চি ঠি প ত্র

অধ্যক্ষদের আচরণ মার্জিত হতে হবে

প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

অধ্যক্ষ বা প্রিন্সিপাল হচ্ছেন যে- কোনো একটি বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা মহাবিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী ব্যক্তিত্ব। এটি একটি পদবি বিশেষ। বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একজন পরিচালক হিসেবে তিনি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার অধিকারী। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন পিয়ন থেকে শুরু করে, অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, লেকচারারসহ সব শিক্ষক কর্মচারী সবাই তার অনুশাসন মেনে চলতে হয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ মহোদয়কে তার অধীনস্ত যারা আছে, সবাই তার চেয়ারের জোরে তাকে সম্মান করে থাকে। অনেক সময় তার অধীনস্থরা নির্ধারিত সময়ের পরে আসলে তাকে জবাবদিহি করতে হয়; কিন্তু প্রিন্সিপাল নির্ধারিত সময় না এলেও অনেকে সাহস করে বলতে ভয় পায়, আবার অতিরিক্ত ক্লাস নিতে বাধ্য করা হয়। এ রকম ঘটনা প্রতিনিয়ত লক্ষ্য করা যায়। আবার অনেক সময়, শিক্ষককে মানসিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করা হয়। যার কারণে, মন ফ্রেশ রেখে শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে পাঠদান করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের কাছ থেকে সেসবই শিখে, যা শিক্ষকরা ক্লাসে কিংবা বাইরে শিক্ষা দিয়ে থাকে। আর সবচেয়ে ভালো, মার্জিত, কোমল মনে শিক্ষক কর্মচারীদের সঙ্গে অধ্যক্ষদের আচরণ করা উচিত। কোনো ভুল করলে, চিৎকার চেচামেচি না করে, বাস্তবতার আলোকে তাদের বুঝাতে হবে, শুধু গায়ের জোরে বা চেয়ারের জোরে সব কিছু আদায় করা সম্ভব হয় না। যদি, এমনই হয় তবে, তা হবে ক্ষণস্থায়ী; কিন্তু সুন্দর করে ভালোভাবে সবাইকে বুঝিয়ে বললে, তা কার্যকর হবে দীর্ঘস্থায়ী। আমরা অনেক সময় লক্ষ্য করে থাকি, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ বিদায় নেওয়ার সময় তার সহকর্মীরা দুই চোখের অশ্রু বিসর্জন দিয়ে তাকে বিদায় দেয়। আবার এমনও আছে, বিদায় নেওয়ার সময় সহকর্মীদের হৃদয় হাসে অনবরত। তাই, সব শিক্ষার্থী এবং পিয়ন থেকে শুরু করে সব শিক্ষকদের সঙ্গে ভালো এবং মার্জিত ভাষায় কথা বলা অধ্যক্ষদের অবশ্যই করণীয়। ছাত্র-শিক্ষকদের ধমক না দিয়ে যতটা না কাজ হবে, তার চেয়ে শতগুণ বেশি কাজ হবে, যদি নরম, কোমল এবং মার্জিত ভাষায় বুঝিয়ে বললে। তাই, যেসব শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষদের এমন স্বভাব রয়েছে, তাদের কাছে অনুরোধ আপনারা কর্কশ ভাষা পরিত্যাগ করুন। দেখবেন, আপনার শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান আরো উন্নতি লাভ করবে।

মো. আব্দুল করিম গাজী

শিক্ষার্থী, ফেনী সরকারি কলেজ