চলমান বিশ্ব

সুদান সংকট ও মানবিক বিপর্যয়

রায়হান আহমেদ তপাদার, গবেষক ও কলামিস্ট, [email protected]

প্রকাশ : ০৫ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

সুদানে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে জেনারেলদের একটি কাউন্সিল দেশটি পরিচালনা করছে। কিন্তু পরে বিভিন্ন ইস্যুতে তাদের মধ্যে তৈরি হয় ক্ষমতার দ্বন্দ্ব। প্রায় ৩০ বছর ধরে স্বৈরশাসন চালিয়ে সুদানকে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল করে দেয়া এবং গণহত্যা চালিয়ে বহু মানুষ হত্যা করা প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরকে একটি সামগ্রিক বিপ্লবের মাধ্যমে উৎখাতের পর দেশটিতে ক্ষমতার শূন্যতা তৈরি হয়েছিল। আরএসএফ নাকি সেনাবাহিনী দেশ চালাবে তাই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে ৪ বছর ধরে ভেতরে ভেতরে টানাপড়েন চলছিল। অবশেষে তা সরাসরি সশস্ত্র লড়াইয়ে রূপ নিয়েছে। গত ১০ বছর ধরে আরব দেশগুলো গণতন্ত্রের আশায় তাদের একনায়কের উৎখাত করার পর নিজেদের আশা পদপিষ্ট হওয়া দেখে আসছে। সুদানে সেই আরব দেশগুলোর ভয়ংকর মিছিলে শামিল হয়েছে। এসব দেশের মধ্যে আবদেল ফাতাহ আল সিসির শাসনাধীন মিশরের মতো দু-একটি সৌভাগ্যবান দেশ আছে, যেগুলোতে পুরোনো শাসন পুনঃস্থাপিত হয়েছে। এসব দেশের মধ্যে লিবিয়া, ইয়েমেন ও সিরিয়ার দশা সবচেয়ে ভয়াবহ। এসব জায়গায় গৃহযুদ্ধ নেমে এসেছে এবং সেখানকার মানুষ শরণার্থী হয়ে ইউরোপে জীবনবাজি রেখে পাড়ি জমিয়েছে। কিন্তু সুদানের দুর্দশা বহু আগে থেকেই পাওনা ছিল। গত সপ্তাহের ঘটনাবলির শুরুটা হয়েছিল ২০ বছর আগে; দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় দারফুর এলাকায়। ওই সময় সরকারবিরোধী একটি বিদ্রোহকে বন্দুকবাজ ভাড়াটে ও খুনিদের দিয়ে সে সময় দমন করা হয়েছিল। বিদ্রোহ দমনকারী ওই সরকারপন্থি গ্রুপের সদস্যদের বলা হতো জানজাবিদ। সুদানের সংকট যে গতিতে উন্মোচিত হচ্ছে, তা ইঙ্গিত দেয় যে, এই সংকট দীর্ঘদিন ধরে ভেতরে ভেতরে গজিয়ে উঠছিল।

দেশটির আজকের পতিতদশা হলো ধারাবাহিক ব্যর্থতা, জটিলতা ও এমন আত্মসন্তুষ্টির ফল যা এত দিন ধরে জনমনে ঘুরপাক খাচ্ছিল এবং জনগণ ধরেই নিয়েছিল এ তুষ্টির অবস্থা চিরকাল অব্যাহত থাকবে। কারা দেশ চালাবে- এই নিয়ে আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) ও নিয়মিত সেনাবাহিনীর মধ্যে লড়াই বেঁধে যাওয়ার এবং দু’পক্ষের গুলির মাঝে পড়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত সুদানের জনগণের সেই আত্মতুষ্টির ঘুম ভাঙেনি। এখন রাজধানী খার্তুম ভয়ংকর রণক্ষেত্রে হয়ে উঠেছে। পুরো শহরে ট্যাংকের ছুটোছুটি, ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত হানা, কুণ্ডলী পাকানো ধোঁয়ার উদ্গীরণের পরাবাস্তব দৃশ্য এখন বাস্তব হয়ে দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি সুদানের রাজধানী খার্তুমে গত ২২ এপ্রিল থেকে যে লড়াই শুরু হয়েছে, সেটি দেশটির ৭০ লাখ মানুষকে নানামুখী সংঘাতপূর্ণ বাস্তবতার মুখে ঠেলে দিয়েছে। জনাকীর্ণ নগরগুলো এখন মানবিক বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। বিশেষ করে এর মধ্যেই দুর্বল হয়ে পড়া স্বাস্থ্যব্যবস্থা একেবারে স্থবির হয়ে পড়ার অবস্থায় চলে গেছে; পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং বাইরে থেকে খাদ্যপণ্য শহরে ঢোকা উত্তরোত্তর কঠিন হয়ে পড়ছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরের ক্ষমতাকালের শেষ কয়েক বছরে সুদানে যে বিভক্তি বাড়ছিল, ২০১৯ সালে তার পতনের পর তা অধিকতর বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেছে। আজকের এ অবস্থা সেই বিশৃঙ্খলারই পরিণতি। স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই সুদান কয়েক দফা বিদ্রোহ ও গৃহযুদ্ধের মুখে পড়েছে। রাজনৈতিক মেরুকরণের কারণে সেখানে সংঘাত-সংঘর্ষ এবং আদিবাসী ও উপজাতীয় গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে বিবাদ বেড়েছে। সম্পদের দখল নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা মারামারি সামরিক সংঘাতে রূপ নিয়েছে এবং সেটি পুরোনো গোষ্ঠী দ্বন্দ্বকে জাগিয়ে তুলেছে। এর মধ্যেই খার্তুমের মিত্রবাহিনী হিসেবে কাজ করা মিলিশিয়ারা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

রাষ্ট্রের সামরিক ব্যবস্থার এই অসংগতি দেশটিতে তথাকথিত র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস নামের একটি ভয়ংকর দানবের জন্ম দিয়েছে। আরএসএফ নামের এ আধা সামরিক বাহিনী এখন গদি দখলে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে। হামদান হেমেদতি দাগালোর নেতৃত্বাধীন আরএসএফ সম্পর্কে জানতে আমাদের ২০০৩ সালের আগে যেতে হবে। ওই সময়টাতে সুদানের দারফুর এলাকায় বিদ্রোহ দমন করার জন্য তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আল বশিরের সরকার যতগুলো সশস্ত্র উপজাতি গোষ্ঠীকে মাঠে নামিয়েছিল, তার একটার নেতৃত্বে ছিলেন মুসা হিলাল নামের এক যুদ্ধবাজ নেতা। মুসা হিলাল দারফুরে তার গ্রুপের কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন হামদান হেমেদতি দাগালোকে। অল্প সময়ের মধ্যেই হেমেদতি নির্দয় ও নিষ্ঠুরতার জন্য কুখ্যাত হয়ে ওঠেন এবং তারই নিয়োগদাতা হিলালের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে পড়েন। ২০১৩ সালে হিলাল বশির সরকারের সঙ্গে সম্পর্কোচ্ছেদ করার পর প্রেসিডেন্ট বশির একটি ডিক্রি জারি করে সব ক’টি সরকারপন্থি মিলিশিয়া গ্রুপকে এক করে আরএসএফ গঠন করেন এবং তার প্রধান হিসেবে হেমেদতিকে নিয়োগ দেন। ২০১৫ সালে সুদানের সবচেয়ে বড় বাহিনী হিসেবে আরএসএফ সৌদি আরবের হয়ে ইয়েমেনে যুদ্ধ করতে যায়। ওই যুদ্ধে আরএসএফ ও সৌদির মধ্যে যে কর্মকর্তা মধ্যস্থতা করছিলেন, তিনিই হলেন আজকের সুদানি সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল বুরহান। তিনি এর আগে দারফুরে দীর্ঘ সময় হেমেদতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন। হেমেদতি এবং বুরহান দু’জনেই সৌদি এবং আমিরাতের নেতাদের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন এবং ইয়েমেনে লড়াইরত নিজের মিলিশিয়া বাহিনীর কারণে হেমেদতির ভাগ্য খুলে যায়। ২০১৭ সালে সেনাবাহিনীর আনুষ্ঠানিক উপাদান হিসেবে আরএসএফকে স্বীকৃতি দিয়ে সুদানে একটি আইন পাস করা হয়। সে আইনে বলা হয়, আরএসএফ সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত একটি বাহিনী হিসেবে কাজ করবে। বাহিনীটি সরাসরি প্রেসিডেন্টের আদেশাধীন থাকবে।

এর কিছুদিন পরই সেনাবাহিনীর কাছে দুর্নীতি ইস্যুতে প্রেসিডেন্ট বশির অবিশ্বস্ত হয়ে ওঠায় তিনি খার্তুমে আরএসএফকে একটি সেনাঘাঁটি গড়তে অনুমতি দেন। ওই সময় থেকে হেমেদতি আরও ক্ষমতা ও সম্পদ কুক্ষিগত করতে থাকেন এবং অচিরেই সুদানের সবচেয়ে ধনী লোক হয়ে দাঁড়ান। একটি কুখ্যাত মিলিশিয়া বাহিনীকে ক্ষমতার উচ্চস্তরে অন্তর্ভুক্ত করা রাষ্ট্রের অখণ্ডতার সঙ্গে আপস করার শামিল। এটি দেশটির অস্থিতিশীলতার গতিকে বাড়িয়ে তুলেছে। পরিণামে অরাষ্ট্রীয় সামরিক শক্তি তাদের আধিপত্যকে মজবুত করেছে এবং রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্বকেই শেষ পর্যন্ত চ্যালেঞ্জ করে বসেছে। প্রেসিডেন্ট বশিরের পতন সংকট কাটানোর বদলে তাকে আরও ঘনীভূত করেছে। বশিরের পতনের পর ২০১৯ সালে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সার্বভৌম পর্ষদ শাসনক্ষমতা নেয়। হেমেদতিকে এই পর্ষদের উপপ্রধান অর্থাৎ কার্যত ভাইস প্রেসিডেন্ট করা হয়। এটি হেমেদতির উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। হেমেদতি আরএসএফকে সেনাবাহিনীর সমান্তরাল বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলেন। তিনি খার্তুম ও ১৭টি প্রদেশে শিবির গড়ে সেখানে প্রায় এক লাখ সেনার অবস্থান ঘটান। তার পরবর্তী পরিকল্পনা ছিল মেরোই বিমানবন্দর দখল করে সেখানে বিমানঘাঁটি গড়া। কয়েক বছর ধরে হেমেদতি সেনাবাহিনীর আদলে অস্ত্রাগার গড়ে চলেছেন। তার অধীন পাইলটদের বিদেশে গিয়ে জঙ্গি বিমান চালানোর প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। তিনি তার বাহিনীতে ফাইটার জেট যুক্ত করার চেষ্টা করছিলেন। তার একটা এয়ারফিল্ড দরকার ছিল। তার সর্বশেষ লক্ষ্য ছিল সুদানের সশস্ত্র বাহিনী করায়ত্ত করা। কয়েক মাস ধরে সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্তারা আরএসএফের আগ্রাসী আচরণে উদ্বিগ্ন ছিলেন এবং তারা সেটি তাদের বিদেশি মিত্রদের জানিয়েও রেখেছিলেন। এখন দেখা যাচ্ছে, তাদের সেই উদ্বেগ মোটেও অমূলক ছিল না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তায় যদি একটি বেসামরিক পর্ষদ গঠন করে তার অধীনে সেনাবাহিনী ও আরএসএফকে একীভূত করে রাখা হতো, তাহলে গণতন্ত্রের পথে উত্তরণ সুদানের পক্ষে অনেক সহজ হতো। অন্তত আজকের এ সংকটে দেশটিকে পড়তে হতো না।

১৯৮৯ সালে ইসলামপন্থিদের সমর্থিত একটি অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখল করা সামরিক শাসক ওমর আল-বশির সে সময় দারফুরে তার মূল্যবান প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনী পাঠাতে চাননি। এর বদলে তিনি দারফুরের আদিবাসী ও উপজাতীয়দের বিভেদ উসকে দিয়ে সেখানকার বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে জানজাবিদদের তার প্রক্সিসেনা হিসেবে লাগিয়ে দেন। ওই সময় দারফুরে লাখ লাখ মানুষ নিহত হয়। নারীদের পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ করা হয় এবং লাখ লাখ লোক বাস্তুচ্যুত হয়। দারফুরের গণহত্যা আন্তর্জাতিক মনোযোগ কেড়েছিল এবং ওমর আল বশিরের সরকারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল ও তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে তিনি দোষী সাব্যস্তও হয়েছিলেন। কিন্তু তাতে সুদানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন আসেনি। জানজাবিদদের প্রেসিডেন্ট বশির আধাসামরিক বাহিনীর মর্যাদা দিয়ে আরএসএফ নামে আলাদা একটি আনুষ্ঠানিক বাহিনী গড়তে দেন। এ বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন যুদ্ধবাজ নেতা মোহামেদ হামাদান দাগালো। বশিরকে হেমেদতি যতদিন সামরিক সুরক্ষা দিয়ে গেছেন, ততদিন বশির হেমেদতিকে প্রভাব-প্রতিপত্তি ও সম্পদ কুক্ষিগত করতে কোনো বাধা দেননি। আর এই সম্পদ ও শক্তি আহরণের স্বাধীনতা হেমেদতির উচ্চাভিলাষকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সুদানের ওপর এমন সব নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যা খুব কম কার্যকর ভূমিকা রেখেছে; একই সঙ্গে সেসব নিষেধাজ্ঞা সুদানের সাধারণ মানুষের সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ক্ষমতাকে দুর্বল করে দিয়েছে। ২০১৯ সালের বিপ্লবের পর সুদানে যাতে গণতন্ত্র বিকশিত না হতে পারে সে জন্য উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের অগণতান্ত্রিক সরকার ও রাজতন্ত্র সুদানের সেনাবাহিনী ও মিলিশিয়া উভয় শিবিরকেই মদদ দিয়ে আসছে। সর্বশেষ, সুদানের সোনা উত্তোলন ও নিরাপত্তা স্বার্থ ধরে রাখতে রাশিয়া সুদানের মিলিশিয়াদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। এই অবস্থায় সুদানে এখন যা ঘটছে তা অনিবার্যই ছিল।

তবে এখনও সমাধানের হয়তো আশা আছে। কিন্তু তার আগে সুব সুদানি নাগরিককে বুঝতে হবে, নির্দিষ্ট কিছু লোকের শান্তি নিশ্চিত করার চিন্তা থেকে বেরিয়ে এসে সবার জন্য শান্তির ভাবতে হবে। সুদানের রাজধানী খার্তুমে এখন যে তীব্র লড়াই চলছে, তার ফলে সেখানে খাদ্য সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। একই সঙ্গে পানি এবং বিদ্যুৎ সরবরাহেও সংকট দেখা দিয়েছে। বিদ্যুৎ এবং পানির সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক সুদানি পরিবার এখন সংকটে পড়েছে। সংঘর্ষের কারণে বেসামরিক লোকজন তাদের বাড়িঘরের ভেতরে আটকা পড়ে আছেন। যুদ্ধ অব্যাহত থাকায় তাদের সংগ্রহে থাকা খাদ্য ও খাবার পানিও দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। খার্তুমের ভেতরে নতুন করে একের পর বিস্ফোরণের পর তারা এখন এই শহর থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। যুদ্ধের কারণে প্রায় ৩৯টি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দেয়া বন্ধ হয়ে গেছে। এ বছরের শুরুতে জাতিসংঘ বলেছিল, সুদানের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষের ২০২৩ সালে মানবিক ত্রাণ সাহায্য দরকার হবে। সুদানে ২০২১ সালে যখন এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বেসামরিক প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লাহ হামদককে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়, তখন সেখানে দাতা দেশগুলো সাহায্য দেয়া স্থগিত রাখে। এর ফলে সুদানের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। সুদান এমনিতেই বিরাট এক অর্থনৈতিক দুর্দশার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, কাজেই দেশের ভেতরে খাদ্যের মজুত যতটুকুই থাক না কেন, সেটি যথেষ্ট হবে না। সুতরাং সুদানে তীব্র মানবিক সংকট তৈরি হওয়ার আগেই সেখানে যুদ্ধবিরতি অত্যাবশ্যক হয়ে পড়েছে।