ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংকট এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়

রায়হান আহমেদ তপাদার, গবেষক ও কলামিস্ট, [email protected]
ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংকট এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়

মধ্যপ্রাচ্যের ফিলিস্তিন নামের যে এলাকা, সেটি ছিল অটোমান সাম্রাজ্যের অধীন। কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অটোমানদের পরাজয়ের পর ব্রিটেন ফিলিস্তিনের নিয়ন্ত্রণ নেয়। তখন ফিলিস্তিনে যারা থাকত তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল আরব, সেই সঙ্গে কিছু ইহুদি, যারা ছিল সংখ্যালঘু। কিন্তু এ দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে শুরু করল, যখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ব্রিটেনকে দায়িত্ব দিল ইহুদি জনগোষ্ঠীর জন্য ফিলিস্তিনে একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার। ইহুদিরা এ অঞ্চলকে তাদের পূর্বপুরুষদের দেশ বলে দাবি করে। কিন্তু আরবরাও দাবি করে এ ভূমি তাদের এবং ইহুদিদের জন্য, সেখানে রাষ্ট্র গঠনের চেষ্টার তারা বিরোধিতা করে। ইসরাইলি এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে লড়াই এখন যেরকম তীব্র হয়ে উঠেছে তা একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে রূপ নিতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে জাতিসংঘ। সর্বশেষ এ সহিংসতা শুরু হয়েছে জেরুজালেমে ১ মাস ধরে চলতে থাকা তীব্র উত্তেজনার পর। কিন্তু ইসরাইলি আর ফিলিস্তিনিদের এ দীর্ঘ সংঘাতের পেছনের ইতিহাস আসলে কী? ১৯২০ থেকে ১৯৪০ দশকের মধ্যে ইউরোপ থেকে দলে দলে ইহুদিরা ফিলিস্তিনে যেতে শুরু করে এবং তাদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ইউরোপে ইহুদি নিপীড়ন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ভয়ংকর ইহুদি নিধনযজ্ঞের পর সেখান থেকে পালিয়ে এরা নতুন এক মাতৃভূমি তৈরির স্বপ্ন দেখছিল। ফিলিস্তিনে তখন ইহুদি আর আরবদের মধ্যে সহিংসতা শুরু হলো, একই সঙ্গে সহিংসতা বাড়ছিল ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধেও। ১৯৪৭ সালে জাতিসংঘে এক ভোটাভুটিতে ফিলিস্তিনকে দুই টুকরো করে দুটি পৃথক ইহুদি এবং আরব রাষ্ট্র গঠনের কথা বলা হলো। জেরুজালেম থাকবে একটি আন্তর্জাতিক নগরী হিসেবে। ইহুদি নেতারা এ প্রস্তাব মেনে নেন; কিন্তু আরব নেতারা প্রত্যাখ্যান করেন। জাতিসংঘের এ পরিকল্পনা কখনোই বাস্তবায়িত হয়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের হয়তো মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা কমানোর সদিচ্ছা ছিল; কিন্তু ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার মরিয়া চেষ্টা ওয়াশিংটনের সেই সদিচ্ছার সহায়ক হবে না। বরং নেতানিয়াহু ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার জন্য এমন আরও কিছু করতে পারেন, যা পূর্ব জেরুজালেমের বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে দিতে পারে। ১ বছরের বেশি সময় ধরে দখলকৃত ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে উত্তেজনা বাড়তির দিকে। ফিলিস্তিনি সশস্ত্র প্রতিরোধ যোদ্ধারা, বিশেষ করে জেনিন ও নাবলুস শহরে অধিকতর সক্রিয় ছিল এবং ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনী ফিলিস্তিনি শহর ও গ্রামগুলোতে সহিংস অভিযানও চালিয়ে আসছে। ২০২২ সালে ইসরাইলি বাহিনী ৩০ জন শিশুসহ কমপক্ষে ১৭০ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা ও প্রায় ৯ হাজার জনকে জখম করেছে। জাতিসংঘ এ বছরটিকে পশ্চিম তীরের জন্য ১৬ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক বছর বলে উল্লেখ করেছে। এ বছর মুসলমানদের পবিত্র রমজান মাসে ইহুদিদের পাসওভার দিবস পড়ে যাওয়ায় আগে থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল, সুতরাং এটি স্পষ্ট ছিল যে বছরের এ সময়টি সহিংসতার জন্য আরেকটি সম্ভাব্য ফ্ল্যাশ পয়েন্ট হবে। ইউক্রেনের যুদ্ধ থেকে মনোযোগ সরিয়ে দেবে- এমন একটি বড় উত্তেজনা রোধ করার আশায়, পরিস্থিতি শান্ত করার ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে দুটি আঞ্চলিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি জর্ডানের বন্দর শহর আকাবায় ফিলিস্তিন, ইসরাইল, জর্ডান, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এক বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠক শেষে দেয়া যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, সব পক্ষ উত্তেজনা প্রশমনে ও ভবিষ্যতের সহিংসতা বন্ধে জোর দিয়েছে এবং পরবর্তী ৬ মাস ইসরাইল ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে কোনো অবৈধ বসতি স্থাপনার অনুমোদন দেবে না বলে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে।

গত ১৯ মার্চ মিশরের শারম আল-শেখ শহরে ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের কর্মকর্তারা এক বৈঠকে মিলিত হয়ে জেরুজালেমের পবিত্র শহরের মর্যাদা কথায় ও কাজে বজায় রাখার এবং বিশেষ করে রমজান মাসে সহিংস পরিস্থিতিতে না জড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন। কিন্তু নেতানিয়াহুর সরকার না কথায়, না কাজে জেরুজালেমের পবিত্র শহরের মর্যাদা বজায় রাখতে পারছে। কারণ নেতানিয়াহু এমন উগ্র ইহুদি ধর্মীয় শক্তিগুলোর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন, যারা প্রকাশ্যে বলে থাকে, পবিত্র স্থাপনাগুলোকে জর্ডানের তত্ত্বাবধানে দেয়ার বিষয়টিকে ইসরাইলের স্বীকৃতি দেয়া একটি ঐতিহাসিক ভুল ছিল এবং সেই ভুল ইসরাইলকেই শোধরাতে হবে। চরম উগ্র ইহুদিবাদী নেতা ও জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী বেন-গাভিরের আল হারাম-আল-শরিফে উসকানিমূলক প্রবেশ দিয়ে ২০২৩ সাল শুরু হয়েছে। তার তত্ত্বাবধানে ইসরাইলি সেনারা আল-আকসা মসজিদ চত্বরে ফিলিস্তিনি মুসলমানদের ওপর হামলা চালায়। ইসরাইলের বর্তমান সরকারে থাকা এ বেন-গাভির ও অন্য ৬ জন উগ্রপন্থি নেতাই নেতানিয়াহুকে গদি হারানো থেকে এবং দুর্নীতির দায়ে জেলে যাওয়া থেকে বাঁচাতে পারেন। তারা ভালো করে জানেন, নেতানিয়াহুও এটি জানেন এবং তার সেই দুর্বলতার সুযোগ তারা নিতে চান। তারা জেরুজালেমে লাগাতারভাবে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের দিয়ে সহিংসতা চালিয়ে যেতে চান, যাতে আল-আকসা মসজিদের পবিত্র স্থানের সর্বজনস্বীকৃত মর্যাদা বাতিল হয়ে যায় এবং পূর্ব জেরুজালেম ইসরাইলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। নেতানিয়াহুও চান সেখানে সহিংসতা থাকুক। কারণ ষষ্ঠ দফায় গদিতে বসার পর ইসরাইলের মানুষ তার বিরুদ্ধে যে আন্দোলন করছে, তা থেকে দৃষ্টি এই দিকে সহজেই ঘুরে যাবে। এটি মোটামুটি দৃশ্যমান যে বাইরের দেশের সঙ্গে যুদ্ধ করা ইসরাইলের আগ্রহের বিষয় নয়।

ইসরাইল বর্তমানে পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধ সামলানো নিয়ে ব্যস্ত আছে। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের সামরিক উপস্থিতি ও কূটনৈতিক সাফল্য নিয়ে তারা চিন্তিত। লেবানন সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় সম্প্রতি যে বিস্ফোরণ ঘটেছে, তাতে হিজবুল্লাহর সম্পৃক্ততাও ইসরাইলকে চিন্তায় ফেলেছে। অন্যদিকে হামাস পশ্চিম তীর, জেরু জালেম ও ইসরাইলে বিক্ষোভকারীদের সমাবেশ করার পরিকল্পনা করায় ইসরাইল চিন্তিত হয়ে পড়েছে। আল-আকসায় যাতে ইসরাইলের বাহিনী ঢুকতে না পারে, সে জন্য বিপুলসংখ্যক মুসল্লি হামাস জড়ো করতে চায়। অনেকে এই ভেবে উদ্বিগ্ন যে নেতানিয়াহুর সরকার হয়তো এ আগ্রাসী আক্রমণ দিয়ে আল-আকসায় ফিলিস্তিনিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিতে চায়, যেটি তারা হেবরন শহরের ইব্রাহিমি মসজিদের ক্ষেত্রে করেছিল। ১৯৯৪ সালে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা ইব্রাহিমি মসজিদে নামাজরত ২৯ মুসল্লিকে হত্যা করার পর ইসরাইল অধিকতর সহিংসতা ঠেকাতে মসজিদটিকে মুসলমান ও ইহুদিদের মধ্যে দুই ভাগ করে দিয়েছিল। এ ধরনের ব্যবস্থা আল-আকসার ক্ষেত্রে নেয়া হলে আল-আকসা আনুষ্ঠানিকভাবে মুসলমানদের পবিত্র উপাসনালয়ের মর্যাদা হারাবে এবং সেটি হলে মুসলমানরা শুধু অনুমতি সাপেক্ষে এ মসজিদে কিছুক্ষণের জন্য ঢুকতে পারবে; কিন্তু নামাজ পড়তে পারবে না। তখন আল-আকসাকে গ্রাস করে ফেলা সহজ হয়ে যাবে। এ অবস্থায় আরব দেশগুলো যদি ইসরাইলকে না থামায়, তাহলে নেতানিয়াহুর উগ্রডানপন্থি মিত্ররা আল-আকসা থেকে মুসলমানদের বিতাড়িত করতে আরও সাহসী হয়ে উঠবে। ইসরাইলি-ফিলিস্তিনি সংঘর্ষের পূর্ববর্তী সব উদাহরণের মতো সংবাদমাধ্যমের এ ধরনের পরিভাষা ব্যবহারে সহিংসতার ক্ষেত্রে ইসরাইলের একচেটিয়া দায় অগ্রাহ্য করে এবং এ সত্যটিও অস্বীকার করা হয় যে, ইসরাইল সংঘর্ষে ফিলিস্তিনি প্রতিপক্ষের চেয়ে ব্যাপক হারে হত্যা, পঙ্গু ও আহত করে।

এটি এ বাস্তবতাকেও অস্বীকার করে যে, ফিলিস্তিনিদের ওপর সহিংসতা, তাদের জাতিগত নির্মূল, ফিলিস্তিনি ভূমি দখল এবং গণহত্যার পর্যায়ক্রমিক অপরাধ প্রায় ৭৫ বছর বয়সি ইসরাইলি দখলনীতির কারণেই ঘটছে।

সমসাময়িক ইসরাইলি সামরিক হামলা দেখলেই ইসরাইলি বর্বরতা স্পষ্ট হবে। ২০১৪ সালে অপারেশন প্রোটেক্টিভ এজ নামে ইসরাইল ৫৫১ শিশুসহ গাজা উপত্যকায় ২ হাজার ২৫১ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে শুরু হওয়া ২২ দিনের অপারেশন কাস্ট লিড-এ গাজায় প্রায় ১৪০০ ফিলিস্তিনি কে হত্যা করা হয়। তখন মাত্র তিন ইসরাইলি বেসামরিক ব্যক্তি মারা গেছে। ২০১৮ সালেও সংঘর্ষ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। তখন গাজা সীমান্তে বিক্ষোভের প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলি সামরিক বাহিনী কয়েকশ’ ফিলিস্তিনিকে হত্যা এবং হাজার হাজার আহত করে। ২০২১ সালের মে মাসে অপারেশন গার্ডিয়ান অব দ্য ওয়াল নামে ১১ দিনের ইসরাইলি তাণ্ডবে আড়াই শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়, যাদের মধ্যে প্রায় এক-চতুর্থাংশ ছিল শিশু। সর্বশেষ যে অপারেশনের শুরু হলো, সেটিকেও আল-আকসা মসজিদে সংঘর্ষ হিসেবে দেখা হবে? কিছু সংবাদমাধ্যম ইসরাইলি এবং ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বর্তমান রক্তপাতের বিষয়টি যেভাবে চিত্রিত করছে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ রয়েছে। আফগানিস্তানের কুন্দুজে একটি হাসপাতালে ২০১৫ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাণঘাতী বোমা হামলাকে কেউ চিকিৎসা সুবিধাসংবলিত হাসপাতাল এবং একটি এসি-১৩০ গানশিপের মধ্যে সংঘর্ষ হিসেবে বর্ণনা করবে না। গত ২৫ বছর ধরেই শান্তি আলোচনা চলছে থেমে থেমে। কিন্তু সংঘাতের কোনো সমাধান এখনও মেলেনি। কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জেরুজালেমে ইসরাইলি সরকারের প্রতি শিথিলতা প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে। দামেস্ক গেটের বাইরে স্কয়ার খুলে দিতেও তারা আহ্বান জানায়।

তবে ইসরাইলি সরকার এ ব্যাপারে কোনো আগ্রহ দেখায়নি। ইসরাইলে গত মার্চে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কাউকে সুস্পষ্টভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়নি। রাজনৈতিক সমঝোতার জন্য নেতানিয়াহুর সঙ্গে উগ্রবাদী ডানপন্থি আইনপ্রণেতাদের আলোচনার প্রয়োজন ছিল। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও নেতানিয়াহুর বায়োগ্রাফার আনশেল ফেফার বলেন, ইহুদি ও আরবদের মধ্যে উত্তেজনা নেতানিয়াহুর তৈরি নয়। ইসরাইল প্রতিষ্ঠার আগে থেকেই এই উত্তেজনা ছিল। তবে নেতানিয়াহু তার দীর্ঘ শাসনামলে এ উত্তেজনাকে জিইয়ে রেখে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণ করেছেন। এখন উত্তেজনা যখন চরমে, তখন একজন নেতা হিসেবে তা নিরসনে তিনি পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন। এক কথায় বলতে গেলে, খুব সহসা এই পরিস্থিতির কোনো সমাধান মিলবে না। সংকট সমাধানের সর্ব-সাম্প্রতিক উদ্যোগটি নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র, ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তখন। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এটিকে ডিল অব দ্য সেঞ্চুরি বলে বর্ণনা করেছিলেন। কিন্তু ফিলিস্তিনিরা এ উদ্যোগকে নাকচ করে দিয়েছিল একেবারেই একতরফা একটি উদ্যোগ বলে। যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্যোগ নিয়ে আসলে কাজ মোটেই এগোয়নি। ভবিষ্যতের যে কোনো শান্তি চুক্তির আগে দু’পক্ষকে জটিল সব সমস্যার সমাধানে একমত হতে হবে। সেটি যতদিন না হচ্ছে, দু’পক্ষের এই সংঘাত চলতেই থাকবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত