ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শিশুখাদ্যে সারমোনেলা এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল রং!

শামীম আহমেদ
শিশুখাদ্যে সারমোনেলা এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল রং!

শিশুরাই একটি দেশের ভবিষ্যৎ কর্ণধার। শিশুদের সুস্থ স্বাভাবিক বেড়ে উঠার জন্য প্রয়োজন পুষ্টিকর খাদ্য। কিন্তু আমাদের দেশে শিশু খাদ্যের ওপর যথেচ্ছাভাবে ভেজাল করে বাজারজাত করা হচ্ছে। শিশু জন্মের পরে সবচেয়ে প্রয়োজন পরে মায়ের বুকের দুধের। অনেক সময় শিশু বুকের দুধ পায় না, তখন দারস্থ হতে হয় কৌটার দুধের ওপর। কিন্তু বর্তমানে নামিদামি কৌটার দুধে ‘সারমোনেলা’ নামক ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যাচ্ছে এবং মেলামাইনের গুঁড়ার কথা অজানা না। অন্যদিকে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নামিদামি ব্র্যান্ডের লেভেল লাগিয়ে রাসায়নিক দিয়ে দুধ তৈরি করে বাজারজাত করছে। তুলনামূলক দাম কম হওয়ায় বিক্রিও হচ্ছে হরদম।

গরু মোটাতাজাকরণে বিষাক্ত হরমোন ইনজেকশন দিয়ে মাংসের উৎপাদন বাড়ানোর কথা শুনলেও এবার দুধের উৎপাদন বাড়াতে গরুর শরীরে পিটুইটারি নামক হরমোন ইনজেকশনও দেয়া হচ্ছে।

অন্যদিকে শিশু খাদ্যে ইন্ডাস্ট্রিয়াল রং, কৃত্রিম ফ্লেভার, চিনি, স্যাকারিন মিশিয়ে জেলি, জুস, চকলেট ইত্যাদি তৈরি করে চটকদার মোড়কে বাজারজাত করা হচ্ছে। এসব ভেজাল শিশুখাদ্য কোমলমতি শিশুরা গ্রহণের ফলে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে।

এ বিষয়ে শিশু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুদের এসব রাসায়নিক দিয়ে বানানো খাবার ‘স্লো-পয়জনিং’ মতো কাজ করে সঙ্গে কিডনি, লিভার, পেটে পীড়া, পেটে ঘা, চর্মরোগসহ বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে। সরকারের উচিত ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিরাপদ রাখতে এখনি এ পরিস্থিতির লাগাম টেনে ধরা। জনসাধারণকে ভেজাল খাদ্যের ভয়াবহতা সম্পর্কে অবহিত ও সচেতন জরুরি।

শিক্ষার্থী

ঢাকা কলেজ

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত