ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

গবেষণামুখী উচ্চশিক্ষা সময়ের দাবি

আলী আহসান
গবেষণামুখী উচ্চশিক্ষা সময়ের দাবি

নতুন কিছুর উদ্ভাবন কোনো অলৌকিক বিষয় নয়। এটা চর্চার ফল। যে জাতি যত বেশি মেধার চর্চা করে, সে জাতি বিশ্বে ততই অগ্রসর থাকে। মৌলিক গবেষণা ছাড়া একটি জাতি কোনোভাবেই মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে না। এটা না করলে সারাজীবন আমাদের অন্যের গোলামি করেই যেতে হবে।

উন্নত দেশ উন্নত কারণ তারা তাদের পরবর্তী প্রজন্মের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নেয়। আমরা অনুন্নত কারণ আমরা নিজের জন্য বাঁচি। একমাত্র শিক্ষাই পারে জাতির ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে, যেখানে আমাদের দেশে শিক্ষিত ও বিবেকসম্পন্ন জাতি দেশের দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের ছাত্ররা গবেষণামুখী না হয়ে লাইব্রেরিতে বিসিএস ও বিভিন্ন চাকরি পরীক্ষার গাইড বইয়ে সাজানো থাকে। যখন দেশের সেরা ছাত্ররা মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং বা ভার্সিটির ফলাফলে টপ পজিশনে থেকেও গাইড বই পড়ে চাকরির জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে, তখন বুঝতে হবে জাতি এক ভয়ংকর সময় পার করছে।

এতে অবশ্য আমাদের শিক্ষার্থীদের সবটুকু দোষ দেওয়াও অন্যায়। আমাদের নীতিনির্ধারকরাই এই অবস্থার সৃষ্টি করেছে। নিজেদের সামান্য ব্যক্তিস্বার্থের জন্য আমরা জাতির ভয়ংকর ক্ষতি করে চলেছি। এতে আমরা কেউ পিছিয়ে নেই। উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে নিচের ধাপ পর্যন্ত বেশির ভাগেরই এই অবস্থা।

দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনেক ক্ষেত্রে যে সব শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, তাদের উল্লেখযোগ্য কোনো গবেষণা নেই। নেই কোনো মৌলিক গ্রন্থ। এছাড়া বেশিরভাগ শিক্ষকের পিএইচডি ডিগ্রি নেই। যেখানে শিক্ষকদের গবেষণামূলক শিক্ষাই নেই, সেখানে তারাই বা কেমন করে শিক্ষার্থীদের গবেষণামূলক শিক্ষা দেবে? উন্নত দেশগুলোর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এ দেশেও গবেষণা হোক, শিক্ষার্থীরাও গবেষণামূলক শিক্ষা গ্রহণ করুক এবং যোগ্যতাসম্পন্ন হিসেবে গড়ে উঠুক। সর্বোপরি বলতে চাই, যোগ্য শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়া গবেষণামূলক শিক্ষাব্যবস্থা গ্রহণ করার মাধ্যমে মানব সম্পদে পরিণত করা হোক।

শিক্ষার্থী

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

[email protected]

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত