ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ওষুধে গরু মোটাতাজা বন্ধ করতে হবে

সাকিবুল হাছান
ওষুধে গরু মোটাতাজা বন্ধ করতে হবে

সামনে আনন্দের বার্তা নিয়ে আসছে ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। আর এই ঈদেই দেশজুড়ে পশু হাটবাজারে উঠতে শুরু করে। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দু-এক সপ্তাহ আগে থেকেই গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, উটসহ বিভিন্ন ধরনের পশু বেচাকেনাশুরু হয়।

আমাদের দেশে কোরবানির জন্য গরুকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। পছন্দের তালিকায় গরু শীর্ষে। এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। কোরবানির হাটে আসা ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং বেশি দামে পশু বিক্রির জন্য মালিক ও ব্যবসায়ীরা গরুকে খাওয়ান নানা ধরনের ট্যাবলেট এবং মাংসপেশিতে প্রয়োগ করেন নিষিদ্ধ ইনজেকশন, যা গরু ও মানুষ উভয়ের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। আক্রান্ত গরুর মাংস খেলে মানুষও নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

ঈদকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজা করার জন্য খামারিরা কিছু অসাধু চিকিৎসকের পরামর্শে স্টেরয়েড গ্রুপের বিভিন্ন নিষিদ্ধ ওষুধ ব্যবহার করে থাকেন।

এসব ওষুধ খেলে গরুর কিডনি ও যকৃতের কার্যকারিতা নষ্ট হওয়ায় শরীর থেকে পানি বের হতে পারে না। এ কারণে শোষিত হয়ে পানি সরাসরি গরুর মাংসে চলে যায়। এ কারণে গরু একটু মোটা দেখায়। পাকস্থলীতে ক্ষতের সৃষ্টি হওয়ায় রক্ত পায়খানা শুরু হয়। এ গরু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জবাই না করলে মারা যেতে পারে অথবা এর গোশত কমতে পার। এমন গরুর গোশত খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর, যা মানবদেহে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে। এ ধরনের গরুর গোশত খেলে মানুষের কিডনি, লিভারসহ বিভিন্ন অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এমনকি ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।

অসাধু গরু ব্যবসায়ীরা যাতে ওষুধের মাধ্যমে গরু মোটাতাজা করতে না পারে সেদিকে নজর রাখতে হবে।

কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজা গরু আমাদের এড়িয়ে চলা উচিত। প্রতারণা থেকে বাঁচার জন্য সঙ্গে অভিজ্ঞ কাউকে নেয়া যেতে পারে। ওষুধের মাধ্যমে গরু মোটাতাজা বন্ধের জন্য সরকারের সুদৃষ্টি, সেই সঙ্গে আমাদের নিজেদের সবার সচেতনতার মাধ্যমে প্রতিহত করা সম্ভব হবে।

শিক্ষার্থী

ঢাকা কলেজ, ঢাকা

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত