ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পদকের ৫০ বছর

সৈয়দ ফারুক হোসেন, রেজিস্ট্রার, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জামালপুর
বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পদকের ৫০ বছর

২৮ মে জাতীয়ভাবে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি’ পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান। ২৩ মে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি’ পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে। ১৯৭৩ সালের ২৩ মে তিনি এই আন্তর্জাতিক পদক লাভ করেন। বঙ্গবন্ধুকে জুলিও কুরি শান্তি পদক পরিয়ে দিয়েছিলেন বিশ্ব শান্তি পরিষদের মহাসচিব রমেশ চন্দ্র। বাঙালি জাতি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছে এ বিশেষ দিনটিকে। ১৯৭৩ সালের এইদিন এশীয় শান্তি সম্মেলনের এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকে পদক পরিয়ে দিয়ে রমেশ চন্দ্র বলেছিলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলার নন, তিনি বিশ্বের এবং তিনি বিশ্ববন্ধু।’ জুলিও কুরি বিশ্বের অন্যান্য শান্তি পুরস্কারের মধ্যে অন্যতম একটি। মূলত সাম্রাজ্যবাদ ও ফ্যাসিবাদ বিরোধিতা এবং মানবতা ও বিশ্ব শানিত প্রতিষ্ঠায় যারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন, তারা এ পদকে ভূষিত হন। বিশ্ব শান্তি পরিষদ ১৯৫০ সাল থেকে জুলিও কুরি পদক দিয়ে আসছে। এই পদক লাভ আমাদের জাতির জন্য এক বড় প্রাপ্তি ছিল। ১৯৫০ সালে থেকে বিশ্ব বিখ্যাত বিজ্ঞানী ম্যারি কুরি ও পিয়েরে কুরি দম্পতিকে সম্মান জানানোর জন্য এ পদকের সূচনা হয়। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় ম্যারি কুরি ও পিয়েরে কুরি দম্পতির সংগ্রামী অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে বিশ্ব শান্তি পরিষদ এ পদক চালু করেছিল। তারই ধারাবাহিকতায় আজও এ পদক চলমান। যারা এ পর্যন্ত এ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তাদের মধ্যে আছেন; নেলসন ম্যান্ডেলা, ইন্দিরা গান্ধী, ফিদেল কাস্ত্রো, হো চি মিন, ইয়াসির আরাফাত, সালভেদর আলেন্দে, মাদার তেরেসা, পাবলো নেরুদা, জওয়াহেরলাল নেহরু, মার্টিন লুথার কিংসহ অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি। বঙ্গবন্ধুসহ যারা এ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন, তারা সবাই বিভিন্ন দেশের নেতৃত্বে বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছিলেন এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও তাদের অবদান ভুলে যাওয়ার মতো নয়। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে এ দিনটা ভিন্নভাবে উদযাপন করার কথা ছিল। কিন্তু করোনা ও আম্পান আমাদের সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছে। আমরা এখনও লেখার মধ্য দিয়ে তার এই অর্জন স্মরণ করতে চাই।

‘জুলিও কুরি’ শান্তিপদক সমগ্র বাঙালি জাতির। ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদকে রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসেবে ঘোষণা করেন। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সংঘাতময় পরিস্থিতি উত্তরণে তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠন করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুই নিজের জীবনকে সারাটা জীবনই তুচ্ছ করে গেছেন। যেখানেই মানবতার অবক্ষয় দেখেছেন, সেখানেই তিনি মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছেন, সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন, বিশ্ব বিবেককে জাগানোর চেষ্টা করেছেন এবং বিশ্বসভায় তাদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ম্যারি কুরি ও পিয়েরে কুরি ছিলেন বিশ্ব বিখ্যাত বিজ্ঞানী। রেডিওলজির ওপর উইলিয়াম রঞ্জনের আবিষ্কারের পথ ধরে কুরি দম্পতি তাদের গবেষণা চালিয়ে যান এবং পলোনিয়াম ও রেডিয়ামের মৌল উদ্ভাবন করেন। তাদের উদ্ভাবন পদার্থবিদ্যায় এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন করে। বিশ্ব শান্তির সংগ্রামে এ বিজ্ঞানী দম্পতির মহান অবদান চিরস্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে বিশ্ব শান্তি পরিষদ ১৯৫০ সাল থেকে ফ্যাসিবাদবিরোধী, সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগ্রামে, মানবতার কল্যাণে শান্তির সপক্ষে বিশেষ অবদানের জন্য বরণীয় ব্যক্তি ও সংগঠনকে জুলিও কুরি শান্তি পদকে ভূষিত করে আসছে।

১৯৭৩ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এশীয় শান্তি সম্মেলনের ঘোষণায় এই উপমহাদেশে শান্তি ও প্রগতির শক্তিগুলোর অগ্রগতি নিশ্চিত করে। বাঙালি জাতিরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা ও স্বাধীনতার স্থপতি, অসাম্প্রদায়িকতা, গণতন্ত্র ও শান্তি আন্দোলনে জাতির পিতার অসামান্য অবদানের পরিপ্রেক্ষিতেই বঙ্গবন্ধুকে জুলিও কুরি শান্তি পদকে ভূষিত করা হয়। ১৯৫০ সাল থেকে বিশ্ব শান্তি পরিষদ ফ্যাসিবাদ-সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগ্রামে, মানবতার কল্যাণে, শান্তির সপক্ষে বিশেষ অবদানের জন্য বরণীয় ব্যক্তি ও সংগঠনকে ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদকে ভূষিত করে থাকে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ভবিষ্যতে এ পদকে ভূষিত হবেন বলে আমাদের আশা। কারণ তিনিও বঙ্গবন্ধুর মতো মানুষের মুক্তি ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিরামহীন কাজ করে যাচ্ছেন। পরাধীনতা থেকে স্বাধীনতা পেয়েছিল বাঙালি জাতি। পাকিস্তানিদের শাসন, শোষণ এবং নিপীড়ন থেকে মুক্তি দিতে সাড়ে ৭ কোটি মানুষের ত্রাতা হিসেবে এসেছিলেন, সর্বকালের সেরা পুরুষ, ক্ষণজন্মা, বাঙালি জাতির মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহান মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক, বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালে ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করেন। শোষিত ও নিপীড়িত জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তথা বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় তার অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১০ অক্টোবর ১৯৭২ ফিনল্যান্ডের হেলসিংকিতে বিশ্ব শান্তি পরিষদ এক ইশতেহারে বাঙালি জাতির পিতা, গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও শান্তি আন্দোলনের পুরোধা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিশ্ব শান্তি পরিষদের সর্বোচ্চ সম্মান ‘জুলিও কুরি’ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয় এবং সব বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান’কে বঙ্গবন্ধু তার পররাষ্ট্রনীতির মূলমন্ত্র হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। বিশ্ব শান্তি পরিষদের শান্তি পদক জাতির পিতার কর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ। এটি ছিল বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় তার অবদানের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। আর এই পদক ছিল বাংলাদেশের জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মান। বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পদক অর্জন আপামর বাঙালির এক বিরল সম্মান। এ মহান অর্জনের ফলে জাতির পিতা পরিণত হয়েছেন বঙ্গবন্ধু থেকে বিশ্ববন্ধুতে। কিন্তু এ প্রাপ্তি বা অর্জন দেশি-বিদেশি অনেকের কাছেই চোখের বালি বা ঈর্ষণীয় বিষয় ছিল। একটি ছোট্ট দেশ তাও অনুন্নত তৃতীয় বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ, এ গরিব মানুষের এত শান্তির দরকার কী? ধনী বিশ্বের আশঙ্কা হচ্ছে, গরিব মানুষদের শান্তি নিশ্চিত করা হলে তার নিজের সুখ-শান্তির ঘাটতি হয়ে থাকে। তাই ধনী বিশ্বের প্রচণ্ড ক্ষোভ আর ঈর্ষা ছিল বঙ্গবন্ধুর প্রতি। ১৯৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড ছিল মানব জাতির ইতিহাসে এক নিষ্ঠুর ও নির্মম হত্যাকাণ্ড। এ এক কলঙ্কিত ইতিহাস, পাপ-পঙ্কিল অধ্যায়। সেই বিকৃত ইতিহাস ও অধ্যায়ের বলি হয়েছেন, আমাদের মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়াশীল নীতির বিপরীতে বঙ্গবন্ধু সরকার কর্তৃক জোট নিরপেক্ষ নীতি অনুসরণ এবং শান্তি ও ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান গ্রহণের নীতির ফলে বাংলাদেশ বিশ্ব সভায় একটি ন্যায়ানুগ দেশের মর্যাদা লাভ করে। সবার প্রতি বন্ধুত্বের ভিত্তিতে বৈদেশিক নীতি ঘোষণা করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, ‘পৃথিবীর বৃহত্তম শক্তি যে অর্থ ব্যয় করে মানুষ মারার অস্ত্র তৈরি করছে, সেই অর্থ গরিব দেশগুলোকে সাহায্য দিলে পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা হতে পারে।’ সেই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর চিলির রাজধানী সান্তিয়াগোতে বিশ্ব শান্তি পরিষদের প্রেসিডেন্সিয়াল কমিটির সভায় বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলন এবং বিশ্ব শান্তির সপক্ষে বঙ্গবন্ধুর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রদানের জন্য শান্তি পরিষদের মহাসচিব রমেশ চন্দ্র প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। পৃথিবীর ১৪০টি দেশের শান্তি পরিষদের ২০০ প্রতিনিধির উপস্থিতিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশ্বের মুক্তিকামী, নিপীড়িত, মেহনতি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা। শান্তি, সাম্য, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি আজীবন সংগ্রাম করেছেন। জেল, জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন সহ্য করেছেন। তার অতুলনীয় সাংগঠনিক ক্ষমতা, রাষ্ট্রনায়কোচিত প্রজ্ঞা, মানবিক মূল্যবোধ, ঐন্দ্রজালিক ব্যক্তিত্ব বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা সংগ্রামের লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ করে। তার নির্দেশে বাঙালি জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে, অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন বাংলাদেশের। এ সম্মান পাওয়ার পর বঙ্গবন্ধু নিজেই বলেছিলেন, ‘এ সম্মান কোনো ব্যক্তি বিশেষের জন্য নয়। এ সম্মান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে আত্মদানকারী শহিদদের, স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর সেনানীদের। বিশ্ব শান্তি পরিষদ কর্তৃক জুলিও কুরি পদকে ভূষিত স্বাধীনতার প্রাণপুরুষ ও বাংলাদেশের মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আজ আমাদের মাঝে নেই, সাম্রাজ্যবাদের নীলনকশা অনুযায়ী এক ঘৃণ্য ঘাতকচক্র ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতের অন্ধকারে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধু আজ উপস্থিত না থাকলেও তার মহান আদর্শ, উদ্দেশ্য এবং তার নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ আছে। বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের মধ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বেঁচে আছেন, চিরকাল বেঁচে থাকবেন। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে তার সুযোগ্য উত্তরসূরির হাত ধরে।

