ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অভিমত

পড়ালেখা হোক জানার জন্য, পাসের জন্য নয়

ইমন হাওলাদার
পড়ালেখা হোক জানার জন্য, পাসের জন্য নয়

একটি মানুষ যেমন মেরুদণ্ড হীন অবস্থায় সোজা হয়ে দাঁড়াতে পাড়ে না। তেমনি সুশিক্ষা ছাড়া একটা জাতি ভঙ্গুর। পড়ালেখার আবির্ভাব তখন থেকে শুরু হয়, যখন থেকে মিশরীয়রা হায়ারোগি�ফিক লিখন পদ্ধতির আবিষ্কার করে। যার বর্ণ ছিল ২৫টি। প্রাচীন যুগে লিখন পদ্ধতির আবিষ্কারের মাধ্যমে গণিত, জ্যামিতি, জ্যোতি বিদ্যা, ভূগোল, চিকিৎসা বিদ্যার সূচনা হয়। ধীরে ধীরে অন্য সববিষয় ভিত্তিক কোর্সযুক্ত হয়। একটা জাতি বিশ্বের বুকে তখনি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পাড়ে, যখন তার দেশের জনগণ সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়।

শিক্ষাকে জাতির মেরুদণ্ড হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। দেশের মানুষকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার মাধ্যমে দেশের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব। একটি দেশকে জাতির কাছে তুলে ধরতে চাই শিক্ষিত জনসম্পদ। বর্তমান শিক্ষার্থী সমাজ পড়ালেখার ভাবার্থ সম্পর্কে অবগত না। তারা জানেই না পড়ালেখার আবির্ভাব কিসের জন্য। পড়ালেখার মূল উদ্দেশ্য কী? বর্তমান শিক্ষার্থী সমাজের কাছে পড়ালেখা করা মানে। ভবিষ্যতে সুন্দর একটা চাকরি করে, সুন্দর জীবন ব্যবস্থা গঠন করা। তারা জানেই না পড়ালেখা মানি নিজেকে জানা, নিজেকে চেনা, বিশ্ব সম্পর্কে অবগত হওয়া। শিক্ষা মানুষের জীবনের চলার পথকে সহজ করে দেয়। শিক্ষা মানুষকে ভালো মন্দের পার্থক্য করতে শেখায়। শিক্ষা মানুষকে মনুষ্যত্ব বিকাশের ক্ষেত্রে কার্যকরি ভূমিকা পালন করে থাকে। শিক্ষা মানুষকে প্রকৃত মানুষ হতে শেখায়। সুশিক্ষায় শিক্ষিত মানুষ কখনোই তার চারপাশে বিচরণকৃত জীব, জন্তু, উদ্ভিদ এর অমঙ্গল কামনা করতে পাড়ে না। সে চায় পৃথিবী থেকে দূর হোক সব অমঙ্গল, অপশক্তির। বিশ্বে স্থান পাক শান্তির সুবাতাস। কিন্তু আমাদের বর্তমান শিক্ষার্থীরা পাস করার জন্য পড়ে; নিজেকে জানার জন্য নয়। তাইতো একাডেমিক পাঠ্য সূচিতে আবদ্ধ থাকে ১০ থেকে ১৭ বছর। তারা অতিরিক্ত মুখস্থ বিদ্যায় পারদর্শী হয়ে উঠছে। তারা বরাবরি একাডেমিতে ভালো রেজাল্ট করে। কিন্তু তাদের ভেতরে সৃজনশীলতার অভাব। যার ফলে তারা তাদের সঠিক গন্তব্যে পৌঁছাতে পাড়ে না। হয়ে উঠে অক্ষর জ্ঞান সম্পূর্ণ অশিক্ষিত জনসম্পদে। তাই আমাদের উচিত একাডেমিভিত্তিক বইয়ের পাশাপাশি অন্য বই পাঠ করা। যাতে করে আমরা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে পাড়ি। দক্ষ জনসম্পদ রূপান্তরিত করেন চাই কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা। ছেলে মেয়েদের কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। তাদের নতুনত্বের সন্ধানে নিয়োজিত করতে হবে।

শিক্ষার্থী

ঢাকা কলেজ

ইতিহাস বিভাগ (২০২০-২১)

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত