যুদ্ধ, সংঘর্ষ, অস্থিরতা, আহত, নিহত, শরণার্থী এই শব্দগুলো মধ্যপ্রাচ্যের খবরের পাতায় স্থায়ীভাবে লেগে আছে। প্রতিদিনের সূর্য উঠে যেন নতুন সংঘাতের খবর নিয়ে। অঞ্চলটিতে প্রতিবছরই এক বা তার চেয়েও বেশি ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের প্রত্যক্ষ সাক্ষী আমরা। কখন যেন সৌদি-ইরান লেগে গেল, কখন যেন আবার ফিলিস্তিনে ইসরাইলের দখলদারিত্ব শুরু হলো। এসব চেনা ভয় হরহামেশাই দেখা যায় মধ্যপ্রাচ্যে। বিশ্বের সব দেশের খেলার মাঠ বা শক্তি প্রদর্শনের জায়গা মনে হয় মধ্যপ্রাচ্য। এই অঞ্চলের মানুষের অপরাধ কী? মেসোপটোমিয়া সভ্যতা নিমিষে ধুলোয় মিশে যাচ্ছে। লিবিয়ার মতো একটি সুখি-সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। আরব্য হাজার রজনীর রহস্যময় সেই বাগদাদ নগরী এবং বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন দামেস্ক শহর এখন ভুতুড়ে নগরী। কেনই বা তাদের নিয়ে বিশ্ব নিয়ন্ত্রকরা মেতে উঠে সীমাহীন মানবাধিকার লঙ্ঘনে এবং কেনই বা বিশ্ব নিয়ন্ত্রকরা ধ্বংসলীলা শুরু করে দেয় এই মধ্যপ্রাচ্যে- তার আদ্যোপান্ত জানার চেষ্ট করব আজকে। প্রথমত, মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতির একটি জটিল দাবার ছক বানিয়ে রেখেছে পশ্চিমারা। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অটোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর ১৯১৭ সালে মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে। ব্রিটেন ও ফ্রান্সের কাছে পরাজিত হয়ে অটোমানরা মিশর, লেবানন, ফিলিস্তিন, সিরিয়া, হেজাজসহ পুরো মধ্যপ্রাচ্যের নিয়ন্ত্রণ হারায়। একই ভাষা, ধর্ম, জাতিগোষ্ঠী হওয়ার পরেও ব্রিটিশ ও ফরাসি কূটনীতিক মার্ক সাইস্ক এবং জর্জ ফিকো মধ্যপ্রাচ্যকে সুকৌশলে বর্তমান মানচিত্রে বহুভাগে বহুদেশে বিভক্ত করে। যাতে করে মুসলিমরা অটোমানদের হাত ধরে আবার ঐক্যবদ্ধ হতে না পারে এবং হাজার বছর ধরে মধ্যপ্রাচ্যে অশান্তি এবং যুদ্ধ লেগে থাকে। ১৯১৭ সালের পরে ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের চক্রান্তে মধ্যপ্রাচ্যের শিয়া ও সুন্নি জনগোষ্ঠীকে আলাদা আলাদা ভুখণ্ড না দিয়ে একই দেশে শিয়া এবং সুন্নির মিশ্রণ ঘটিয়ে লেবানন, ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেন, ওমান, জর্ডানকে স্বাধীনতা দেওয়া হয়। এই কারণে মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সব দেশেই শিয়া-সুন্নির লড়াই যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। এখানে কুর্দিদের দুর্দশার কথা বলাই যায়। মধ্যপ্রাচ্যের সাহসী জাতি কুর্দি যাদের রয়েছে নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি। একটি আলাদা জাতি গোষ্ঠী হওয়ার সব যোগ্যতা থাকার পরও প্রায় ৪০ মিলিয়ন কুর্দিদের একটি স্বাধীন দেশ না দিয়ে বরং তাদের ভূখণ্ডকে ইরান, ইরাক, সিরিয়া ও তুরষ্কের মাঝে ভাগ করে দেওয়া হয়। কুর্দিরাও স্বাধীনতার দাবীতে যুগ যুগ ধরে লড়াই করছে ইরাক, সিরিয়া এবং তুরষ্কে। এমন ম্যাপিংয়ের কারণে শিয়া-সুন্নি-কুর্দি ত্রিমুখী লড়াইয়ের কারণে মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহ অস্থিতিশীল হয়ে আছে শতাব্দীকাল ধরে। অপরদিকে হাজার হাজার বছর ধরে ইহুদিরা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বাস করে আসছে। ইহুদিদের হঠকারিতা এবং নিচু স্বভাবের কারণে ইউরোপের খ্রিষ্টানরা তাদের সবসময়ই শত্রু ভাবত। বিখ্যাত ইংরেজ কবি শেক্সপিয়র কিংবা রুশ কবি টলস্টয়ের গল্পেও ইহুদিদের খারাপ চরিত্র ফুটে ওঠে। জার্মান সমাজের বিভক্তির জন্য ‘মাইন ক্যাম্ফ’ বইতে এডলফ হিটলার ইহুদিদেরই দায়ী করেন। তাই ১৯৩৩ সালে ক্ষমতায় গিয়েই হিটলার ইহুদি দমন শুরু করেন। তাই তারা একটি স্বাধীন ভূখণ্ডে একসঙ্গে থাকার স্বপ্ন দেখা শুরু করে। ব্রিটেনও স্বাধীন ভূখণ্ডের স্বপ্ন দেখিয়ে ইহুদিদের ব্যবহার করত। ইউরোপ এবং আমেরিকার খ্রিস্টানরা বিশ্বাস করত যিশু খ্রিষ্টের আগমনের জন্য পৃথিবীর সব ইহুদকে একত্রিত করতে হবে। যেন যিশু খ্রিষ্ট সব ইহুদিকে হত্যা করে পৃথিবীকে ইহুদিমুক্ত করতে পারে। তাই ১৯১৭ সালে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড বেলফো ফিলিস্তিনের বুকে ইহুদিদের জন্য স্বাধীন ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। যা ইতিহাসে বেলফোর ঘোষণা নামে পরিচিত। তখন থেকেই ইহুদিরা ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের সমর্থনে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে ফিলিস্তিনে এসে জমি কেনা শুরু করে দেয়। ফিলিস্তিন ছিল তখন ব্রিটেনের দখলে। ইউরোপ ও আমেরিকায় লাখ লাখ মাইল ভূমি খালি থাকার পরেও ইহুদিদের ফিলিস্তিনে পুনর্বাসন করার পেছনে ব্রিটেনের উদ্দেশ্য ছিল সুদূরপ্রসারী। প্রথমত, ইহুদির হঠকারিতা থেকে রক্ষা পাওয়া। দ্বিতীয়ত, আরবের বুকে ইহুদিদের হঠকারিতা ছড়িয়ে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যকে নিয়ন্ত্রণে রাখা। ১৯৪৭ সালের ২৯ নভেম্বর জাতিংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে তিন ভাগে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। এতে বলা হয় ফিলিস্তিনের ৫৬ শতাংশ জায়গায় ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইল এবং ৪৩ শতাংশ জায়গায় স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র আর জেরুজালেম হবে আর্ন্তজাতিক শহর। ফিলিস্তিন ও আরবদের জোট আরব লীগ এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। ১৯৪৮ সালে ইসরাইল নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করে। এরপর থেকে ইসরাইল আরবদের সঙ্গে বড় পাঁচটি যুদ্ধে জড়িয়েছে। ১৯৬৭ সালের আলোচিত ছয় দিনের যুদ্ধে সিনাই উপত্যকা, গোলান মালভূমি এবং সমগ্র জেরুজালেমসহ পশ্চিম তীরের অনেক অংশ দখল করে নেয় ইসরাইল। মধ্যপ্রাচ্যে বিভক্তি এবং অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করেই ইসরাইল টিকে আছে। এমনকি কোন দেশ শক্তিশালী হয়ে গেলে তাদের আমেরিকার সাহায্যে ধ্বংস করে দেওয়া হয়। লিবিয়া, সিরিয়া এবং ইরাক যার উদাহরণ। কারণ কোনো দেশ আর্থিক কিংবা সামরিকভাবে এগিয়ে গেলেই ইসরাইলের বিদায়ঘণ্টা বেজে যাবে। লিবিয়ার গাদ্দাফি, সিরিয়ার আসাদ এবং ইরাকের সাদ্দাম হোসেন ছিলেন ইসরাইলবিরোধী। তারা সবাই পরমাণু বোমা বানানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু আমেরিকা ও ইসরাইলের হামলায় ১৯৮১ সালে ইরাকের এবং ২০০৭ সালে সিরিয়ার পরমাণু স্থাপনাসমূহ ধ্বংস হয়ে যায়। এমনকি ভারতের সহায়তায় পাকিস্তানের পরমাণু স্থাপনাতেও হামলা চালাতে চেষ্টা চালায় ইসরাইল। বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে ইহুদিদের একমাত্র শত্রু ইরান। ইরানের জনগণের মধ্যে একতা থাকার কারণে সরাসরি সেখানে হামলা করতে না পারলেও আমেরিকার মাধ্যমে অর্থনৈতিক অবরোধ দিয়ে ইরানকে দমিয়ে রাখতে চায় ইসরাইল। ইহুদিদের মেধা এবং অর্থকে কাজে লাগিয়ে আমেরিকা, ফ্রান্স এবং ব্রিটেন এত উন্নত তাই ইহুদিদের কাছে তারা সবসময়ই বাধ্য থাকে। কারণ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও ইহুদিদের সংগঠন এআইপিএসি’র রয়েছে বিশাল প্রভাব। সঙ্গে সঙ্গে আমেরিকার সব ব্যাংকিং এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও রয়েছে ইসরাইলের বিশাল বিনিয়োগ। এক কথায় বলা যায়, আমেরিকার নাকের ডগায় বসে আছে ইসরাইল। আমেরিকার ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক রথসচাইল্ড পরিবারের হাতে। এই রথসচাইল্ড পরিবার একটি ইহুদি পরিবার। আপনারা জেনে অবাক হবেন যে, ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গও একজন ইহুদি। ১৯৪৭ সালের পর থেকে আমেরিকার মদদে ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড দখল করেই চলেছে ইসরাইল। নিজ দেশেই এখন গৃহবন্দি লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। ইহুদিদের চক্রান্ত মধ্যপ্রাচ্যের অশান্তির অন্যতম কারণ। দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্যের প্রাকৃতিক সম্পদ; ১৯৩৪ সালের দিকে যখন মধ্যপ্রাচ্যে তেল ও গ্যাসের খনি আবিষ্কৃত হয়। তখন থেকেই শুরু হয় পশ্চিমাদের নতুন রাজনীতি। জর্ডান, বাহরাইন, সৌদি আরব, কুয়েত, আমিরাতের বাদশাহদেরসহ, ইরাকের সাদ্দাম হোসেন এবং তুরষ্কের সামরিক শাসকদেরও সমর্থন দেয় আমেরিকা। ইরানের আলীরেজা শাহ এবং মিশরের আনোয়ার সাদাতকে সমর্থন দেয় ব্রিটেন। রাশিয়ার সমর্থন পায় সিরিয়ার আল আসাদ সরকার। বিনিময়ে শিল্পোন্নত পশ্চিমারা মধ্যপ্রাচ্যের তেল ও গ্যাসের নিয়ন্ত্রণ পেয়ে যায়। তারপরও ১৯৭৩ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর আরব দেশসমূহ সৌদি বাদশাহ ফয়সালের নেতৃত্বে তেল অস্ত্র ব্যবহার করেন। এতে ওপেকভুক্ত দেশসমূহ পশ্চিমা দেশে তেল রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। ইউরোপ এবং আমেরিকা তেলের অভাবে দিশাহারা হয়ে যায়। তখনই আমেরিকা শুরু করে নতুন মেরুকরণ। আমেরিকার বাদশাহ ফয়সালকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করে এবং ১৯৭৫ সালে সৌদি বাদশা ফয়সাল স্বীয় ভাতিজার গুলিতে নিহত হন। ১৯৭৩ সালে তেলের রাজনীতির মাধ্যমে লাভটা হয় আমেরিকারই। তারপর শুরু হয় আমেরিকার পেট্রো-ডলার নীতি। আমেরিকা সৌদি আরবকে বাধ্য করে তারা যেন ডলার ছাড়া অন্য কোনো কারেন্সিতে তেল না বিক্রি করে। এতে আমেরিকা ডলার ছাপিয়ে তেল কিনে আর পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে যুদ্ধ বাঁধিয়ে তেল লুট করতে থাকে। ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামী বিপ্লবের পর পশ্চিমারা আবারো বেকায়দায় পড়ে যায়। তাই ১৯৮০ সালে শিয়া-সুন্নির দোহাই দিয়ে সাদ্দামকে ব্যবহার করে ইরান আক্রমণ করায়। তাতে যদিও ভালো কোনো লাভ হয়নি আমেরিকার। কারণ যুদ্ধে সাদ্দাম হোসেন পরাজিত হন এবং কুয়েতের কাছে প্রচুর ঋণগ্রস্থ হয়ে যান সাদ্দাম হোসেন। পরে কুয়েত তার ঋণের টাকা ইরাক থেকে ফেরত চাইলে ১৯৯১ সালে সাদ্দাম হোসেন কুয়েত আক্রমণ করেন। কুয়েতকে বাঁচানোর অজুহাতে এবং সৌদি রাজবংশকে রক্ষা করতে ইরাক-কুয়েত-সৌদি সীমান্তে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করে আমেরিকা। এরপরে অন্যান্য দেশেও সৈন্য সমাবেশ ঘটায় আমেরিকা। মধ্যপ্রাচ্যে অশান্তির সৃষ্টি করে সেটা হলো পশ্চিমারা তাদের দেশে তেলের সরবরাহ ঠিক রাখে। শুধুমাত্র মধ্যপ্রাচ্যের তেল ও গ্যাসের দখল পেতে আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেন এবং রাশিয়ার খেলার মাঠ এখন মধ্যপ্রাচ্য। ইরান শিয়াদের মাঝে অস্ত্র তুলে দিচ্ছে, সৌদি আরব সুন্নিদের হাতে অস্ত্র তুলে দিচ্ছে, আমেরিকা তুলে দিচ্ছে কুর্দিদের হাতে এবং ইসরাইল তুলে দিচ্ছে জঙ্গিদের হাতে। তাই কোথাও শিয়া-সুন্নি যুদ্ধ চলছে। কোথাও আইএস-মিলিশিয়া যুদ্ধে লিপ্ত। আরব ভূখণ্ডে ইসরাইল সৃষ্টি, রাসায়নিক অস্ত্রের দোহাই দিয়ে ইরাক দখল, শিয়া-সুন্নি লড়াই, আল-কায়েদা ও আইএস সৃষ্টি, লেবাননে গৃহযুদ্ধ, সিরিয়ায় পারমাণবিক অস্ত্রের অজুহাতে এক যুগের যুদ্ধ এবং ইয়েমেনের সুন্নি ও হুতি বিদ্রোহীদের সংঘাত; সবকিছুই তেলের দখল পেতে। জাতিতে জাতিতে বিভেদ সৃষ্টি করে যুদ্ধ আর সহিংসতার মধ্যে ঠেলে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে ফায়দা নিচ্ছে বহিঃশক্তি। তাই মধ্যপ্রাচ্যের এই লড়াই থামবার নয়। আরেকটি বিশ্বযুদ্ধ কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্রের পরিবর্তন ছাড়া এই লড়াই কখনোই থামবে না। ইসরাইল যতদিন থাকবে, ততদিন মধ্যপ্রাচ্যে শিয়া-সুন্নি লড়াই থাকবে। মধ্যপ্রাচ্যের প্রাকৃতিক সম্পদই ওই অঞ্চলের প্রতি লোভী করে তুলেছে পশ্চিমাদের যে কথা জোর গলায় বলাই যায়। তাই মধ্যপ্রাচ্যের জনগণের করণীয় হবে, জাতি, গোষ্ঠী, ভাষা, এবং রাষ্ট্রীয় সীমানা ভুলে ইসলামকে আঁকড়ে ধরা। যদি সব দেশ সব জাতি সব ভাষার মানুষ একত্রিত হতে পারে তবেই আসবে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি। কারণ মধ্যপ্রাচ্যের সব মানুষের একটাই সাধারণ পরিচয়, তারা সবাই মুসলিম। তাই ইসলামই দিতে পারে তাদের একতার ভিত্তি, দিতে পারে শান্তির গ্যারান্টি। মধ্যপ্রাচ্য কোনো রক্তের হোলি খেলার মাঠ নয় তা পশ্চিমা বিশ্বকে জানিয়ে দেওয়ার সময় এখনই।
লেখক: প্রকৌশলী ও কলাম লেখক।