ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ভাবনায় দেশের তরুণ-প্রবীণরা

জিহাদ হোসেন রাহাত
ভাবনায় দেশের তরুণ-প্রবীণরা

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ২০ ও ২১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব শেষ করেছেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে ২৪ এপ্রিল শপথ গ্রহণ করেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। সদ্য সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ছিলেন সদা সদালাপী এবং তারুণ্যের পথপ্রদর্শক। তারুণ্যের শক্তি কাজে লাগাতে নিয়েছিলেন বেশ কিছু পদক্ষেপ। শুধু তরুণদের নিয়ে নয়, ভাবতেন দেশের প্রবীণ নাগরিকদের নিয়েও। সদ্য সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ২০১৪ সালের ২১ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে দেশে বসবাসরত যাদের বয়স ৬০ কিংবা তার বেশি, তাদের সিনিয়র সিটিজেন হিসেবে ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে প্রবীণরা যাতে নিপীড়নের শিকার না হন, তারা যেন কোনো ধরনের বৈষম্যের শিকার না হন এবং অবহেলিত না হন তার আশ্বাস দিয়েছিলেন। তিনি আশা রাখতেন, সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ক্রমাগত কল্যাণকর নতুন নতুন কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। দেশের প্রবীণ নাগরিকদের মর্যাদাবান রাখতে সদ্য সাবেক রাষ্ট্রপতির প্রত্যাশা ছিল বিশাল। রাষ্ট্রপতির প্রত্যাশার তালিকায় ছিল, রাষ্ট্রীয়ভাবে সিনিয়র সিটিজেন হিসেবে স্বীকৃতি ও পরিচিতিসহ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমাজে বৈষম্য ও নিপীড়নমুক্ত নিরাপদ জীবনযাপনের নিশ্চয়তা প্রদান, আর্থিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা ও যাতায়াতসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান। তিনি যেমনটি ভাবতেন, ঠিক তেমন সুবিধা রাষ্ট্রের সদ্য সাবেক রাষ্ট্রপতি হিসেবে তিনিও পেতে যাচ্ছেন। সরকারের তরফ থেকে অবসরকালীন ভাতা হিসেবে প্রতি মাসে পাবেন প্রায় ৯০ হাজার টাকা। অবশ্য দেশের অন্যসব সিনিয়র নাগরিকদের থেকে তার সম্মান কিছুটা বেশি হবে- তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

দেশের প্রবীণ তথা সিনিয়র সিটিজেনদের নিয়ে সদ্য সাবেক রাষ্ট্রপতির প্রত্যাশা কিছুটা পূর্ণ হলেও পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। অবশ্য দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সব দিকে পূর্ণতা আনাও সহজ না। তবে বাংলাদেশের একজন তরুণ নাগরিক হিসেবে আমি তথা আমরা আশা রাখি সদ্য শপথ গ্রহণ করা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ২২তম মহামান্য রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন সদ্য সাবেক রাষ্ট্রপতির প্রত্যাশাগুলো পুরোপুরি পূরণে চেষ্টা করবেন।

একজন তরুণ হিসেবে ‘ভাবনায় দেশের তরুণরা’ শিরোনামে আমি শুরু করতে চাইলেও প্রসঙ্গেক্রমে চলে আসে প্রবীণদের কথা। এবার একটু তরুণ-তারুণ্যে ফিরে আসা যাক। ২০১৫ সালের ২৬ এপ্রিল রোববার নর্দার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (এনইউবি) তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সদ্য সাবেক মহামান্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছিলেন, ‘তরুণ প্রজন্ম যাতে একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিতে পারে, এ জন্য তাদের সময়োপযোগী ও সৃজনশীল জ্ঞানে সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে হবে।’ ২৭ এপ্রিল ২০১৫ এ বক্তব্যটি উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদও প্রকাশ করেছিল দেশের গণমাধ্যমগুলো। টানা দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে দেশের তরুণদের নিয়ে এমন নানান ভাবনা ও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছিলেন তিনি। বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে যখন যেখানে দায়িত্ব পালন করেছেন, সেখানেই আলো ছড়াতে চেষ্টা করছেন তিনি। দেশের তরুণ নাগরিক হিসেবে আশা রাখি, ২২তম মহামান্য রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পুও এমনিভাবেই দেশের তরুণদের নির্দেশনা প্রদান করবেন। সাবেক রাষ্ট্রপতির ন্যায় তিনিও হবেন প্রবীণবান্ধব। শুভ হোক বাংলাদেশের নতুন যাত্রা। অভিনন্দন মহামান্য রাষ্ট্রপতি।

তরুণ কলামিস্ট

[email protected]

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত