে দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন। হুন্ডি ব্যবহার করে টাকা পাঠানো হলে, তা অন্যের হাতে চলে যাবে; কিন্তু ব্যাংকে এমন কোনো সম্ভাবনা নেই। প্রবাসী শ্রমিকরা দেশে ফেরার পর তাদের সঞ্চয়কৃত অর্থসহ ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবেন। এ লক্ষ্যে ব্যাপক সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাতে হবে। বিদেশে কাজে গিয়ে মানুষ যাতে প্রতারণার শিকার না হয় ও যথাযথ কর্মসংস্থান পায়, সেজন্য সচেতনতা তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপরও তিনি জোর দেন। সরকার সারা দেশে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করেছে এবং বিদেশি চাকরি প্রার্থীরা কেন্দ্রগুলো পরিদর্শনের মাধ্যমে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে নিজেদের নিবন্ধন করতে পারেন। নারী শ্রমিকদের মধ্যে যারা সঠিক পদ্ধতিতে প্রশিক্ষণ নিয়ে বিদেশে কর্মসংস্থানে যাচ্ছেন- তারা ভালো আছেন। কিন্তু যারা দালালদের খপ্পরে পড়েছেন তারা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। তাই এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন হবে। করোনায় প্রবাসীদের কাজ সুযোগ কমে যাওয়াসহ বেশ কিছু কারণে রেমিট্যান্স কমেছে। করোনার আগে ও করোনাকালে যেসব প্রবাসীরা দেশে এসেছে তাদের অনেকেই নানা প্রতিবন্ধকতায় পড়ে ফেরত যেতে না পারা, করোনায় কাজের সুযোগ কমে যাওয়া, অনেকের কাজ হারানো, ওভারটাইম করতে না পারা; বিপরীত দিকে প্রবাসীদের ব্যয় বেড়ে যাওয়ার রেমিট্যান্সে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। যেহেতু সরকারের জন্য রেমিট্যান্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিরীক্ষণ প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী করতে হবে, যাতে অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলের মাধ্যমে টাকা পাঠানো নিরুৎসাহিত হয়। সরকারের উচিত বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় মূল্য স্থিতিশীল রাখা। তবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক মধ্যপ্রাচ্য ছাড়াও বিশ্বের অন্যান্য দেশে নতুন নতুন শ্রম বাজার খুঁজে বের করে দক্ষ মানবসম্পদ পাঠাতে পারলে রেমিট্যান্স ভবিষ্যতে রেকর্ড গড়বে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় এক কোটি বাংলাদেশি রয়েছে, যাদের ৮৮ শতাংশই কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ ছাড়া দেশত্যাগ করেছে। অর্থাৎ প্রায় ৭৬ লাখ প্রবাসীর কাজের প্রশিক্ষণ নেই। আর বাকি ১২ শতাংশ প্রবাসী কারিগরি শিক্ষা, ভাষা, কম্পিউটার ও ড্রাইভিং-এ চারটির কোনো একটির ওপর প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশ ছেড়েছে। প্রবাসীদের মধ্যে চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিক্ষক এবং বৃত্তিমূলক শিক্ষায় ডিগ্রিধারীর সংখ্যা খুবই কম। বেশির ভাগ প্রবাসীর শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির নিচে। ৬২ শতাংশের শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত। ১৬ শতাংশের উচ্চশিক্ষা রয়েছে। দক্ষ ও শিক্ষিতের সংখ্যা কম হওয়ায় বিদেশে বাংলাদেশিরা ভালো চাকরি পায় না। বিদেশে গিয়ে অদক্ষ আধা দক্ষ শ্রমিক হিসেবে কম বেতনে যেন চাকরি করতে না হয়, প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে যাওয়া দক্ষ অভিজ্ঞ শ্রমিকদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তুলনামূলকভাবে বেশি বেতনের চাকরি যাতে পেতে পারেন- তেমন যোগ্যতা নিয়ে বিদেশে যেতে হবে। দক্ষ জনশক্তি প্রেরণের মাধ্যমে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানো সম্ভব। এ লক্ষ্যে সরকার এখন অনেকটাই মনোযোগী হয়েছেন। বিদেশ গমনেচ্ছু শ্রমিকদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ যোগ্য অভিজ্ঞ করে তোলার লক্ষ্যে এখন বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বিদেশগামীদের দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে রেমিট্যান্সের উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে হলে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জনশক্তির পাঠানোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলেই ভবিষ্যতে রেমিট্যান্স বাড়বে বলে আশা করা যায়।