ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পর্যালোচনা

ডলারের একাধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে ইয়ান

এম এ মাসুম, ব্যাংকার ও অর্থনীতি বিশ্লেষক, [email protected]
ডলারের একাধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে ইয়ান

প্রতিটি দেশের নিজস্ব মুদ্রা রয়েছে। আমাদের যেমন টাকা, যুক্তরাষ্ট্রের তেমনি ডলার। কিন্তু টাকা দিয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য হয় না, এর জন্য প্রয়োজন ডলারের। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ ডলারে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য করে। অর্থাৎ, কোনো পণ্য আমদানি করলে তার বিল মেটায় ডলারে, আবার কোনো পণ্য রপ্তানি করলে তার জন্য অর্থ পায় ডলারে।

মার্কিন কংগ্রেস ১৭৮৫ সালে বিশ্বব্যাপী ডলারের মাধ্যমে লেনদেন প্রবর্তন করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বব্যাপী এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ‘হার্ড কারেন্সি’ হিসেবে পরিগণিত হয়। এটি বর্তমান-বিশ্বের সর্বাধিক প্রচলিত মুদ্রা। বিশ্বজুড়ে ডলারকে বলা হয় ‘রিজার্ভ মুদ্রা’। ‘রিজার্ভ মুদ্রা’ বা ‘বৈশ্বিক মুদ্রা’ হচ্ছে এমন একটি মুদ্রা যেটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বহুল ব্যবহৃত এবং যে মুদ্রাকে রাষ্ট্রগুলো সঞ্চয় করে রাখে। বিশ্বে যত লেনদেন হয়, তার ৮৫ ভাগ হয়ে থাকে ডলারে। এরপরেই রয়েছে ইউরো, পাউন্ড, অস্ট্রেলিয়ার বা কানাডার মুদ্রা, ইয়েনের অবস্থান। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) তথ্য অনুসারে, বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর রিজার্ভের প্রায় ৬২ শতাংশই মজুত আছে ডলারে। বাকি অংশের মধ্যে ২০ শতাংশ আছে ইউরোতে। জাপানের ইয়েন ও ব্রিটিশ পাউন্ডে সংরক্ষিত আছে প্রায় ৫ শতাংশ করে রিজার্ভ। বাংলাদেশের আমদানির ৮৫ শতাংশ আর রপ্তানির ৯৭ শতাংশ ডলার ব্যবহার করে করা হয়।

বিশ্বজুড়ে বৈদেশিক বাণিজ্যের লেনদেনে ডলার প্রধান মুদ্রা হলেও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নতুন এক পরিস্থিতির ইঙ্গিত দিচ্ছে। মার্কিন ডলারের আধিপত্য খর্ব করার জন্য সক্রিয় হয়ে উঠেছে চীন, রাশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশ। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়েছে মুদ্রাবাজারে। অনেক দেশ আন্তর্জাতিক লেনদেনে ডলারের বিকল্প হিসেবে নিজেদের মুদ্রা ব্যবহার করার চেষ্টা করছে। বর্তমানে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে একটি প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে তা হলো বড় অর্থনীতির নিজেদের মুদ্রা চালুর এ চেষ্টায় কি ডলারের সেই আধিপত্য কমবে?

ইউক্রেনে হামলা করার জেরে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর থেকেই তারা ঘোষণা করেছে, গ্যাস বা তেল বিক্রির অর্থ এখন থেকে রুবলে পরিশোধ করতে হবে। এর ফলে বিনিময় মূল্য কমে যাওয়ার বদলে বরং আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে রুবল। চীন, ভারত ও তুরস্কের মতো বড় অর্থনীতির দেশ রাশিয়া থেকে রুবলে তেল ও গ্যাস কিনছে। এমনকি ইউরোপীয় দেশগুলোও রুবলে রাশিয়াকে অর্থ পরিশোধ করতে বাধ্য হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের পর রাশিয়া সবচেয়ে বেশি তেল রপ্তানি করে থাকে।

ডলারের বিকল্প খুঁজতে শুরু করেছে ইরান, চীন, ব্রাজিল, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া। যুক্তরাজ্য, জার্মানি, সিঙ্গাপুরসহ ১৮টি দেশের সঙ্গে রুপিতে লেনদেনের একটি চুক্তি করেছে ভারত। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সাবেক অর্থনীতিবিদ ও ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের স্ট্রাটেজিস্ট ডেভিড উ বলছেন, রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে আন্তর্জাতিক বিনিময় মুদ্রা হিসাবে ডলার নিয়ে অনেক দেশ ভাবতে শুরু করেছে।

সৌদি আরব থেকে ইউয়ান ব্যবহার করে তেল কেনার বিষয়ে আলোচনা করছে চীন। এর মধ্যেই তারা ফ্রান্সের টোটাল এনার্জির সঙ্গে ইউয়ানে লেনদেন শুরু করেছে। গত মার্চ মাসে ব্রাজিল ও চীন একটি যুক্তি করেছে, যে চুক্তির বলে দুই দেশের বাণিজ্যের লেনদেন নিষ্পত্তিতে পরস্পরের মুদ্রা ব্যবহার করা হবে। ইরান, ভেনেজুয়েলা ও রাশিয়ার মতো দেশগুলোয় পণ্য বিনিময়ে ২০১৮ সালে সাংহাই ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এক্সচেঞ্জ স্থাপন করেছে চীন, যেখানে তারা রেনমিনবি বা আরএনবিতে লেনদেন করছে।

ইউক্রেইন যুদ্ধের কারণে মার্কিন ও পশ্চিমা শক্তি রাশিয়ার ওপর সর্বাত্মক বাণিজ্যিক অবরোধ আরোপ করে। তাদের আন্তর্জাতিক লেনদেনের সুইফট সিসটেম থেকে বিচ্ছিন্ন করার মাধ্যমে আটকে দেয় ইউএস ডলারের বিশাল বৈদেশিক রিজার্ভ। ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে রাশিয়া তাৎক্ষণিকভাবে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়। তাদের মুদ্রার মানে ধস নামে। রাশিয়া এ অবস্থা মোকাবিলার পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে রুবল ব্যবহারের বাধ্যবাধকতার ঘোষণা দেয়। রাশিয়ার বক্তব্য তাদের সঙ্গে বাণিজ্য করতে হলে রুবলের মাধ্যমেই করতে হবে। এ ঘোষণায় বিশ্ব নড়েচড়ে বসে এবং রুবলের দাম ঝটপট বেড়ে শক্তিশালী হয়ে ওঠে মুদ্রাটি। কিন্তু গল্পের এখনেই শেষ নয়, শুরু মাত্র।

যুদ্ধকালীন সময়ে পশ্চিমা শক্তি রাশিয়াকে একঘরে করে ফেলে। নিঃসঙ্গ রাশিয়াও মিত্রের সন্ধানে নামে এবং সে তার এশিয় প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলায় মনোযোগী হয়। চীন, রাশিয়া এর মধ্যেই একে অন্যের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন করে তারা ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্বের ঘোষণা করে। চীন বিশ্বের বৃহত্তম তেলের ভোক্তা ও গ্যাসের অন্যতম আমদানিকারক। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চীন পশ্চিম এশিয়া থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে অধিক তেল কিনছে। বেইজিং তার শক্তি সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চল থেকে আমদানি করে। ইরান থেকে ইয়েন ব্যবহার করেই তেল কিনছে চীন।

দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নালেদি প্যান্ডর এ বছরের শুরুতে তার এক বক্তব্যে বলেন, ‘ডলারের একক আধিপত্যের বিপরীতে বিশ্বে একটি সুষম/ন্যায্য মুদ্রা বিনিময় ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা নিয়ে তারা কাজ করছেন। তার অংশ হিসাবে ব্রিকস-এর সদস্য দেশগুলো (ব্রাজিল, রাশিয়া, ইন্ডিয়া, চীন ও সাউথ আফ্রিকা) একটি নতুন আন্তর্জাতিক রিজার্ভ মুদ্রা তৈরির কথা বিবেচনা করছে।’

ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট দিলমা রুসেফ চীন-সাংহাই ভিত্তিক নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এনডিবি) নেতৃত্ব গ্রহণ করেছেন। যাকে ব্রিকস ব্যাংক হিসেবেও অভিহিত করা হয়। মার্কিন নিয়ন্ত্রিত বিশ্বের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিকল্প হিসেবে ২০১৪ সালে এনডিবি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। নয়া উদারনৈতিক অর্থনৈতিক সংস্কারের নামে দরিদ্র দেশগুলোর ওপর যে ঋণের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল তার পরিপ্রেক্ষিতেই এ সংস্থার জন্ম দেয়া হয়েছে। ব্রিকস অর্থনৈতিকভাবে গ্লোবাল সাউথকে একীভূত করতে চায়, চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) যার ভৌত অবকাঠামো প্রদান করবে। ইরান ও সৌদি আরব উভয়ই বিআরআই-এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যদি এই দেশগুলোকে অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিকভাবে একীভূত করা যায়, তাহলে বর্ধিত ব্রিকস হবে বৈশ্বিক পণ্যের পাওয়ার হাউস যা বিশ্ববাজারে উল্লেখযোগ্য প্রভাব রাখবে। বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, অগাস্ট মাসে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে গঠিত জোট ব্রিকসের যে সম্মেলন রয়েছে, সেখানে ডলারের বিকল্প মুদ্রায় লেনদেনের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পেতে পারে। কয়েক মাস ধরেই ডলার-সংকটের মধ্যে রয়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা। বিভিন্নভাবে উদ্যোগ নিয়ে ডলারের ওপর নির্ভরতা কমানোর চেষ্টা করছে দেশটি। সেই ধারাবাহিকতায় এবার চীনের সঙ্গে লেনদেনের ক্ষেত্রে ডলারের পরিবর্তে ইউয়ান ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছে আর্জেন্টিনা। সাম্প্রতিক দীর্ঘমেয়াদি খরায় আর্জেন্টিনার কৃষিপণ্য রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। এ কারণে দক্ষিণ আমেরিকার এ দেশ ডলারের রিজার্ভ নিয়ে সংকটের মধ্যে রয়েছে। এ ছাড়া চলতি বছর দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন রয়েছে। ফলে বর্তমানে একধরনের রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাও রয়েছে সেখানে। এমন পরিস্থিতিতে চীনা মুদ্রা ইউয়ানে লেনদেনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। ইউয়ানকে ডলারের বিকল্প আন্তর্জাতিক মুদ্রা করার প্রচেষ্টায় সম্প্রতি কিছুটা সফলতা পেয়েছে চীন। গত মার্চের সরকারি হিসাবে দেখা গেছে, আন্তসীমান্ত (ক্রস-বর্ডার) লেনদেনে প্রথমবারের মতো ডলারের পরিবর্তে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে নিজস্ব মুদ্রা ইউয়ান ব্যবহার করছে চীন। চীনের বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব ফরেন এক্সচেঞ্জের তথ্য বিশ্লেষণ করে রয়টার্স জানিয়েছে, মার্চে রেকর্ড ৫৪ হাজার ৯৯০ কোটি (৫৪৯.৯ বিলিয়ন) মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ আন্তসীমান্ত লেনদেন ও অর্থপ্রাপ্তি কার্যক্রম ইউয়ানের মাধ্যমেসম্পন্ন করেছে চীন। ফেব্রুয়ারি মাসে ইউয়ানের মাধ্যমে এ লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪৩ হাজার ৪৫০ কোটি (৪৩৪.৫ বিলিয়ন) মার্কিন ডলারের সমান।

রাশিয়ার অর্থায়নে বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে, সেটার ঋণ চীনা মুদ্রা ইউয়ানে পরিশোধের ব্যাপারে বাংলাদেশ ও রাশিয়াসম্মত হয়েছে বলে বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলো বলছে। রাশিয়ার রাষ্ট্র মালিকানাধীন কোম্পানি রোসাটম সহযোগিতামূলকভাবে ১২৬৫ কোটি ডলারের দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে বাংলাদেশে। এর মধ্যে প্রকল্পের শতকরা ৯০ ভাগ অর্থ রাশিয়ার পরিশোধযোগ্য ২৮ বছরের ঋণ। এর সঙ্গে আছে ১০ বছরের গ্রেস পিরিয়ড।

ডলারের একাধিপত্যকে খর্ব করার চেষ্ট করা হলে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। কোনো দেশ যদি তার মুদ্রাকে ডলারের বিপরীতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়, তাহলে তাকে বৈদেশিক মুদ্রার চলতি হিসাবের বড় ঘাটতি মেনে নিতে হবে। অর্থাৎ তার দেশে ওই মুদ্রা যতটা আসে, তার চেয়ে বেশি মুদ্রা দেশের বাইরে চলে যাবে। বর্তমানে ডলারের হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় চলতি হিসাবের ঘাটতির দেশ। অন্যদিকে চীন হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় চলতি হিসাবে সমৃদ্ধ দেশ। আইএমএফের সাবেক অর্থনীতিবিদ ও ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের স্ট্রাটেজিস্ট ও অর্থনীতিবিদ ডেভিড উ বলছেন, চীনের মতো রপ্তানিনির্ভর দেশগুলো কখনও চাইবে না, ডলারের বিপরীতের তাদের মুদ্রার মান বেড়ে যাক। সেটা হলে তাদের রপ্তানি আয় ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ঠিক একই কারণে সেটা করতে চায় না জাপানের মতো দেশও। তিনি মনে করেন, অনেক দেশ এখন নিজেদের মুদ্রায় লেনদেন করার চেষ্টা করছে, কিন্তু তার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মুদ্রা হিসাবে বা রিজার্ভের মাধ্যম হিসাবে তারা ডলারের সমকক্ষ হয়ে উঠতে পারবে বলে আমি মনে করি না। কারণ এখনো ডলারকে যেভাবে বিশ্বের দেশগুলো তাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হিসাবে ব্যবহার করে, অন্য কোনো মুদ্রাও সেই অবস্থায় এখনও যেতে পারেনি। ফলে আপাতত ডলারের জন্য এখনও বিশ্ববাজারে বড় কোনো হুমকি দেখছেন না। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ডলারের মতো করে কোনো দেশ নিজেদের মুদ্রাকে আন্তর্জাতিক রিজার্ভ মুদ্রা হিসাবে ব্যবহার করতে চাইলে চলতি হিসাবের বিশাল ঘাটতি তৈরি হবে।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের ২০১৯ সালের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, বিভিন্ন দেশের মধ্যে সরাসরি নিজেদের মুদ্রা বিনিময়ের সুযোগ থাকলে ঝুঁকি এবং বাণিজ্যিক খরচ কমে আসে। যদিও বাংলাদেশে সেরকম কোনো প্রচেষ্টা শুরু হয়নি। বিভিন্ন অর্থনীতিবিদরা বলছেন, গত ২০ থেকে ৩০ বছর ধরেই ডলারের বিকল্প মুদ্রার বিষয়ে নানা আলোচনা হয়েছে। কিন্তু তাতে এখনও কোনো সফলতা আসেনি। ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কের গবেষণায় দেখা গেছে, ইউরোপের দেশগুলোয় ইউরো ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হলেও অন্য অঞ্চলে এর ব্যবহার অনেক কম। ফলে সম্ভাবনা থাকলেও ডলারের বিপরীতে সেটি শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারেনি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত