ব্যাংকব্যবস্থা

সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠুক ডিজিটাল ব্যাংক

রেজাউল করিম খোকন, সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা ও কলাম লেখক

প্রকাশ : ০৭ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

সারা বিশ্বে নতুন প্রজন্মের ব্যাংকগুলো যখন প্রথাগত ফিজিক্যাল ব্যাংক থেকে মুখ ফিরিয়ে ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের দিকে ঝুঁকছে, ঠিক সেই সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশে ডিজিটাল ব্যাংক চালু করতে যাচ্ছে। সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় নতুন অর্থবছরেই ডিজিটাল ব্যাংকিং চালুর ঘোষণা দিয়েছেন। ডিজিটাল ব্যাংকের রূপরেখা প্রণয়ণের কাজ শেষ হয়েছে। নতুন অর্থবছরে বাংলাদেশে ডিজিটাল ব্যাংক চালু হবে আশা করা যায়। বর্তমানে দেশে প্রচলিত ধারার ব্যাংক রয়েছে মোট ৬১টি। শাখার পাশাপাশি এসব অনেক ব্যাংকের রয়েছে অনলাইন সেবা। প্রচলিত পদ্ধতিতে সরাসরি কাউন্টারে না গিয়ে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের সহায়তায় ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করাকেই ডিজিটাল ব্যাংকিং নামে আখ্যায়িত করা হয়। বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা দিয়ে থাকে। বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংকে প্রচলিত ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইন্টারনেট/অনলাইন ব্যাংকিং, এটিএম (অটোমেটেড টেলার মেশিন) সেবা, ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড সেবা, মোবাইল ব্যাংকিং, এসএমএস (শর্ট মেসেজ সার্ভিস) সেবা ইত্যাদি। ডিজিটাল ব্যাংক শুধু মোবাইল, কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করেই করা যাবে। প্রচলিত ব্যাংকগুলোতে এখনও টাকা লেনদেন, হিসাব দেখার মতো কিছু সেবা ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে করা যায়। কিন্তু নতুন যে ডিজিটাল ব্যাংক চালুর কথা বলা হচ্ছে, সেখানে সব কাজ হবে প্রযুক্তিনির্ভর। কিন্তু ব্যাংকটি আমানত গ্রহণ, ঋণ দেয়া থেকে অন্যান্য সকল কাজই করবে। দেশের এমএফএস প্রদানকারী ‘নগদ’ এখন ডিজিটাল ব্যাংক চালুর পরিকল্পনা করছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও পাকিস্তান ২০২২ সালে ডিজিটাল ব্যাংক চালু করেছে। ২০৪১ সালের মধ্যে ৭৫ শতাংশ ব্যাংকিং লেনদেন ক্যাশলেস করার সরকারের যে লক্ষ্য, তা বাস্তবায়নের জন্য ডিজিটাল ব্যাংকিংই একমাত্র উপায়। কারণ, ডিজিটাল পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এমএফএসের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এই সংক্রান্ত একটি নীতিমালা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন ডিজিটাল ব্যাংক গঠনে আগ্রহীরা প্রস্তাব জমা দিতে পারবেন। গতানুগতিক পদ্ধতিতে কাগুজে নথি জমা দিয়ে নয়, ডিজিটাল পদ্ধতিতেই ডিজিটাল ব্যাংকের জন্য আবেদন করতে হবে। অর্থাৎ প্রয়োজনীয় সব নথিপত্র ডিজিটাল উপায়েই জমা দিতে হবে। আবেদন ফি হবে ৫ লাখ টাকা, যা অফেরতযোগ্য। আর এই ব্যাংক খুলতে ন্যূনতম মূলধন লাগবে ১২৫ কোটি টাকা। নতুন এই উদ্যোগ সফলভাবে বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যাংক চাইছে, বিদেশি কোনো ডিজিটাল ব্যাংক তথা সফট ব্যাংকের মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে আসুক। কারণ, তাদের উচ্চ প্রযুক্তি, নিরাপত্তাব্যবস্থা, অভিজ্ঞতা ও বিনিয়োগ সবই রয়েছে। তারা এ দেশে ডিজিটাল ব্যাংকের সঙ্গে থাকলে গ্রাহকেরাও আস্থা পাবেন, তাঁদের আমানতও সুরক্ষিত থাকবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনের নীতিমালা চূড়ান্ত করে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

এতে নীতিমালার পাশাপাশি আবেদনের যাবতীয় ছক দেওয়া হয়েছে। এই ব্যাংকের কোনো শাখা, উপশাখা, এটিএম বুথ বা কোনো স্থাপনা থাকবে না। মুঠোফোন বা ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহার করেই ব্যাংকিং সেবা দেওয়া হবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন ও নীতিমালা অনুযায়ী চলবে এই ব্যাংক। মোবাইল বা অ্যাপ ব্যবহার করে গ্রাহকরা এই ব্যাংকে লেনদেন করতে পারবেন। তাদের সশরীরে ব্যাংকের কোন শাখায় যেতে হবে না। ব্যাংকের নিজস্ব কোনো শাখা বা উপশাখা, এটিএম, সিডিএম ইত্যাদি থাকবে না। তবে প্রধান একটি কার্যালয় থাকতে পারে। তাদের এটিএম কার্ড বা এজেন্ট ব্যাংকিংও থাকবে না। তবে ভার্চুয়াল কার্ড, কিউআর কোড বা অন্য প্রযুক্তিনির্ভর সেবা থাকবে। জাতীয় পরিচয়পত্রসহ নিজস্ব তথ্যাদি আপলোড করে একজন হিসাব খুলতে পারবেন। একইভাবে ঋণ নেয়ার জন্যও প্রয়োজনীয় নথিপত্র আপলোড করে ঋণের আবেদন করতে পারবেন। যারা বেতন-ভাতা বা ব্যবসার টাকা গ্রহণ করবেন, তারা অনলাইনে নিজের হিসাব নিতে পারবেন। ডিজিটাল ব্যাংক অনলাইন এন্ড-টু-এন্ড প্রযুক্তিভিত্তিক ডিজিটাল ইকোসিস্টেমের মাধ্যমে দক্ষ, সাশ্রয়ী ও উদ্ভাবনী ডিজিটাল আর্থিক পণ্য ও পরিষেবা সরবরাহ করবে। এটি গ্রাহকের চাহিদা মেটাতে এবং সেবাবঞ্চিত, কম সেবা পাওয়া ও প্রত্যন্ত এলাকার (পার্বত্য জেলা, দ্বীপ ইত্যাদি) মার্কেট সেগমেন্টকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় আনতে এআই, মেশিন লার্নিং, ব্লকচেইন ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অন্যান্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করবে। লেনদেনের জন্য কোনো ফিজিক্যাল উপকরণ দেওয়ার অনুমতি নেই এ ব্যাংকের। ডিজিটাল ব্যাংকগুলো প্রবাসী কর্মীদের রেমিট্যান্স সংগ্রহ করা ছাড়া বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেন বা বাণিজ্য অর্থায়নে যুক্ত হতে পারবে না। অন্য ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবহার করেও টাকা জমা করা যাবে।

ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা চালু হলে গ্রাহক যেকোনো স্থানে বসেই লেনদেন করতে পারবে। আবার অন্যদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠিয়ে দেয়ার পাশাপাশি অন্য ব্যাংকের এটিএম বুথ বা এজেন্টদের সেবা ব্যবহার করে নগদ অর্থ উত্তোলন করা যাবে। ডিজিটাল ব্যাংক ছোট আকারের ঋণ দিতে পারবে, বড় বা মাঝারি শিল্পে কোনো ঋণ দিতে পারবে না। বৈদেশিক বাণিজ্যের লেনদেনের জন্য ঋণপত্রও খুলতে পারবে না এসব ব্যাংক। প্রযুক্তিনির্ভর সেবা হওয়ায় এসব ব্যাংকের কোনো কোনো সেবা দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই পাওয়া যাবে। প্রচলিত ব্যাংক সময়নির্ভর, অনেক সেবার জন্য সশরীরে যেতে হয়। ঋণ নেয়া, আমানত খোলা, স্টেটমেন্ট নেয়ার জন্য অনেক সময় ব্যাংকে যেতে হয়। সেখানে গিয়ে কাগজপত্রে স্বাক্ষর করতে হয়। কিন্তু ডিজিটাল ব্যাংকে সেসব করতে হবে না। কিন্তু সব ধরনের সেবাই পাওয়া যাবে। লেনদেনের সকল বিষয় হবে ভার্চুয়ালি।

অন্যান্য দেশে যেভাবে ডিজিটাল ব্যাংকিং চালু হয়েছে, বাংলাদেশেও সেটা চালু হলে ব্যাংকে যেতে না হওয়ায় গ্রাহকদের সময় সাশ্রয় হবে। অনেক সময় সেবা নিতে গ্রাহকদের ব্যাংকে গিয়ে সিরিয়ালে বসে থাকতে হয়। কিন্তু এখানে সেটা করতে হবে না। তাদের ব্যাংকে যাতায়াতের সময়ও বাঁচবে। ব্যাংকের শাখা খুলতে না হওয়ায় সেখানে ভাড়া-কর্মীদের পেছনে ব্যয় অনেক কমে যাবে। ফলে ব্যাংকগুলো সাশ্রয়ে কম খরচে গ্রাহকদের সেবা দিতে পারবে। বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে গ্রাহক অ্যাকাউন্ট খুলতে এবং ব্যাংকিং সেবা নিতে পারবেন। ২৪ ঘণ্টার যেকোনো সময় এই ব্যাংকের সেবা নেয়া যাবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গাইডলাইনে বলা হয়েছে, প্রচলিত সব ব্যাংকের মতো এসব ডিজিটাল ব্যাংকেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সব বিধিবিধান, নির্দেশনা মেনে চলতে হবে এবং নজরদারির মধ্যে থাকবে। তাদেরও আমানতের একটা অংশ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখতে হবে। শাখা না থাকলেও এসব ব্যাংকের একটি প্রধান শাখা থাকবে। গ্রাহকের অভিযোগ বা অসন্তুষ্টির ব্যাপারে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। গ্রাহক চাইলে প্রধান কার্যালয় বা বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযোগ দিতে পারবেন।

এটি একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ। কিন্তু কথা হলো, এটা কি সবার জন্যই দেয়া হচ্ছে, নাকি কারও কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হচ্ছে? সেটা যদি হয়, তাহলে সেটা একটা বড় সমস্যা তৈরি হতে পারে। কিন্তু এখানে যদি স্বচ্ছতা বজায় রাখা হয়, প্রতিযোগিতামূলক হয় এবং যোগ্যদেরই অনুমতি দেয়া হয়, তাহলে নিঃসন্দেহে এটা একটা ভালো পদক্ষেপ হবে। বাংলাদেশে এখনও প্রান্তিক অনেক মানুষ প্রচলিত ধারার ব্যাংকিং সেবার আওতাতেও আসেনি। তাদের এই প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিং সেবার ভেতর কতটা নিয়ে আসা যাবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। প্রযুক্তি ব্যবহারে অনেকের দক্ষতার অভাব এবং প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক মোবাইল ফোন না থাকায় তাদের এ ধরনের ব্যাংকিংয়ের সেবা নেয়া কঠিন হয়ে পড়বে। ক্ষুদ্র বিক্রেতাদের ‘ক্যাশলেস লেনদেনে’ উৎসাহিত করার চেষ্টা করা হলেও এখনো অনেকে নগদ লেনদেনে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। বিশেষ করে প্রান্তিক মানুষ, নগর জীবনের বাইরের মানুষকে এই সেবার আওতায় আনা যাবে কি-না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তবে বাংলাদেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবার সঙ্গে যেভাবে মানুষ অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে, তাতে ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবার সঙ্গেও কয়েক বছরের মধ্যেই মানুষ খাপ খাইয়ে নেবে। নতুন প্রজন্ম প্রচলিত ব্যাংকিংয়ের তুলনায় এ ধরনের ব্যাংকিংয়ে বেশি আগ্রহী। সিঙ্গাপুর, ফিলিপিনের মতো দেশেও দেখা গেছে, প্রচলিত ব্যাংকের তুলনায় ডিজিটাল ব্যাংক মানুষ বেশি পছন্দ করছে। আস্তে আস্তে অনেক কিছুই ক্যাশলেস হয়ে যাচ্ছে। আমরাও অনেক কেনাকাটায় নগদ টাকার পরিবর্তে মোবাইল ফাইন্যান্সিং সার্ভিস ব্যবহার করি, মোবাইল ফোনের কিউআর কোড স্ক্যান করে পেমেন্ট করি। এভাবেই ব্যাংকের অনেক সেবা পুরোপুরি ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছে। ব্রাঞ্চ ব্যাংকিংয়ের যে খরচ, সেটা ভবিষ্যতে অনেক ব্যাংক নিতে পারবে না।

বাংলাদেশে যেখানে অনেক সময় প্রচলিত অনেক ব্যাংক নিয়ে অভিযোগ ওঠে, গ্রাহকের দিক থেকে আস্থার সংকট তৈরি হয়, সেখানে এসব ডিজিটাল ব্যাংকের ওপর গ্রাহকরা কতটা আস্থা রাখতে পারবে? এখনও কিন্তু মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ওপর আস্থা রেখে অসংখ্য মানুষ লেনদেন করছে। সেটাও একটা ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা। এক্ষেত্রেও হবে। তবে সেজন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে শক্তভাবে নজরদারি আর নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ডিজিটাল ব্যাংকিং ব্যবস্থা সবার জন্য সমান এবং স্বচ্ছ হবে কি-না- তা নিয়ে সংশয় রয়েছে অনেকে মধ্যে। সেই সঙ্গে সাইবার সিকিউরিটির বিষয়গুলোও বিবেচনায় রাখতে হবে। নতুন এই প্রযুক্তি বাংলাদেশে যখন আসবে, এর সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তিবিদদের সম্পৃক্ত করে এগিয়ে নেয়া উচিত।

প্রচলিত ব্যাংকের কিছু সীমাবদ্ধতা থাকার কারণেই ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের কথা আসছে। কিন্তু বর্তমানে যে গাইডলাইন দেয়া হয়েছে, সেখানে যেমন বলা হয়েছে, এমডিকে হতে হবে ব্যাংকিং সেবায় ১৫ বছরের অভিজ্ঞ। তাহলে তো সেই প্রচলিত ব্যাংকিংয়ের চিন্তাভাবনা থেকেই ডিজিটাল ব্যাংকিং চালু করা হচ্ছে। কিন্তু এখানে বরং প্রযুক্তিতে দক্ষ নতুন চিন্তাভাবনার লোকজনকে গুরুত্ব দেয়া উচিত। এটা তো একপ্রকার স্টার্ট-আপ। লাইসেন্স দেয়ার হার সীমিত না রেখে উন্মুক্ত রাখা উচিত। তখন বাজার নির্ধারণ করে দেবে, এই ব্যাংকিং খাত কেমন হবে। এটা একটা নতুন ধরনের সেবা। সেখানে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা জরুরি। না হলে মানুষের আস্থা আনা যাবে না। আমরা চাইছি, সফট ব্যাংকের মতো বিদেশি ব্যাংক এ দেশে আসুক। কারণ, প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতা ছাড়া এই ব্যাংক ভালোভাবে চালানো কঠিন হবে। প্রচলিত ব্যাংকের মতো এসব ব্যাংক চলুক, এটা আমরা চাই না। আস্থা-বিশ্বাসে, প্রযুক্তিগত দক্ষতায় সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠুক ডিজিটাল ব্যাংক।