মংলা-বাগেরহাট জেলার সর্ব দক্ষিণে উপকুলীয় সুন্দরবনবেষ্টিত উপজেলা। এখানে দেশের একটি বৃহত্তম সমুদ্র বন্দরের কর্মকাণ্ড চলমান। চিংড়ি, সাদামাছ তথা জলকেন্দ্রিক জীবন জীবিকাই এখানকার মানুষের প্রধান উপজীব্য। বন্দরবেষ্টিত পশুর নদীর পূর্ব দিকে বাক নিয়ে মংলা উপজেলাকে দ্বিখণ্ডিত করেছে। মূল প্রশাসনিক অবকাঠামো ও দপ্তরসমূহ পশুর নদীর দক্ষিণে মূল ভূখণ্ডের বাইরে দ্বীপ-ভূমিতে অবস্থিত। অন্যদিকে মংলা বন্দর, ও ইপিজেড অর্থাৎ রপ্তানি প্রক্রিয়ার সব কর্মযজ্ঞ নদীর এ পারে দ্বিগরাজ নামক স্থানজুড়ে বিস্তৃত। পশুর নদীর দক্ষিণে উপজেলা প্রশাসন ও জনবসতি আর নদীর উত্তরে মংলা বন্দরের কর্মযজ্ঞ। বেশিরভাগ শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তা নদীর দক্ষিণে দ্বীপখণ্ড থেকে সকালে ট্রলার পাড়ি দিয়ে কর্মস্থলে আসেন এবং দিন শেষে আবার ট্রলার পাড়ি দিয়ে বাড়ি ফিরেন। ট্রলার পাড়ি দেয়ার সময় অনেকেই জোয়ারের উত্তাল ঢেউয়ে আতঙ্কে থাকেন। মাঝে একটি ভাসমান সেতুর আশ্বাসবানী শোনা গেলেও এটি এখন অনেকটাই দীর্ঘশ্বাস। সারা দেশ যেখানে সেতু নির্মাণের মহাযজ্ঞে সেখানে মংলাবাসীর এ স্বপ্ন কেন অধরা?
শামুসজ্জামান, মংলা, বাগেরহাট