বঙ্গবন্ধু যখন জাতিসংঘে ভাষণ দিলেন বলেছিলেন : ‘বিশ্ব আজ দুই ভাগে বিভক্ত শোষক আর শোষিত। আমি শোষিতের দলে আছি। আমি শোষিতের পক্ষে আছি।’ আমরা মর্মে মর্মে অনুধাবন করি, বিশ্ব শান্তি তথা আঞ্চলিক শান্তিও অপরিহার্যতা। এ পটভূমিতে আপনারা-বিশ্ব শান্তি আন্দোলনের সহকর্মী প্রতিনিধিরা আমাকে ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদকে ভূষিত করেছেন। এ সম্মান কোনো ব্যক্তি বিশেষের জন্য নয়। এ সম্মান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের আত্মদানকারী শহীদের, স্বাধীনতা সংগ্রামের বীর সেনানীদের, ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক সমগ্র বাঙালি জাতির। আমরা চাই, অস্ত্র প্রতিযোগিতায় ব্যয়িত অর্থ দুনিয়ার দুঃখী মানুষের কল্যাণের জন্য নিয়োগ করা হোক। তাহলে পৃথিবী থেকে দারিদ্র্যের অভিশাপ মুছে ফেলার কাজ অনেক সহজসাধ্য হবে। আমরা সব ধরনের অস্ত্র প্রতিযোগিতার পরিবর্তে দুনিয়ার সব শোষিত ও নিপীড়িত মানুষের কল্যাণে বিশ্বাসী বলেই বিশ্বের সব দেশ ও জাতির বন্ধুত্ব কামনা করি। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের এই নীতিতে আমরা আস্থাশীল। তাই সামরিক জোটগুলোর বাইরে থেকে সক্রিয় নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতি আমরা অনুসরণ করে চলেছি। শুধু সরকারের নীতিই নয়, আন্তর্জাতিক শান্তি ও সংহতি সুদৃঢ় করা আমাদের সংবিধানের অন্যতম অনুশাসন। বিশ্ব শান্তি আমাদের জীবনদর্শনের মূলনীতি হোক- এটাই আমাদের লক্ষ্য।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত