আন্তর্জাতিক

চীন-মার্কিন উত্তেজনা কমাতে ব্লিঙ্কেনের বেইজিং সফর কতটা সফল

রায়হান আহমেদ তপাদার, গবেষক ও কলামিস্ট, [email protected]

প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

গত ৫ বছরে এটাই কোনো মার্কিন শীর্ষ কূটনীতিকের প্রথম চীন সফর। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে চীন সফরে যাওয়ার কথা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনের। কিন্তু সেসময় যুক্তরাষ্ট্র চীনের সন্দেহভাজন একটি গুপ্তচর বেলুন ভূপাতিত করার পর সেটি পিছিয়ে দেয়া হয়। পরে চলতি বছরের জুনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন চীন সফর করছেন। আশা করা হচ্ছে যে, এ সফর বিশ্বের এই দুই শক্তিধর দেশের মধ্যে বরফ গলাতে সহায়তা করবে। বিভিন্ন ইস্যু থাকলেও সম্প্রতি মার্কিন-চীন সম্পর্ক খারাপ হয়েছে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য দ্বন্দ্ব, মানবাধিকার এবং তাইওয়ান ইস্যু নিয়ে উত্তেজনার কারণে। যুক্তরাষ্ট্রে বাইডেন সরকার ক্ষমতায় আসার পর ব্লিঙ্কেনই সবচেয়ে সিনিয়র নেতা যিনি চীন সফর করছেন। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, এই সফরের তাৎক্ষণিক লক্ষ্য হলো দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্থিতিশীল করা। এছাড়া এই দুই নেতার আলোচনার সম্ভাব্য বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে ইউক্রেনের যুদ্ধ, উন্নত কম্পিউটার প্রযুক্তি নিয়ে বাণিজ্য বিরোধ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানিল মাদকের মহামারি এবং মানবাধিকার প্রশ্নে চীনের আচরণ। চীনা কর্মকর্তারা ব্লিঙ্কেনের এই সফর নিয়ে বেশ শীতল প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। তারা প্রশ্ন করছেন, সম্পর্ক সংশোধনের প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র আসলেই আন্তরিক কি-না। ব্লিঙ্কেন বলেছেন, আমরা আমাদের মতো করে নিশ্চিত করতে চাই যে, চীনের সঙ্গে আমাদের যে প্রতিযোগিতাটি যেন সংঘাতের দিকে না যায়। এজন্য আপনি যে জায়গাটি থেকে কাজ শুরু করবেন, তা হলো আবার যোগাযোগ চালু করা। পরে তিনি বলেছিলেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে তিনি প্রেসিডেন্ট শি’র সঙ্গে দেখা করবেন বলে আশা করছেন। গত নভেম্বরে বালিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং শি জিন পিংয়ের মধ্যে এক সংক্ষিপ্ত বৈঠকের পর নতুন একটি স্নায়ুযুদ্ধের আশঙ্কা হ্রাস পায়। তবে বেলুনের ঘটনার পর থেকে দুই নেতার মধ্যে যোগাযোগ কমে আসে।

এদিকে ইউক্রেন যুদ্ধসহ চলমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে পরাশক্তিগুলোর বিপরীতমুখী অবস্থান পুরো বিশ্বে অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করেছে। ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া ও আমেরিকা মুখোমুখী অবস্থানে দাঁড়ানোর প্রেক্ষাপটে চীনের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। একদিকে ইউক্রেনে চীনের নিরপেক্ষতা, অন্যদিকে একচীন নীতিকে সামনে রেখে তাইওয়ানে যুক্তরাষ্ট্রের উস্কানিমূলক তৎপরতা নিয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছানোই এই সময়ে চীন-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ও সম্পর্কের মূলভিত্তি হয়ে উঠেছে। দীর্ঘদিন পর মার্কিন সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনের বেইজিং সফরে সেই প্রত্যাশারই প্রতিফলন দেখা গেছে। গত ৬ মাসে আরও অনেক অর্থ ও অস্ত্রের চালান দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্ব ইউক্রেনে রাশিয়ার অগ্রযাত্রা ঠেকানোর সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েও তেমন কোনো সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। এ কারণে ব্লিঙ্কেনের বেইজিং সফরে ইউক্রেন যুদ্ধে চীনের নিরপেক্ষ ভূমিকার উপর গুরুত্ব দিতে দেখা গেছে। একইভাবে চীন ও তাইওয়ানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার প্রশ্নে চীনের আপসহীন নীতির কঠোর বার্তা দিয়েছে। সর্বশেষ খবর অনুসারে, ব্লিঙ্কেনের চীন সফরে দীর্ঘ দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় দুইপক্ষের মতৈক্য বা লক্ষ্য অর্জনের মধ্য দিয়ে একটি উইন উইন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আন্তর্জাতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা অর্জনের পথে চীন-মার্কিন সমঝোতা যেকোনো বিচারেই একটা বড় অর্জন বলে বিবেচিত। ব্লিঙ্কেনের সফরের আগে চীনের পক্ষ থেকে তাইওয়ান প্রশ্নে যে বার্তা দেয়া হয়েছিল তা হচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ‘সংলাপ কিংবা সংঘাত, সহযোগিতা অথবা বৈরিতা’ দু’টির যেকোনো একটি বেছে নিতে হবে। ব্লিঙ্কেনের নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রতিনিধির সঙ্গে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাংয়ের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলের দীর্ঘ ১০ ঘণ্টাব্যাপী আলোচনার অগ্রগতি ও প্রাথমিক মতৈক্যের পর চীনের গ্রেট হলে প্রেসিডেন্ট শি জিন-পিংয়ের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন ব্লিঙ্কেন।

তবে চীন-মার্কিন আলোচনার অগ্রগতি ও সমঝোতার প্রাথমিক অর্জন, নাকি ইন্দোনেশিয়ার বালিতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে শি-বাইডেনের মধ্যে অনুষ্ঠিত সাইড লাইনের বৈঠকই চীন-মার্কিন নীতি কৌশলের গুরুত্বপূর্ণ মতৈক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বলে ব্লিঙ্কেনকে প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং জানিয়েছেন। বিশ্বের দুই প্রধান পরাশক্তি সংঘাত ও সমঝোতার প্রশ্নে সমঝোতাকেই বেছে নিয়েছে। চীন-মার্কিন সমঝোতা বা মতৈক্য আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বৈরিতার কুশীলবরা ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হিসেবে গ্রহণ করতে পারে। আমাদের আভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পক্ষগুলোও এ থেকে শিক্ষা নিতে পারেন। চীন-রাশিয়ার কৌশলগত সম্পর্ক মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিশ্বব্যবস্থার জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে। পশ্চিমারা যদি জেলেনস্কির কিয়েভ বাহিনীকে শত শত কোটি ডলারের বাজেট, এফ-সিক্সটিন যুদ্ধবিমান, আব্রাম ট্যাঙ্কসহ অত্যাধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম সরবরাহ অব্যাহত রেখে যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করার কৌশল গ্রহণ করে, সেখানে রাশিয়ার মিত্র হিসেবে পাশে দাঁড়ানোর চীনা প্রতিশ্রুতিকে সীমিত রাখার কৌশল ব্লিঙ্কেনের সফরের বড় অর্জন বলে বিবেচিত হতে পারে। ইউক্রেন যুদ্ধে চীন রাশিয়াকে প্রাণঘাতী অস্ত্র সরবরাহ না করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে চীন। তাইওয়ান প্রণালীতে উত্তেজনাকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা দীর্ঘদিন ধরেই একটি চীন-মার্কিন যুদ্ধের আশঙ্কার কথা বলছিলেন।

সাম্প্রতিক সময়ে মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকায় চীনের মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকার কারণে এসব অঞ্চলে মার্কিন আধিপত্য হ্রাসের আলামত স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। সেই সঙ্গে ডলারের একাধিপত্য কমিয়ে বিকল্প মুদ্রার উপর জোর দিতে চীন-রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন ব্রিক্স সদস্য দেশগুলোর নানা পদক্ষেপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিপরীতে একটি ভারসাম্যপূর্ণ ব্যবস্থার সম্ভাবনা ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে।

এহেন বাস্তবতায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সবকিছুর উপর ইউক্রেন যুদ্ধের ফলাফলকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বলে ধরে নেয়া যায়। সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে, রাশিয়ার পরাজয় মেনে নেয়ার কোনো সুযোগ কিংবা সম্ভাবনা নেই। ইউক্রেনে রাশিয়াকে প্রাণঘাতী অস্ত্র সরবরাহ না করার প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে যুদ্ধ বন্ধে আলোচনা ও রাজনৈতিক সমঝোতার চাপ দেয়ার সুযোগ শুধু চীনের হাতেই রয়েছে। এই যুদ্ধ অনিশ্চিতকাল পর্যন্ত চলতে পারে না। রাশিয়ার নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার প্রশ্নে ইউক্রেনের অবস্থান খুব গুরুত্বপূর্ণ হলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন এখানে নিজের যৌক্তিক অবস্থান নিশ্চিত করতে পারলে শান্তি ও সমঝোতায় পৌঁছানো অসম্ভব নয়। বিশ্বের শান্তি, স্থিতিশীলতার প্রশ্নে এটা খুবই জরুরি ইস্যু। এতে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর জন্য ইতিবাচক ফল বয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠকের সময় ইয়াং যে বিষয়গুলোর প্রতি জোর দিলেন, তা হচ্ছে- যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই চীন থেকে আসা হুমকি তত্ত্ব ছড়ানো বন্ধ করতে হবে। চীনের বিরুদ্ধে দেওয়া একপক্ষীয় নিষেধাজ্ঞা বাতিল করতে হবে। চীনের প্রযুক্তিগত বিকাশ রুদ্ধ করার কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে এবং চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। সরকারি মালিকানাধীন ডিফেন্স টাইমস-এ প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে ইয়াংয়ের এই গুরুত্বপূর্ণ দাবিগুলো নাকচ করে দিয়েছেন ব্লিঙ্কেন। চীনের বিশ্লেষক ও ভাষ্যকাররা বলছেন, প্রযুক্তি নিষেধাজ্ঞা ও তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের অবস্থান খুব তাড়াতাড়ি শিথিল করবে, সেটা ভাবা ঠিক হবে না। এ ক্ষেত্রে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কোন্নয়নের একমাত্র পথ হচ্ছে বেসরকারি পর্যায়ে বিনিময় ও সংযোগ বাড়ানো। চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংএর সঙ্গে বেজিং-এ এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে রাশিয়াকে কোনো প্রাণঘাতী সহায়তা দেবে না চীন।

ব্লিঙ্কেন এ কথা বলে যোগ করেন যে, চীনের এ অঙ্গীকারের কথা সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বারবার জানানো হয়েছে, শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, অন্যান্য দেশকেও। তবে, চীনের কিছু প্রাইভেট কোম্পানির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন, যারা হয়তো কিছু সহায়তা দিচ্ছে, যার উদ্দেশ্য স্পষ্টতই ইউক্রেনে রুশ সামরিক সক্ষমতা বাড়ানো। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট শি এবং চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই-উভয়ের সঙ্গেই তার কথোপকথন ছিল জোরালো এবং তাতে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসী যুদ্ধ থেকে শুরু করে আমেরিকার ফেন্টানিল সংকট পর্যন্ত সবই অন্তর্ভুক্ত ছিল। ব্লিঙ্কেন আরও বলেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্ববহ এবং একে স্থিতিশীল রাখা দু’দেশেরই দায়িত্ব। ব্লিঙ্কেন যে চীন সরকারের মন পাওয়ার জন্যই বেশ কঠিন ভাষায় তাইওয়ানের স্বাধীন অস্তিত্বকে এক ধরনের অস্বীকার করলেন- সেটাও না বোঝার কিছু নেই। তবে প্রশ্ন হলো, চীনের মন পাওয়া যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এতটা জরুরি হয়ে পড়ল কেন? গত শতকের শেষ দশকের সূচনায় তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন সমাজতান্ত্রিক শিবিরের বিপর্যয়ের পর যুক্তরাষ্ট্র একক পরাশক্তি হিসেবে প্রায় সবার ওপরেই ছড়ি ঘোরাচ্ছিল। শুধু তাই নয়; গত এপ্রিলে তো তাইওয়ান নিয়েই যুক্তরাষ্ট্র চীনকে উপর্যুপরি হুমকি দিচ্ছিল। বাইডেন প্রশাসনের এত সাধ্য-সাধনার ফল ব্লিঙ্কেনের চীন সফর যাতে নিস্ফল প্রমাণিত না হয়, তার জন্যও ব্লিঙ্কেনকে খোদ চীনা প্রেসিডেন্ট দরবারে জানাতে হয়েছে- যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের স্বাধীনতার পক্ষে নয়। মনে রাখা দরকার, শির সঙ্গে বৈঠকের আগে ব্লিঙ্কেন চীনের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্তমানে সেই মন্ত্রণালয়ের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা ওয়াং ইর সঙ্গে যে বৈঠক করেন। তা ব্লিঙ্কেনের জন্য মোটেও সুখকর ছিল না। দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ওয়াং স্পষ্ট করে ব্লিঙ্কেনকে বলেছেন, দুই দেশের সম্পর্ক ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে অবস্থায় আসার জন্য দায়ী যুক্তরাষ্ট্র।

সুতরাং যুক্তরাষ্ট্রকেই ঠিক করতে হবে- সে চীনের সঙ্গে ‘সংলাপ, না সংঘাত চায়; সহযোগিতা, না দ্বন্দ্ব চায়’। তবে তাইওয়ানের স্বাধীনতা প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের এমন পশ্চাদ বার্তায় আবারও প্রমাণিত হলো- যুক্তরাষ্ট্র কারো জন্যই শতভাগ দিতে রাজি নয়; পরিস্থিতি অনুসারে তাইওয়ানের মতো অতিবিশ্বস্ত বন্ধুর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে তার এক মুহূর্ত লাগে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে একটা জিনিসই সত্য, আর তা হচ্ছে, তাদের স্বার্থ। যাইহোক, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনের চীন সফর কতটা সফল হয়েছে কিংবা দুই পরাশক্তির ভবিষ্যৎ কোন দিকে যাবে। তা সময়ই বলে দেবে। এখন শুধুই অপেক্ষার পালা।