ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি নির্মূলে চাই কঠোর পদক্ষেপ

মো. ছাব্বির আহমাদ
ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি নির্মূলে চাই কঠোর পদক্ষেপ

বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় পরিবহন হলো রেলপথ। বাংলাদেশ রেলওয়ে সরকার কর্তৃক পরিচালিত অন্যতম পরিবহন সংস্থা। রেলওয়েকে নিরাপদ ও আরামদায়ক করতে বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। চলতি বছরের ১ মার্চ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে ‘টিকিট যার, ভ্রমণ তার’ নীতিতে ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু করে এবং অনলাইনে টিকিট কাটার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করে নিতে বলা হয়। ‘টিকিট যার, ভ্রমণ তার’ নীতি বাস্তবায়ন করার জন্য ট্রেনে পয়েন্ট অব সেল বা পস মেশিনের ব্যবহার শুরু করে।

১ এপ্রিল থেকে অনলাইনে শতভাগ ট্রেনের টিকিট ও পুনরায় ১০ দিন আগে থেকে টিকিট বিক্রি শুরু করা হয়। ট্রেনের যাত্রীরা এ বিষয়টিকে ‘সাধুবাদ’ জানায়। এ নতুন নিয়মের কারণে টিকিট কালোবাজারির দৌরাত্ম্য কিছুটা কমে যায়। কিন্তু টিকিট কালোবাজারিরা তাদের কৌশল পরিবর্তন করে টিকিট ক্রয়-বিক্রয় করছে। এখন তারা যুবকদের হোয়াটঅ্যাপ গ্রুপে এড বা যোগ করে। গ্রুপে যুবকদের অনলাইনে টিকিট কাটার জন্য যাত্রার তারিখ, স্টেশনের নাম এবং ট্রেনের নাম বলে দেয়। টিকিট কাটার পর প্রতি টিকিটে অতিরিক্ত ৩০ টাকা থেকে ৫০ টাকা দিয়ে কালোবাজারিরা নিয়ে নেয়। টিকিট আদান-প্রদান সম্পূর্ণ হোয়াটঅ্যাপে করা হয়। যার ফলে সাধারণ যাত্রীরা সকাল ৮টায় অনলাইনে ডুকেও টিকিট পাচ্ছে না।

ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি রোধে হোয়াটঅ্যাপ গ্রুপ বন্ধে কর্তৃপক্ষের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন। বাংলাদেশ রেলওয়ের ‘টিকিট যার, ভ্রমণ তার’ নীতি বাস্তবায়নের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছি।

শিক্ষার্থী

ঢাকা কলেজ

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত