ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঝিলংঝায় এখন ঝিনুকের প্রতিচ্ছবি

রবিউল আলম
ঝিলংঝায় এখন ঝিনুকের প্রতিচ্ছবি

সমুদ্রের তীরে লোকালয়ে যাতায়াতের বাহন হিসেবে পরিচিত নৌযান কিংবা গাড়ি। কিন্তু এক যুগ আগে মানুষ বইপত্রে শামসুর রাহমানের কবিতা থেকে পড়া ঝকঝক করা ট্রেনের স্বপ্ন আজ দৃশ্যমান ঝিলংঝায়।

কক্সবাজার জেলা শহর থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার পূর্বে ঝিলংঝা ইউনিয়নে হাজিপাড়া এলাকায় ২৯ একর জমিতে ঝিনুকের আদলে দৃশ্যমান আইকনিক রেলস্টেশন। ২০১৮ সালের জুলাইয়ে দোহাজারি থেকে কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণে মেগা প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়।

বঙ্গবন্ধুকন্যার কৃপায় সমুদ্র পথে রেলগাড়ির ঝনঝনানিমুক্ত ধ্বনির স্বপ্ন পূরণে কক্সবাজারের সন্তান হিসেবে পুলকিত ও শিহরিত। এশিয়ার শতভাগ পর্যটনবান্ধব শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত ছয়তলা বিশিষ্ট ১ লাখ ৮২ হাজার বর্গফুটে দৃষ্টিনন্দন স্টেশনটি।

আঁকাবাকা পাহাড়, সাঙ্গু, মাতামুহুরি ও বাঁকখালি নদীর ওপর নির্মিত সেতুর দোলনা খেয়ে পর্যটকরা প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে দেখতে ঢাকা থেকে সরাসরি বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের লোনাজলে শরীর-মন ভেজানোর সুযোগ পেতে যাচ্ছে। কক্সবাজারে যুক্ত হবে নতুন মাত্রা এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে ফিরে আসবে চাঙ্গাভাব।

সময় সাশ্রয়ের সঙ্গে সঙ্গে বাণিজ্যিকভাবে অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে সেতুবন্ধন সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি অনস্বীকার্য। তারকামানের হোটেল, রেস্তোরাঁ, শপিংমল ও লকারের মতো নিরাপত্তার আশ্রয়স্থল হিসেবে অনুকূলে রাখার কারণে পর্যটকদের সংখ্যা বেড়ে কয়েক কোটিতে ঠাঁই হতে পারে। ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হওয়া প্রকল্প আজ স্বপ্নের রূপকথার গল্প মনে হলেও আগামী কয়েক মাস পর দেখতে যাচ্ছি রেললাইনে প্রেমাতুর গল্প, স্বপ্নে যাবে বাড়ি গানের সুর, বিভিন্ন স্টেশনে রেল টিকিটের আনাগোনা, রেললাইনে সেলফি তোলার মুহূর্তগুলো ও রেলগাড়ির বেসুরো হর্ন ইত্যাদি। দৈনিক ৪৬ হাজার মানুষ আসা-যাওয়া করার সক্ষমতায় নিজের নামটা প্রতিদিন যাত্রীর তালিকায় রাখতে চাই। রেলে চড়ার দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হোক শিগগির।

শিক্ষার্থী

ইবি

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত