শিক্ষাদীক্ষা

প্রাইভেট টিউশন ও সিপিডির প্রতিবেদন

মাছুম বিল্লাহ, শিক্ষা বিশেষজ্ঞ ও গবেষক, [email protected]

প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক-তৃতীয়াংশের বেশি শিক্ষার্থী প্রাইভেট টিউটরের কাছে পড়ে। প্রাইভেট টিউটরের কাছে না পড়লে শিক্ষার্থীরা অপ্রত্যাশিত সমস্যায় পড়ে। এমনিক প্রাইভেট টিউটরের কাছে না পড়লে শিক্ষার্থী ফেল করবে এমনটিও মনে করেন অনেক অভিভাবক। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ ও এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম দেশের উত্তরাঞ্চলের তিনটি জেলা- গাইবান্ধ, ঠাকুরগাঁও ও নীলফামারীর ৩০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সমাজের মোট ৪০৮ জনের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছে। দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পর্যাপ্ত শিক্ষক ও শ্রেণিকক্ষ নেই বলে জানিয়েছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। ২৫ জুন রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে সিপিডির আয়োজনে ‘প্রাথমিক শিক্ষায় সরকারি বিনিয়োগ : স্থানীয় অভিজ্ঞতা ও করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভার গবেষণা জরিপে এসব তথ্য জানানো হয়। জরিপে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকের গড় সংখ্যা ৬ জন এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত ১:২৯। এ ছাড়াও জরিপে ৩০টি বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৪টি বিদ্যালয়ে ৫টির কম শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। বাকিগুলোর মধ্যে আটটি বিদ্যালয়ে পাঁচটির বেশি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে এবং বাকি আটটি বিদ্যালয়ে পাঁচটি করে শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। বিগত পাঁচ বছরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বাজেট ও জিডিপির তুলনায় বরাদ্দ কমানো হয়েছে বলে উঠে এসেছে জরিপে। এতে বলা হয়েছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এই মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ ছিল মোট বাজেটের ৬ দশমিক ৫১ শতাংশ। ২০২৩-২৪ বছরের বাজেটে তা কমিয়ে আনা হয়েছে ৪ দশমিক ৫৬ শতাংশে। এছাড়া মোট সরকারি ব্যয়ের একটি অংশ হিসেবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ব্যয় ২০২৬-১৭ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ হয়েছে। এই ৫ বছরে জিডিপির তুলনায়ও বরাদ্দ কমেছে। এই মন্ত্রণালয়ে জিডিপির তুলনায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ০ দশমিক ৯৫ শতাংশ, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কমে দাঁড়িয়েছে ০ দশমিক ৬৯ শতাংশ। জিডিপির অংশ হিসেবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ব্যয় ২০১৬-১৭ অর্থবছরের ছিল ০ দশমিক ৭৪ শতাংশ। আর ২০২১-২২ অর্থবছরে কমে দাঁড়িয়েছে ০ দশমিক ৫৯ শতাংশ। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, প্রতিটি বিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা বিবেচনায় নিয়ে ক্রমান্বয়ে যথাযথ সুযোগ-সুবিধাসহ প্রয়োজনীয় সংখ্যক শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ করা দরকার। এছাড়া প্রতিটি বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংখ্যা বাড়ানো এবং প্রতিটি শিক্ষককে বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান করা দরকার বলেও জোর দাবি করেন। দেশের পায় ৬৬ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২০ হাজার কিন্ডারগার্টেন ও ২৪ হাজারের বেশি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রায় একই চিত্র। উচ্চ মাধ্যমিক কলেজগুলোরও প্রায় একই অবস্থা। পাঠক্রমে পরিবর্তন এসেছে, বইয়ে পরিবর্তন এসেছে; কিন্তু প্রতিষ্ঠানে পড়ানোর ধরন আর কোচিং বাণিজ্যে খুব একটি পরিবর্তন আসেনি। এমনকি বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নানা কৌশলে শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করেন। অনেক স্কুলে স্কুলের টিচারের কাছে না পড়লে ফেল করিয়ে দেন। আর পড়লে পরীক্ষার প্রশ্ন পাওয়া থেকে শুরু করে বেশি নম্বর পাওয়ার সুবিধা রয়েছে। ঢাকাসহ বড় বড় শহরের কিছু প্রাইভেট স্কুল রয়েছে যেগুলোতে শিক্ষকদের বেতন দেওয়া হয় খুবই সামান্য, এমনকি ৫০০ টাকা। এসব বিদ্যালয়ে কিছু শিক্ষক শিক্ষকতা করেন শুধু শিক্ষার্থী ধরার জন্য, স্কুল একটি হাতিয়ার, এখানে স্কুল একটি সাইনবোর্ড। এটি সমাজের একটি বাস্তবতা। এ নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন, শুধু শিক্ষকদের দায়ী করলে চলবে না। মাধ্যমিক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ের শিক্ষকরা কোচিং করে কেউ কেউ মোটা অঙ্কের অর্থ উপাজর্ন করেন। আমাদের সমাজে ডাক্তাররা যদি প্রাইভেট প্রাকটিস করতে পারেন, শিক্ষকরা কেন পারবেন না? তবে ব্যতিক্রমধর্মী কিছু বিদ্যালয় আছে, যেখানে এ ধরনের প্রাইভেট নেই। ফার্মগেটের মনিপুরীপাড়ায় বাংলাদেশ অলটারনেটিভ কোর্স ফর হিউম্যান অ্যাডভান্সমেন্ট বা বাচা নামক ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে কোচিং একেবাইে নেই। কোনো শিক্ষার্থী প্রাইভেট পড়ছে- এ খবর পেলে কর্তৃপক্ষ তাদের স্কুল থেকে বের করে দেয়। চলতি বছরের শুরুতে ‘ও’ লেভেলের আট শিক্ষার্থীকে কোচিংয়ে যাওয়ার কারণে স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এখানে প্রতিটি সেকশনে ২৫ জন করে শিক্ষার্থী আছে। কেউ কোনো বিষয়ে দুর্বল থাকলে তাকে বাসায় গিয়ে টাকার বিনিময়ে না পড়িয়ে শিক্ষকরা ক্লাসে অথবা আলাদাভাবে ক্লাসের বাইরে তাকে পড়া বুঝিয়ে দেন। শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের শতবার প্রশ্ন করলেও শিক্ষকরা রেগে যান না, বরং বুঝিয়ে দেন। অধ্যক্ষ নিজেও দুর্বল শিক্ষার্থী নিয়ে বসেন। এটি হচ্ছে একটি আদর্শ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নমুনা। দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যালয়গুলো এখান থেকে অনেক কিছু শিখতে পারে, তাদের অনুসরণ করতে পারে। অধ্যাপক শিক্ষাবিদ ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমার তো মনে হয়, কোচিংগুলোই এখন আমাদের মূল ব্যবস্থা; স্কুলগুলো বোধহয় এখন সহায়ক ভূমিকা পালন করছে- এ রকম একটা অবস্থায় আমরা চলে যাচ্ছি। এটা অত্যন্ত বেদনার বিষয়, যেখানে স্কুলগুলোতেই সব শিক্ষা দেওয়ার কথা, সেখানে স্কুলগুলোতে যেন একটি প্রস্তুতি হচ্ছে। আর শেষটাসহ বাকি সব কিছু হচ্ছে কোচিং সেন্টারে।’ শিক্ষাবিদ ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ বলেন, ‘স্কুলের চেয়ে কোচিং বা প্রাইভেট টিউশনির ভূমিকাই বড় রূপ ধারণ করছে। এর পেছনে মূলত দুটি কারণ রয়েছে। একটি হচ্ছে, আমাদের স্কুলগুলোতে শিক্ষকরা ঠিকমতো পড়াচ্ছেন না এবং প্রাইভেট পড়ার জন্য শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ প্রয়োগ করেন। আর দ্বিতীয় কারণ হলো- অভিভাবকরাও মনে করছেন প্রাইভেট না পড়ালে সন্তান ভালো ফল করবে না।’বিষয়টির গভীরে গেলে আমরা দেখতে পাই, দেশের গড়পড়তা প্রায় সব স্কুলেই একটি কক্ষে কমপক্ষে ৫০ থেকে ৭০ জন পর্যন্ত শিক্ষার্থী একসঙ্গে ক্লাস করে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শিক্ষকদের কাজ শুধু পড়া দেওয়া এবং দু-চারজনকে তা ধরা। একটি বিষয়ে বিস্তারিতভাবে বুঝিয়ে বলা, দুর্বলদের বাড়তি যত্ন নেওয়া, কঠিন বিষয়ে বেশি সময় দেওয়ার সময় বা রীতি কোনোটিই স্কুলে নেই। যে কোনো বিষয়ই হোক ক্লাসের সময় ৪৫ মিনিট। ওই সময়ের মধ্যে খুব সামান্য অংশ শিক্ষার্থীদের বোঝাতে ব্যয় করেন শিক্ষক। বোর্ডে দু-একটি অঙ্ক করে দেখানো, রিডিং পড়া ও বাড়ির কাজ দেখায় সময় চলে যায়। তার মধ্যে থাকে ডিসিপ্লিনারি বিষয়, একটি শিক্ষার্থী হয়তো শিস বাজাল, একজন শিক্ষার্থী চিৎকার করল, দু-একজন শিক্ষার্থী সময়মতো শ্রেণিকক্ষে ঢুকল না- এসব বিষয় ম্যানেজ করতে অনেক সময় নষ্ট হয়। ঘণ্টা পড়লে শিক্ষক ক্লাস ছাড়েন, কারণ তার তো অন্য ক্লাস আছে। তাই পরীক্ষার আগে বাড়তি যত্নের নামে স্কুলেই কোচিংয়ের ফাঁদ দেখা যায়। আর বিদ্যালয় তো কোনো বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয়, সামাজের হাজার অনাচারের মধ্যে এখানে আচার কোথা থেকে আসবে- সেটিও চিন্তার বিষয়। বিদেশে অজস্র অর্থ পাচার করা, ব্যাংক খালি করা- এগুলো প্রতিদিন সংবাদপত্রসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় সয়লাব হচ্ছে, যেগুলো শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভবাকসহ সবাই দেখছেন। কাজেই এর মধ্যে আমরা কীভাবে আশা করতে পারি যে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পুরো বিপরীত চিত্র বিরাজ করবে? কে করবেন? কারা করবেন? কীভাবে করবেন? অবৈধ উপায়ে যে সব বাবা-মা অর্থ উপার্জন করেন, তাদের সন্তানদের কাছ থেকে কিংবা তাদের থেকে বিদ্যালয় কি ধরনের আচরণ আশা করতে পারে? প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনের খসড়ার বলা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত সময়ের বাইরে শিক্ষকদের কোচিং প্রাইভেটের সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক তার নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়াতে পারবেন না। কোচিং প্রাইভেট একেবারে বন্ধ করা যাবে না। কিছু শিক্ষার্থী থাকে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের চেয়ে তুলনামূলক দুর্বল। আবার সব শিক্ষার্থীর মা-বাবার পক্ষে পড়াশোনার বিষয়ে সন্তানকে প্রয়োজনীয় সময় দেওয়া সম্ভব হয় না। এ ক্ষেত্রে তারা কোচিং-প্রাইভেট পড়তেই পারে। কিন্তু সমস্যা হলো, অনেক শিক্ষক ক্লাসে ঠিকমতো না পড়িয়ে তাদের কাছে শিক্ষার্থীদের কোচিং-প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করেন, যা অনৈতিক। এটি কীভাবে বন্ধ করা যায়, সেটি নিয়ে চিন্তা করা যায়। ২০১১ সাল থেকে শিক্ষা আইনের খসড়া নিয়ে আলোচনা চলছে। অভিযোগ আছে, নোট-গাইড বা সহায়ক বই এবং কোচিং প্রাইভেটের মতো কিছু বিষয় রাখা না রাখা নিয়েই আইনের খসড়াটি এত দীর্ঘ বছর ধরে ঘুরপাক খাচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের করা খসড়া অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট টিউশনের মাধ্যমে পাঠদানের জন্য কোচিং সেন্টার পরিচালনা করা বা কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করা নিষিদ্ধ বলে গণ্য হবে না। তবে কোচিং সেন্টারে কোনো শিক্ষক তার নিজ প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীকে পাঠদান করতে পারবেন না। এমনকি কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষক নিজ প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়াতে পারবেন না। কোচিং চালাতে নিবন্ধন নিতে হবে। তবে সরকার নির্ধারিত অর্থের বিনিময়ে ও অভিভাবকদের সম্মতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কার্যক্রমের বাইরের সময় অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করা যাবে। অবশ্য এ বিষয়ে এরই মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী আদেশ রয়েছে। কিন্তু সেটি যথাযথভাবে মানা হয় না। ১৯৮০ সালে করা একটি আইনেও অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত নোট-গাইড নিষিদ্ধই আছে। এ জন্য এখন নোট গাইডের পরিবর্তে অনুশীলন বা সহায়ক পাঠ্যবই চলছে। প্রস্তাবিত আইনেও সরকারি অনুমোদন নিয়ে সহায়ক বই বাঁধাই, প্রকাশ বা বাজারজাত করার সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা কোনো শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সহায়ক বই কেনা বা পাঠে বাধ্য করতে পারবেন না। কোচিং নিয়ে আমাদের অনেক আলোচনা ও সমালোচনা আছে; কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে, একজন শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে যখন পাঠদান করবেন তার একার চেষ্টায় কিন্তু পুরো একটি শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি করা সম্ভব হয় না। যেমন ক্লাস শুরুর কয়েক মিনিটি আগে সবাইকে ক্লাসে উপস্থিত থাকতে হবে। এটি শুধু শিক্ষকের বিষয় নয়। এখানে বিদ্যালয়, প্রশাসন, অভিভাবক, কমিউনিটি এবং সরকারের বিশাল দায়িত্ব রয়েছে। তারা সবাই দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করলে শিক্ষক অনেকটাই স্বস্তির সঙ্গে পড়াশুনা করাতে পারেন, তাতে একটি ক্লাস ফলপ্রসূ হয়। ক্লাসগুলো ফলপ্রসূ হলে প্রাইভেট টিউশন এমনিতেই কমে যাবে। এসব বিষয় নিয়ে খুব একটা বেশি আলোচনা হতে দেখা যায় না। আর একটি বিষয় হচ্ছে, শিক্ষকদের তো অর্থের প্রয়োজন আছে, সেটি যদি তারা সৎ উপায়ে উপার্জন করতে পারেন, সেটি নিয়ে বেশি সমালোচনা না করে শিক্ষকদের আর্র্থিক দিকটিও দেখতে হবে। আবার শিক্ষার্থীরা যাতে উপযুক্ত শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে, বাস্তবতার নিরিখে সেটিও দেখতে হবে।