ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কালের কড়চা

কেন্দ্রিক ভূরাজনীতির বহুপাক্ষিক মেরুকরণ ও শেখ হাসিনার অবস্থান

ফনিন্দ্র সরকার, কলাম লেখক ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক, [email protected]
কেন্দ্রিক ভূরাজনীতির বহুপাক্ষিক মেরুকরণ ও শেখ হাসিনার অবস্থান

অবশেষে খেলা জমে উঠেছে। এ খেলায় কে হারবে, কে জিতবে তা বলার সময় এখনও আসেনি। সাধারণ মানুষ এ খেলাকে উপভোগ করছে বেশ। যারা রাজনীতি করেন না বা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্তও নন, তবে রাজনীতি সচেতন এটা স্বীকার করতেই হবে। এসব আম জনতা বুঝে গেছে বাংলাদেশকে নিয়ে বিশ্বের শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো তাদের স্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশে নতুন খেলায় মেতে উঠেছে। এ খেলার রেফারির দায়িত্ব পালনের জন্য এরই মধ্যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গা ঝাড়া দিয়ে প্রস্তুতি গ্রহণ করে ফেলেছেন। এ কথা সবাই জানেন বিগত ২০২০ ও ২০২১ কোভিড-১৯ কালীন বিশ্ব রাজনীতিও গৃহবন্দি হয়ে পড়েছিল। ২টি বছর রাজনীতির জন্যে অন্ধকার যুগ হিসেবেই বিবেচ্য। কোভিডকালীন অর্থনীতির ধকল সামলাতে গিয়ে রাজনীতির গতিপথ থমকে গিয়েছিল। সে অবস্থা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই বিশ্ব রাজনীতি বাকবদল করে বিধ্বংসী হয়ে উঠল। বিভিন্ন দেশে যুদ্ধের নামে মানবহত্যার মহোৎসব শুরু হয়ে গেল। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ হচ্ছে তার বড় উদাহরণ। এ ছাড়াও সোমালিয়া, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, ইথিওপিয়া, লিবিয়া, মালি, দক্ষিণ সুদান এবং সিরিয়ার মতো দেশগুলোতে গৃহযুদ্ধের মুখোমুখি হচ্ছে। এদিকে মাদক যুদ্ধ হলো সংঘর্ষের অন্য একটি রূপ। সামাজিকভাবে বর্তমানে ৩২টি দেশ সংঘর্ষের মধ্যে রয়েছে। এ সংঘর্ষের ধরনের পরিবর্তন ঘটেছে। সংঘর্ষের ফলে মানবিক সংকট ঘনীভূত হয়। এটিা জানা সত্ত্বেও বিশ্বের শক্তিধর অস্ত্র সমৃদ্ধশালী দেশগুলো যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেয়, কখনও গণতন্ত্রের নামে কখনও মানবাধিকারের নামে। দেশে দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে শান্তি প্রতিষ্ঠার দোহাই দিয়ে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রায় দেড় বছর ধরে চলছে। এরই মধ্যে কত নিরীহ মানুষ নিহত হয়েছে। নিষ্পাপ শিশুর প্রাণ হরন করা হয়েছে বা এখনও হচ্ছে। কী নিষ্ঠুর কর্মকাণ্ড! রাশিয়া-ইউক্রেন চলমান যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি বেড়েই চলছে। বাংলাদেশেও এর প্রভাবে পণ্যমূল্য বেড়ে গেছে কয়েক গুণ। এর মধ্যে রাজনীতি বিভিন্নভাবে ডালাপালা মেলতে শুরু করেছে। বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে ভূরাজনীতি সাজাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে রাশিয়া, চীন, আমেরিকা, পাকিস্তান, জাপান, ভারত। ভারত মহাসাগর ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো ইন্দো-প্যাসিফিকের ধারণা সামনে নিয়ে আসছে। অন্যদিকে বঙ্গোপসাগরের সম্পদের দিকে নজর পড়েছে কারো কারো। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়চেতা মনোভাব ও প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে আমরা সাগর জয় করতে সক্ষম হয়েছি। ভারত এবং মিয়ানমারের দখলে থাকা সাগর আমাদের সম্পদে পরিণত হয়েছে। কূটনৈতিক সফলতাকে কাজে লাগাতে কৌশলগত সুবিধার কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে সামনের দিকে। এমনি অবস্থায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের র‌্যাব ও পুলিশ বাহিনীর কয়েক সদস্যকে স্যাংশন দিয়ে দেয়। অর্থাৎ উল্লেখিত সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারবেন না। কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে এরা চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত। আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলো যারা সবসময় জঙ্গী ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলে আসছে- সেই সন্ত্রাস ও জঙ্গি বিনাশে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথার্থ ভূমিকা পালন করে জঙ্গি, সন্ত্রাসকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। তারপরও কেন বিশেষ বাহিনীর প্রতি এমন স্যাংশান? এ প্রশ্নের উত্তর জানা থাকলেও রহস্যে ঘেরা যুক্তরাষ্ট্রের স্যাংশন। স্যাংশনের প্রবাহমান ধারার সঙ্গে সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে ভিসানীতি। উল্লেখ্য, সংবিধান অনুসারে আগামী জানুয়ারি ২০১৪ এর মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা। এ নির্বাচন সামনে রেখে এবং নির্বাচন ইস্যুকে কেন্দ্র করেই যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশিদের ভিসানীতি প্রণয়ন করেছে। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতি রয়েছে। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রপ্তানি করতে গিয়ে নিজের দেশেই এ দুটো জিনিসের ঘাটতি দেখা দেবে। তখন দেখা যাবে যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ মানুষ এ দুটো জিনিসের জন্য আন্দোলন করতে রাস্তায় নেমে গেছে। ভিসানীতি ঘোষণার পর যুক্তরাষ্ট্র ভেবেছিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভয় পেয়ে যাবেন। এ ভয়ে আগামীতে জাতীয় নির্বাচনকালীন একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। তারপর নির্বাচন দিয়ে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের পরিবেশ সৃষ্টি করবেন। যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য সুষ্ঠু ও অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনে বাধাদানকারীদের ভিসা দেবে না বলে ভিসানীতিতে উল্লেখ করেছে। কিন্তু ভিসানীতির আড়ালে তাদের খেলাটা অন্য জায়গায়। বিশেষ বাহিনীর প্রতি স্যাংশনের পর ভিসানীতির ঘোষণা মোটেও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নয়। বর্ষীয়ান নেতা রাশেদ খান মেনন বলেছেন- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি রেজিম চেঞ্জের কৌশলের অংশ। তিনি এও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট সেন্টমার্টিন চায়। বর্তমান সরকারকে হটানোর লক্ষ্যেই যুক্তরাষ্ট্র সবকিছু করছে বলে রাশেদ খান মনে করেন। এটা শুধু জননেতা রাশেদ খান মনে করেন তা নয়- সবারই ধারণা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি ও স্যাংশনের বিষয়ে শেখ হাসিনার অবস্থান পরিষ্কার। তিনি ভীত না হয়ে পরিষ্কার জবাব দিয়েছেন। সাত সমুদ্র পারি দিয়ে আমেরিকা যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন। স্যাংশন দানকারী দেশ থেকে কোনো কিছু কেনাকাটা না করারও নির্দেশনা দিয়েছেন অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে। শেখ হাসিনার এ দৃঢ় অবস্থানকে সমর্থন জানিয়েছে চীন। অনেকটা আগ বাড়িয়েই চীন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক প্রেস ব্রিফিং এ শেখ হাসিনার অবস্থানকে সমর্থন জানিয়েছে। প্রেস ব্রিফিং এ চীনের পরারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়েন বিন সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন। বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক ভূমিকা নিয়ে তীব্র সমালোচনাও করেন। ‘গণতন্ত্র ও মানবাধিকার অজুহাতে দীর্ঘসময় ধরে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ ইস্যুতে নাক গলাচ্ছে এবং আরও অনেক উন্নয়নশীল দেশের আভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করছে।’ আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সঙ্গে চীন কাজ করতে প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেছেন মুখপাত্র। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা এবং অখণ্ডতা রক্ষায় চীন সব সময় সমর্থন দেবার ঘোষণা দিয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে চীনের সমর্থন কী বাংলাদেশ চেয়েছে? চীনের সমর্থন দানের পেছনেও রয়েছে এক নতুন উদ্দেশ্যে। চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের স্নায়ুযুদ্ধ অনেকটাই দৃশ্যমান। রাশিয়াকে চীন সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। ইউক্রেনকে সমর্থন ও সমরাস্ত্র, অর্থ ডলার দিয়ে সাহায্য করছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। অন্যদিকে বাংলাদেশ যাতে ভারতের দিকে ঝুঁকে না যায়, সেই কৌশলের অংশ হিসেবে চীনের অকুণ্ঠ সমর্থন। চীনের এই সমর্থনে কোনো সততা নেই। বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষায় চীনের সহযোগিতার অর্থ হচ্ছে বাংলাদেশে চীনের সামরিক ঘাঁটি। মোদ্দা কথা হচ্ছে, ভারতকে নেপথ্যে হুমকির সামিল। বাংলাদেশকে বাগে নিতে পারলে ভারতকে কোণঠাসা করতে সুবিধে অনেক। চীনও শান্তির বদলে আগ্রাসী নীতিতে বিশ্বাসী। চীনের ভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত তাইওয়ান, মায়ানমার, হংকং। তাইওয়ানকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে চীন স্বীকার না করে নিজেদেরই অংশ হিসেবে মনে করে। তাইওয়ানকে নিয়েও যুক্তরাষ্ট্রের ঠান্ডা লড়াই দীর্ঘদিনের। পশ্চিমাদের স্বার্থের একটি বড় জায়গা হচ্ছে বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগর। এই চীন সাগরের নিয়ন্ত্রণ নিতে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে উসকে দিচ্ছে। চীনও তাইওয়ানকে থ্রেট করছে। সমঝোতার পরিবর্তে ভীতিপ্রদর্শন চীনের মজ্জাগত দোষ। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের চীন সাগরে ভৌগলিক কোনো অংশীদারিত্ব না থাকলেও চীনের কর্তৃত্বকে মেনে নিতে পারছে না। কারণ- বৈশ্বিক বাণিজ্যের অর্ধেকের বেশি পরিচালিত হয়ে থাকে দক্ষিণ চীন সাগর দিয়ে যা, প্রায় পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলারের সমান। এদিকে দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ায় ভূরাজনীতিতে প্রভাব খাটাতে বাংলাদেশ দরকার। ভৌগলিক অবস্থানগত দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই বাংলাদেশের গুরুত্ব অনুধাবন করেই প্রধানমন্ত্রী আমেরিকাকে পাল্টা স্যাংশনের ভাষায় কথা বলেছেন। কারণ বাংলাদেশ এখন আর আগের জায়ঘায় নেই। স্বনির্ভর, স্বয়ং সম্পূর্ণ দেশে পরিণত হয়েছে। তবে কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়, সবার সঙ্গে মিলেমিশে থাকার নীতিতেই বাংলাদেশ বিশ্বাসী। আন্তর্জাতিক ফোরামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুবার এ কথা বলেছেন। তিনি শান্তিময় বিশ্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে যুক্তিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে আসছেন সব সময়।

সম্প্রতি সুইজারল্যান্ড এর জেনেভায় ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট : সোশ্যাল জাস্টিজ ফর অল এ যোগ দিয়ে শান্তিপূর্ণ, ন্যায্য, ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ে তোলার প্রয়াসে সামাজিক ন্যায়বিচারে বিনিয়োগ করার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য রাখেন। একমাত্র সামাজিক ন্যায়বিচারই স্থায়ী শান্তি ও টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি রচনা করতে পারে বলে বক্তব্যে উল্লেখ করেন। জেনেভায় প্যালেস ডি নেশনসে ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট, ২০২৩-এর পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে দেয়া ভাষণে তিনি আরও বলেন, ‘এই শীর্ষ সম্মেলনের মাধ্যমে একটি বৈশ্বিক জোট প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টসহ সব আন্তর্জাতিক উন্নয়ন এজেন্ডার কেন্দ্রে সামাজিক ন্যায়বিচারকে স্থান দেয়ার একটি সুযোগ করে দিয়েছে।’ বাংলাদেশের দৃষ্টিকোণ থেকে তিনি পাঁচটি পরামর্শ দিয়েছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বর্তমান ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সামাজিক ন্যায়বিচারকে এক আন্তর্জাতিক মহল কর্তৃক অন্য মহলের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের বিষয়ে এই জোটকে সতর্ক থাকতে হবে। অন্য একটি প্রস্তাবে এই জোটকে একটি নিয়মতান্ত্রিক বহুপক্ষীয় বাণিজ্য ব্যবস্থার আওতায় সামাজিক ন্যায়বিচারকে একটি সংরক্ষণবাদী হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করে বরং এর ব্যাপক প্রসারে ভূমিকা রাখার ব্যাপারে প্রচারণা চালাতে হবে। জেনেভার ভাষণে তিনি বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও পরিষ্কার করেছেন। বাংলাদেশ নিয়ে পশ্চিমা বিশ্ব, চীন এবং ভারতের যত আগ্রহই থাকুক না কেন, নীতিগত দিক থেকে বাংলাদেশ তার অবস্থান থেকে এক চুলও সরে দাঁড়াবে না। একদিকে চীন, রাশিয়া, অন্যদিকে ভারত, আমেরিকা আবার ভারত রাশিয়া অন্যপাশে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ভূরাজনীতির এসব বহুপক্ষীয় মেরুকরণে সমীকরণ মিলানো কঠিন হয়ে পড়লেও শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে কারো হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হবার সুযোগ দেবেন না। কারণ বাংলাদেশের মানুষের শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রয়েছে। যারা জাতি রাষ্ট্রের জন্মদাতাকে যারা অস্বীকার করে লাফালাফি করছে, তাদের সঙ্গে কখনও রাজনৈতিক মীমাংসা সম্ভব নয়। জাতীয় ঐক্যের নীতি হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত