শিক্ষাদীক্ষা

পশ্চিমবঙ্গের ‘প্রাইভেট স্কুল রেগুলেটরি কমিশন’ কোনো মেসেজ বহন করে কী?

মাছুম বিল্লাহ, শিক্ষা বিশেষজ্ঞ ও গবেষক, [email protected]

প্রকাশ : ২২ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

পশ্চিমবঙ্গের বেসরকারি স্কুলগুলোর বিরুদ্ধে লাগামহীন ফি বৃদ্ধিসহ নানা অভিযোগে বিভিন্ন সময়ে সরব হয়েছেন অভিভাবকরা। এমনকি আদালতেও যেতে হয়েছে। সম্প্রতি আদালত এই অস্বাভাবিক হারে ফি বৃদ্ধির জন্য ভর্ৎসনা করেছে। রাজ্য সরকারের জবাবাদিহিও জানতে চেয়েছে। জানা গেছে, বেসরকারি স্কুলের ব্যবস্থাপনা নিয়েও প্রচুর অভিযোগ রয়েছে। এ সব সমস্যার সমাধানে পশ্চিমবঙ্গ সরকার একজন বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ‘প্রাইভেট স্কুল রেগুলেটরি কমিশন’ গঠন করতে চলেছে। রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এখন থেকে বেসরকারি স্কুলের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে তা এই রেগুলেটরি কমিশনে জানানো যাবে। উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় পরিষেবার অন্যান্য বিভাগেও এই ধরনের কমিশন রয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে স্বাস্থ্য কমিশনে অভিযোগ জানানো যায়। শিক্ষাক্ষেত্রে রেগুলেটরি কমিশনও অনেকটা সেরকম। বেসরকারি স্কুলের বিরুদ্ধে সব অভিযোগ এ রেগুলেটরি কমিশনের জানানো যাবে। এই কমিশনের নাম দেয়া হয়েছে ‘প্রাইভেট স্কুল রেগুলেটরি কমিশন’। এই রেগুলেটরি কমিশনের শীর্ষে রাখা হবে একজন সাবেক বিচারপতিকে। এ ছাড়া, কমিশনে থাকবেন রাজ্য সরকারের কয়েকজন প্রতিনিধি। তারা কোনো স্কুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে তা খতিয়ে দেখবেন। সেক্ষেত্রে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট স্কুলের বিরুদ্ধে সুপারিশ করতে পারবে কমিশন। প্রয়োজনে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে। প্রশাসনিক অধিকারকরা মনে করছেন, এর ফলে যেমন বেসরকারি স্কুলের একরোখা মনোভাব রোখা যাবে, তেমনই অভিভাবকদের অভিযোগেরও অনেকটা নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে।

২০২০ সালে কোভিডের সময় বেসরকারি স্কুলগুলোর বিরুদ্ধে অভিভাবকরা ব্যাপক হারে অভিযোগ করতে শুরু করেন। লকডাউনের জেরে বিভিন্ন অফিস, ব্যবসাসহ সব কিছু বন্ধ থাকায় আর্থিক সমস্যায় পড়েছিলেন সাধারণ মানুষ। সেই সময়ও বেসরকারি স্কুলগুলো তাদের ফি কোনোভাবে কমাতে রাজি হচ্ছিল না বলে অভিভাবকরা অভিযোগ করেছিলেন। এমনকি ওই সময় ফি না দেয়ায় বহু বেসরকারি স্কুল শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসতে অনুমতি দিচ্ছিল না। স্বাভাবিকভাবেই, ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবক। স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং অভিভাবকদের মধ্যে সমস্যা মেটাতে অনেক সময় হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল প্রশাসনকে। তাছাড়া প্রায়ই স্কুলে ভর্তির সময় এককালীন মোটা টাকা নেয়ার অভিযোগও জমা পড়েছিল রাজ্য সরকারের কাছে। করোনা সংক্রমণের সময়কার সেই অভিযোগ বেড়ে বর্তমানে হয়েছে কয়েক গুণ। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর এই অরাজকতা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আসে। বেসরকারি স্কুলগুলোর বিরুদ্ধে মোটা অঙ্কের ডোনেশন, লাগামছাড়া বেতন বৃদ্ধির অভিযোগ রয়েছে বহুদিন থেকেই। তাই বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর একতরফা মনোভাবে লাগাম টানতে তৈরি হচ্ছে রেগুলেটরি কমিশন। এই কমিশনে শিক্ষা সচিব ছাড়াও থাকছেন পুলিশ কর্মকর্তা, স্কুল পরিদর্শক, ডিজি, সিপি, আর্চ বিশপ, জেলা থেকে ডিপিও, ডিস্ট্রিক্ট প্লানিং অফিসাররা। থাকবেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরাও। লাগামছাড়া ফি, পরিকাঠামোর অভাবের মতো অভিযোগে ব্যবস্থা নেবে কমিশন। ভর্তি ফি নাকি কখনও কখনও কয়েক লাখ টাকা। নতুন শ্রেণিতে ভর্তিতে বাড়তি টাকা, কসান ডিপোজিট, ডেভেলপমেন্ট ফি নামে টাকা, স্পোর্টস ও কলাচারাল অ্যাকটিভিটির নামে টাকা, নির্দিষ্ট ব্রান্ডের পোশাক, জুতো, খাতা কিনতে বাধ্য করা। এ বিষয়গুলো কিন্তু আমাদের দেশের কিছু তথাকথিত নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এটি বাংলা ও ইংলিশ মিডিয়াম- দুই ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেই। বেসরকারি শিক্ষাকে আমরা নিরুৎসাহিত করতে চাই না, আবার লাগামহীনভাবে তারা যা ইচ্ছে তা করবে তাও কিন্তু কাম্য নয়।

এক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে যে ‘রেগুলেটরি কমিশন’ গঠিত হতে যাচ্ছে, সেটি একটি বাস্তব পদেক্ষেপ। এখানে আর একটি বিষয় হচ্ছে, বিচারক থেকে শুরু করে বিদ্যালয়ের প্রতিনিধিও থাকছেন উক্ত কমিশনের সদস্য হিসেবে। এটি একটি চমৎকার পদক্ষেপ। আমাদের দেশে বেসরকারি শিক্ষাকে নিয়মানুবর্তিতা ও মানসম্পন্ন করার নিমিত্তে এ ধরনের কমিশন প্রয়োজন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, আমাদের দেশে এ ধরনের কমিশন গঠিত হলে সরকারি কিছু আমলা দ্বারা পরিচালিত হয়, যার অর্থ হচ্ছে বেসরকারি শিক্ষকদের ওপর খবরদারি করার এক সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া। আর কারুর ক্ষেত্রে অবৈধ উপায়ে কিছু অর্থ উপার্জনের ব্যবস্থা করে দেয়া। পশ্চিমবঙ্গের রেগুলেটরি কমিশনে যারা সদস্য থাকবেন, তাদের পদবির উল্লেখ যেভাবে করা হয়েছে, সেটি যুক্তিসংগত মনে হয়েছে।

আমরা জানি যে, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ২০০৯ সালে ‘রাইট টু অ্যাডুকেশন আইন’ কার্যকর করে। ২০১২ সালে সেটি রাজ্যে চালু হলেও বেসরকারি শিক্ষাকে নিয়ন্ত্রণের সুযোগ ছিল না। কমিশনের মাধ্যমে প্রথমবার সেই সুযোগ তৈরি হলো। বেসরকারি শিক্ষাক্ষেত্রে যে, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা ও কোথাও কোথাও অস্বচ্ছতার প্রমাণ পাওয়া গেছে, সেসব ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আসার আশা জোরদার হলো। শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দীর্ঘদিনের বক্তব্য, শহর-শহরতলি বা জেলা সদরে বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলগুলোর দাপটে সরকারি ও সরকার পোষিত অনেক স্কুল ভুগছে।

শিক্ষা দপ্তরের তৈরি তালিকাই বলছে যে, পশ্চিমবঙ্গে ৮ হাজার ২০৭টি এমন সরকার পোষিত স্কুল রয়েছে, যেখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩০-এর কম। এই স্কুলগুলো ছড়িয়ে আছে গোটা রাজ্যে। মূলত প্রি-প্রাইমারি, অর্থাৎ একেবারে শিশু শ্রেণি থেকে আপার প্রাইমারি অর্থাৎ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা হয় এসব স্কুলে। এখানে একটি বিষয় বাংলাদেশের সরকারি প্রাথমিকের সঙ্গে তুলনীয়। সেটি হচ্ছে, রাষ্ট্র পরিচালিত বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী সংখ্যা কোথাও কোথাও ৩০ থেকে ৫০, এমনকি ১০ জনেরও নিচে অথচ ৪ থেকে ৫ জন করে শিক্ষক আছেন এসব বিদ্যালয়ে। এটি রাষ্ট্রীয় অপচয়। এটি বন্ধ করতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় একবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, পাশাপাশি দুই-তিনটি বিদ্যালয়ে একত্র করা হবে, সেটি কিন্তু বাস্তবায়ন এখনও হয়নি। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রেও দেখা যায় এ ধরনের চিত্র বিদ্যমান। মনে হচ্ছে রাষ্ট্র পরিচালিত বিদ্যালয় সেখানেও ঠিক পরিকল্পিতভাবে হয়নি।

মমতা সরকারের আমলে বিভিন্ন সময়ে বিশেষত স্কুল শিক্ষক নিয়োগ ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠলেও সরকারি, সরকার সাহায্যপ্রাপ্ত ও সরকার পোষিত স্কুলে পড়াশোনায় আগের দশকের তুলনায় বিশেষ বদল হয়নি। বাম আমলের পরিসংখ্যানের তুলনায় গত এক দশকে বড়জোর ১.৩ শতাং বেশি শিক্ষার্থী সরকারি স্কুলের বদলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করছে। বাম আমলের একজন স্কুল শিক্ষামন্ত্রী এ ব্যাপারে বলেন, এই রাজ্যে বরাবরই শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে সরকারি স্কুল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। উপযুক্ত পরিকাঠামো, যোগ্য শিক্ষক নিয়মিতভাবে নিয়োগ এবং বিনামূল্যে পাঠদান তার একটা অংশ। ফলে, বেসরকারি স্কুল সামাজিক গুরুত্ব পায়নি। তাই অভিভাবকদের মধ্যে সরকারি স্কুলে ছেলেমেয়েদের পাঠানোর আগ্রহ বেড়েছে। দেশের অন্য রাজ্যগুলোতে এ প্রবণতা কম।

অ্যাসোসিয়েশন অব স্কুলস ফর আইএসসি’র সর্বভারতীয় সভাপতি সুজয় বিশ্বাসের কথায় শিক্ষাব্যবস্থাকে শুধু ধরে রাখা নয়, এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। পশ্চিবঙ্গে ১ কোটি ৬০ লাখ ৭৩ হাজার ২৫৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে বেসরকারি স্কুলে যায় মোট ৮.৭ শতাংশ। যা সংখ্যার নিরিখে ১৫ লাখ ৭ হাজার ৩৫৪। আর সরকারি, সরকার সাহায্যপ্রাপ্ত এবং সরকারি পোষিত স্কুলের শিক্ষার্থী সংখ্যা ১ কোটি ৪৫ লাখ ৬৫ হাজার ৯০০। শতাংশের হিসেবে এটি দাঁড়ায় ৮৫.৭। এখানে দেখা যায় যে, রাজ্যর সরকারি স্কুলগুলোতেই বেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে, মানের দিক থেকে বেসরকারির তুলনায় একটু পিছিয়ে আছে।

তবে দেশজুড়ে সরকারি ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন (ইউ-ডাইস) ২০১৯ সালের তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে করা সেন্টার স্কোয়ার ফাইন্ডেশনের সমীক্ষায় দেখা যায়, দেশে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৫ কোটি ১০ লাখ। সেই শিক্ষার্থীর অর্ধেকের সামান্য বেশি (১৩ কোটি ১০ লাখ) সরকারি বিদ্যালয়ে পড়ে। বাকি ১২ কোটি বেসরকারি বিদ্যালয়ে পড়ে। উচ্চ প্রাথমিকের পর দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা বেশির ভাগ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পড়ে। তবে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অবস্থান, শিক্ষার্থী সংখ্যা, শিক্ষকদের সংখ্যা, তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, শিক্ষা শিক্ষাকর্মীদের বেতন খাতে স্কুলে খরচ, স্কুলে খেলার মাঠ আছে কিনা এবং অন্য আর কী কী সুযোগ-সুবিধা রয়েছে, স্কুলের ফলাফল কেমন হয়, এ সবই বেসরকারি স্কুলের ফি নির্ধারনে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি স্কুলগুলোর চার-পাঁচটি ক্যাটাগরি বা স্তর থাকার কথা আলোচনায় এসেছে। প্রথম দিকে থাকা স্কুলের ফি তুলনামূলক বেশিই হবে। শুধু ক্যাটাগরি নয়, স্কুলের প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের ভিত্তিতে পৃথক ফি-এর স্তুর তৈরি করা হবে। বেসরকারি স্কুলের ব্যবসায়িক মনোভাবে ও দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণে আইন প্রণয়ন ও বেগুলেটরি বোর্ড গঠনের, সিপিসিআর নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি স্কুলে অভিভাবক-শিক্ষক অ্যাসোসিয়েশন গঠন এবং প্রতিটি স্কুলে অভিভাবক ফোরামের মান্যতার দািবতে ‘ইউনাইটেড গার্ডিয়ানস অ্যাসোসিয়েশন’ এর আহ্বানে অভিভাবক কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন জেলার প্রায় ৫০টি স্কুলের দুই শতাধিক অভিভাবক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন কলকাতার মহাবোধি সোসাইটি হলে গত ২৯ মে। এখানে বক্তারা বলেন, বেসরকারি স্কুলগুলোর প্রধান লক্ষ্য মুনাফা অর্জন, তা মেরুদণ্ডসম্পন্ন নীতিনিষ্ঠ দেশপ্রেমিক মানুষ তৈরি করার লক্ষ্যে নয়। প্রতিবছর নানা অজুহাতে লাগামছাড়া ফি বৃদ্ধি করা হচ্ছে, চলছে বই-খাতা নিয়ে ব্যবসা। গত ৮ বছরে বেসরকারি স্কুলগুলোতে পড়ানোর খরচ বেড়েছে প্রায় ২০০ শতাংশ, যা মানুষের আয় বৃদ্ধির থেকে অনেক বেশি। ভারতের সব রাজ্যে না থাকলেও অনেক রাজ্যে বেসরকারি স্কুল নিয়ন্ত্রণের আইন রয়েছে; কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে তা নেই। নেই কোনো রেগুলেটরি বডিও। তাই প্রথমবারের মতো ‘প্রাইভেট স্কুল রেগুলেটরি কমিশন’ গঠিত হতে যাচ্ছে। প্রথমে অভিভাবকরা স্কুলের গ্রিভান্স সেলে অভিযোগ জানাবেন, সেখানে ফল না পাওয়া গেলে কমিশনের দ্বারস্ত হওয়া যাবে। সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখে স্কুলকে নির্দেশ দিতে পারবে কমিশন। কমিশন অভিযোগের গুরুত্ব বুঝে রাজ্যকে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করতে পারবে। ফি কাঠামোয় বৈষম্য, শিক্ষকদের বেতন সংক্রান্ত বিষয় নিয়মিত খতিয়ে দেখবে কমিশন। শিক্ষায় এই রেগুলেটরি কমিশন সব অর্থেই দৃষ্টান্ত হতে চলেছে বলে মনে করছেন, পশ্চিবঙ্গের শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা। আমাদের দেশেও আমরা বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করতে পারি।