শুধু পাঠদানের মধ্যেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ থাকতে পারে না। শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে যেসব চর্চার প্রয়োজন তা নিশ্চিত করতে হয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। কিন্তু এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম শুধু শিক্ষার্থীদের পাঠদানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। শারীরিক ও মানসিক বিকাশ তথা সৃজনশীল কার্যক্রমের কোনো সুযোগ নেই। দেশের অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নেই নিজস্ব কোনো খেলার মাঠ। বিশেষ করে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গড়ে ওঠা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খেলার মাঠের অভাব চোখে পড়ার মতো। সুস্থ, সুন্দর ও আনন্দময় জীবনের জন্য খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই। এর জন্য প্রয়োজন ভালো পরিবেশ। বালক, কিশোর ও তরুণদের খেলাধুলা চর্চার প্রতি ভালোবাসার কোনো কমতি নেই। তারা খেলাধুলা করতে চায়, অংশ নিতে চায়। কিন্তু তাদের সুযোগ নেই। অথচ একটা সময় ছিল, যখন ফাঁকা জায়গা, খেলার মাঠ এবং স্কুল-কলেজের খেলার চত্বর খেলাধুলার কর্মকাণ্ডে একটা সময় মুখর থাকত। এখন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া দেশজুড়ে বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত কয়টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাস ও খেলার মাঠ আছে? প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে হাই স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ, এমনকি বিভিন্ন শহরে স্টেডিয়াম নামধারী মাঠের ভেতরে ও বাইরে ছোট-বড় অংশ দখল, খেলাধুলার পরিবর্তে বিভিন্ন ধরনের বাণিজ্যিক কাজে এবং ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষ্যে নিয়মিত ব্যবহারের মাধ্যমে যে লোভের সংস্কৃতির জন্ম হয়েছে, এর থেকে আর পরিত্রাণ মেলেনি। বরং এই অসুস্থ সংস্কৃতির পরিধি বেড়েই চলেছে। শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান ও গ্রহণের মতোই অবিচ্ছেদ্য অংশ খেলার মাঠ। কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুরোপুরি আদর্শ প্রতিষ্ঠান দাবি করতে পারে না খেলার মাঠ ছাড়া। কিন্তু আজ খেলার মাঠই শিশুদের জন্য সোনার হরিণ হিসেবে দেখা দিয়েছে। ১০ হাজারেরও বেশি সরকারি বিদ্যালয়ে নেই খেলার মাঠ। এতে দেশের ভবিষ্যৎ শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা যেমন ব্যাহত হচ্ছে তেমনি খেলাধুলার অভাবে শিশুদের মধ্যে স্থূলতা, মাদকাসক্তি, ভিডিও গেম আসক্তি বাড়ছে। জাতি গঠন প্রক্রিয়া শুরুতেই বড় বাধার মুখোমুখি হচ্ছে। শিক্ষাবিদরা বলছেন, খেলার মাঠ ছাড়া একটি বিদ্যালয় কোনোভাবেই পূর্ণাঙ্গ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠতে পারে না। তাই খেলার মাঠ ছাড়া কোনো বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা সমীচীন নয়। যেসব অনুমোদিত বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ নেই, সেসব প্রতিষ্ঠানে বিশেষ প্রকল্পের আওতায় খেলার মাঠ স্থাপন করা প্রয়োজন। খেলাধুলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব তৈরি হয়। খেলতে গিয়ে একে অন্যের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে, সামাজিকীকরণ হয়। তাই বিদ্যালয় যখন প্রতিষ্ঠা করা হয়, তখন অবশ্যই মাঠের বিষয়টি খেয়াল রাখা উচিত। দেশের প্রাথমিক শিক্ষার নানা দিক নিয়ে প্রতি বছর বার্ষিক প্রাইমারি স্কুল সেনসাস শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ২০২১ শিক্ষাবর্ষের তথ্যের ভিত্তিতে প্রণীত অধিদপ্তরের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। এর মধ্যে খেলার মাঠ রয়েছে ৫৪ হাজার ৮২৬টিতে। সে হিসাবে দেশের ১০ হাজার ৭৪০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ নেই। খেলার মাঠের দিক থেকে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে সিলেট বিভাগের বিদ্যালয়গুলো। অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সিলেট বিভাগে মোট প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫ হাজার ৫৮টি। এর মধ্যে খেলার মাঠ রয়েছে ৩ হাজার ২০৩টিতে। সে হিসাবে সিলেট অঞ্চলের প্রায় ৩৭ শতাংশ বিদ্যালয়েই খেলার মাঠ নেই। ফলে এসব বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করলেও খেলাধুলায় পিছিয়ে রয়েছে শিক্ষার্থীরা। শুধু এক বিভাগে এই অবস্থা নয়, দেশের অন্যান্য বিভাগীয় শহরেও এই করুণ অবস্থা দেখা যায়, যা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। গত বছরের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দুই দশকে হারিয়েছে ঢাকার প্রায় অর্ধশত মাঠ। চলতি শতকের শুরুতে রাজধানী ঢাকায় অবিভক্ত সিটি করপোরেশনের অধীন খেলার মাঠ ছিল ৭০টির মতো। এখন দুই সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে টিকে রয়েছে মোটে ২০টি। যেগুলো টিকে রয়েছে খেলাধুলার স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ হারিয়ে ফেলছে সেগুলোও। মাঠ বেদখল হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠছে প্রায়ই। আবার নানা স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে মাঠে খেলার জায়গা সংকুচিত করে ফেলার নিদর্শনও পাওয়া যায় অনেক। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বসবাসের জন্য আদর্শ একটি শহরের প্রত্যেক বাসিন্দার জন্য কমপক্ষে ৯ বর্গমিটার খোলা জায়গা দরকার। প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৫০ হাজার মানুষ বাস করা ঢাকা শহরে সেই সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে কম, মাত্র এক বর্গমিটার। রাজধানীতে এক সময় প্রতিটি ওয়ার্ডে একাধিক খেলার মাঠ থাকলেও এখন অবস্থা একেবারেই হতাশাজনক। খোলা জায়গা বা খেলার মাঠের সংকটে নতুন প্রজন্ম একটা বদ্ধ পরিবেশে বড় হচ্ছে। এটা তাদের মনঃসামাজিক বিকাশের জন্য মোটেই শুভ নয়। কাজেই সর্বাগ্রে বেদখল হওয়া মাঠগুলো পুনরুদ্ধার করতে হবে। এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৪ সালে হাইকোর্ট রাজধানীর ৬৮টি খেলার মাঠ ও পার্কের জন্য সংরক্ষিত জায়গা ১৫ দিনের মধ্যে দখলমুক্ত করার নির্দেশ দেন। এ আদেশ যথাযথভাবে পালনে দুই দশকে কোনো অগ্রগতি লক্ষ করা যায়নি। বরং দিন দিন অবস্থার অবনতি ঘটেছে। হাইকোর্টের নির্দেশ বাস্তবায়নে দুই সিটি করপোরেশনকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। শুধু পুরোনো মাঠ পুনরুদ্ধার নয়, জনসংখ্যা অনুপাতে নতুন নতুন মাঠ তৈরির ব্যাপারেও কর্তৃপক্ষের উদ্যোগী ভূমিকা কাম্য। নগর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বড় মাঠ হতে হবে এমন কোনো কথা নেই। এলাকার মধ্যে ছোট ছোট খোলা জায়গা রাখা চাই, যেখানে সব বয়সের মানুষ খেলাধুলা, হাঁটাহাঁটি করতে পারে। কিন্তু বাস্তবে ন্যূনতম প্রয়োজনীয় সেই জায়গাগুলোও নেই। এমনকি আধুনিক সুবিধা সম্পন্ন হাউজিং প্রকল্পেও এ ধরনের পর্যাপ্ত খোলা জায়গা রাখা হচ্ছে না। বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় (ড্যাপ) শিশুদের চাহিদার বিষয়গুলো যুক্ত করা হয়। প্রয়োজনীয় খেলার মাঠের কথা বলা হয়। অথচ আবাসন প্রকল্প বা অন্য অবকাঠামোর ক্ষেত্রে তার প্রতিফলন দৃশ্যমান নয়। ফলে ক্রমেই সংকুচিত হচ্ছে শিশু-কিশোরদের খেলাধুলার পরিসর। এটা ভবিষ্যতের জন্য ক্ষতিকর। মাঠের অভাবে শিশুদের সুষ্ঠু মানসিক বিকাশ হচ্ছে না। শহরে-মফস্বলে গড়ে উঠছে বিভিন্ন কিশোর গ্যাং। তারা মাদক, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। নিয়মিতই কিশোর গ্যাংয়ের হাতে শিক্ষার্থী খুনের ঘটনা ঘটছে। মাঠ না থাকার কারণে সিংহভাগ শিশু-কিশোর বড় হচ্ছে চার দেয়ালে, সেলফোনের স্ক্রিনে আবদ্ধ থেকে। এতে যেমন তাদের পরিপূর্ণ মানসিক বিকাশ হচ্ছে না, তেমনি অল্প বয়সেই চোখের সমস্যা, স্থূলতাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রতিটি শিশুকে দিনে অন্তত ১ ঘণ্টা বাইরে খেলাধুলা করার পরামর্শ দিচ্ছে। জাতিসংঘের শিশু সনদে বলা হয়েছে, শিশুদের শারীরিক, মানসিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশের উপযোগী পরিবেশ রক্ষা ও সৃষ্টি করা রাষ্ট্রের কর্তব্য। জাতীয় শিশুনীতি ও শিক্ষানীতিতেও শিশুর বিকাশ নিশ্চিত করার জন্য অনেক কথা বলা হয়েছে। অথচ বাস্তবে সুযোগ সৃষ্টি তো হচ্ছেই না। যেটুকু সুযোগ আছে, তাও রক্ষা করা যাচ্ছে না। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে খেলার মাঠ চাই। শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের দিকে নীতিনির্ধারকদের সর্বোচ্চ মনোযোগ চাই। কারণ আজকের শিশুই আগামী দিনের দেশ নির্মাতা। তারা সবল ও সুস্থভাবে বড় হলে দেশও এগিয়ে যাবে। খেলার মাঠকে আধুনিক নগর পরিকল্পনায় বিনোদন সুবিধার পাশাপাশি স্বাস্থ্য অবকাঠামো হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) বলছে, শিশু-কিশোরদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য প্রতিদিন ন্যূনতম ১ ঘণ্টা করে খেলাধুলা ও শারীরিক সক্রিয় কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকা প্রয়োজন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য ন্যূনতম ৯ বর্গমিটার খোলা জায়গা থাকা উচিত। এই হিসাবে প্রতি এক হাজার মানুষের জন্য সোয়া দুই একর খোলা জায়গা এবং এক একর খেলার মাঠের প্রয়োজন। টেকসই নগরায়ণ-সংক্রান্ত জাতিসংঘের সংস্থা ইউএন-হ্যাবিটেটের মতে, হাঁটা দূরত্বে খেলার মাঠ, সবুজ এলাকা থাকা উচিত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পরিকল্পনার মানদণ্ড অনুযায়ী যেকোনো আবাসন এলাকার ন্যূনতম ১০ ভাগ খেলার মাঠ-পার্ক প্রভৃতি বিনোদন সুবিধার জন্য বরাদ্দ থাকা প্রয়োজন। অতি ঘন নগর এলাকায় প্রতি অর্ধবর্গকিলো মিটারে জনসংখ্যা বিবেচনায় ন্যূনতম একটি খেলার মাঠ থাকা প্রয়োজন। খেলার মাঠ আমাদের সামাজিকীকরণ বাড়ায় ও উদার চিত্ত হৃদয়ের মানুষ গড়তে সহায়তা করে। সমাজকল্যাণ, মনোবিদ্যা এবং অপরাধ-সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মতে, কিশোর-তরুণদের দ্বারা অপরাধের মাত্রার সঙ্গে খেলার মাঠের সুবিধা, পার্কের সংখ্যা, খোলা জায়গার পরিমাণ প্রভৃতির উল্লেখযোগ্য সম্পর্ক বিদ্যমান। সাম্প্রতিক সময়ে আমরা যেসব কিশোর অপরাধ ও কিশোর গ্যাংয়ের অস্তিত্ব দেখতে পাই, তার পেছনে আমাদের শিশু-কিশোরদের খেলাধুলার সুযোগের অভাবের দায় এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। একই সঙ্গে আমাদের শিশু-কিশোরদের স্থূলতাসহ বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতা এবং বিষণ্ণতাসহ বিভিন্ন মানসিক অবসাদের পেছনেও খেলাধুলার সুযোগ থেকে তাদের বঞ্চিত করার দায় আছে। আমাদের শিশু-কিশোররা মোবাইল গেমস কিংবা স্মার্ট ডিভাইসে আসক্ত; কিশোর-তরুণদের অনেকেই মাদকে আসক্ত। অথচ এসব ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধির অনেকটা সমাধান সম্ভব ছিল শিশু-কিশোরদের খেলাধুলার সুযোগ করে দিয়ে। অর্থনৈতিক লাভ-ক্ষতির হিসাব করতে গিয়ে নগর এলাকায় একের পর এক খেলার মাঠ ধ্বংস করা হচ্ছে। অথচ আমরা শিশু-কিশোরদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের অর্থনৈতিক ও সামগ্রিক মূল্য নিরূপণ করতে বেমালুম ভুলে গেছি। অবকাঠামোগত উন্নয়ন তত্ত্বের আড়ালে আমরা কি খেয়াল করছি খেলাধুলাবিহীন আমাদের জাতির ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বেড়ে উঠছে কীভাবে। বর্তমান সরকারের আমার গ্রাম-আমার শহর প্রকল্প ও উপজেলা পর্যায়ে মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের যে উদ্যোগ চলমান আছে, তার মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকায় পর্যাপ্ত সংখ্যক খেলার মাঠ তৈরি করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। সরকারিভাবে সারা দেশের নগর ও গ্রামীণ এলাকায় খেলার মাঠের পরিকল্পনা, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য খেলার মাঠের পরিকল্পনার সূচক বা মানদণ্ড ও খেলার মাঠের নীতিমালা প্রণয়ন করা প্রয়োজন। বিশ্বের অনেক দেশেই খেলার মাঠসহ গণপরিসর পরিকল্পনা, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পৃথক সংস্থা থাকে। আমাদের দেশের খেলার মাঠ-পার্ক-গণপরিসর রক্ষণাবেক্ষণে সুনির্দিষ্ট সংস্থা গঠনের মাধ্যমে সব নাগরিকের জন্য খেলার মাঠসহ গণপরিসর সুবিধা নিশ্চিত করা দরকার বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।