কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে শুধু কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করলে প্রতিরোধ হবে না। এর জন্য প্রথমত একটি বিকল্প সামাজিক সুস্থ পরিবেশ তৈরি প্রয়োজন। যে পরিবেশে বিনোদনের উপকরণ হিসেবে খেলাধুলা, বই পড়া, সাংস্কৃতিক চর্চা ও সুস্থ বিনোদনের আয়োজন থাকবে। পাশাপাশি তরুণরা যাতে একটা মুক্ত ভাবনা নিঃসংকোচে উপস্থাপন করতে পারে, সে সৃজনশীল দৃষ্টিভঙ্গি তাদের মধ্যে ভাবিয়ে তোলা। এতে তরুণরা নতুন নতুন ভাবনার সঙ্গে মিলিত হয়ে নীতি-নৈতিকতা, মূল্যবোধের চর্চা করবে। এতে সমাজে উচ্ছৃঙ্খলতা, যৌন হয়রানি, কিশোর অপরাধ কমে আসবে। তারা তখন একটি সুশৃঙ্খল পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রের প্রতি দায়বদ্ধ হবে। কর্তব্য কি হওয়া উচিত? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজবে। সুন্দর মানুষ, বিকেশিত মানুষ হওয়ার যে চর্চা, সে চর্চাকে ব্যক্তিগত জীবনে ক্রিয়া করবে- এই প্রত্যাশা করা যায়। তাই শুধু কঠোর শাস্তি, প্রতিরোধ, ভয় কিংবা মোটিভেশনাল ট্রিটমেন্টে সীমাবদ্ধতায় না থেকে একটি সুস্থ সমাজ, একটি সাংস্কৃতিক জীবনদর্শন, সৃজনশীলতা ও সুস্থ বিনোদন কিশোরদের মাঝে উপস্থাপন করতে হবে। তাহলে সমাজে কিশোর গ্যাং হিসেবে কিশোরদের পরিচয় নয়; সমাজে একজন দায়িত্ববান, সৃজনশীল, চমৎকার প্রতিভাবান মানুষ হিসেবে পাব কিশোরদের।
মো মারুফ হাসান ভূঞা, ফেনী