আশ্রয়ণ প্রকল্প ভূমিহীন গৃহহীন ছিন্নমূল মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল

সৈয়দ ফারুক হোসেন, রেজিস্ট্রার, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

বাংলাদেশের দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন ও দারিদ্র্য বিমোচনের ম্যাজিক বা রহস্য হলো বর্তমান সরকারের তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের নীতিকৌশল এবং নানা ইতিবাচক উদ্যোগ। শেখ হাসিনার শাসনামলে দেশে রেকর্ড পরিমাণ উন্নয়ন হয়েছে। খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, মূল্যবোধ, কৃষি, অর্থনীতি, রেমিট্যান্স, বিদ্যুৎ, বৈদেশিক সম্পর্কের উন্নয়নসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই দেশবাসীকে যুগান্তকারী সাফল্য এনে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প (আশ্রয়ণ প্রকল্প নামেও পরিচিত), বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন একটি সরকারি প্রকল্প যার মাধ্যমে ভূমিহীন ও গৃহহীন এবং যার জমি আছে- ঘর নেই, এমন পরিবারের জন্য বাসস্থান নির্মাণ করা হয়। সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলোকে উন্নয়নের মূল ধারায় নিয়ে আসার জন্য শেখ হাসিনা সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। সমাজের মূলধারার মানুষের সঙ্গে জলবায়ু উদ্ধাস্তু‘, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, তৃতীয় লিঙ্গ, ভিক্ষুক, বেদে, দলিত, হরিজনসহ সমাজের পিছিয়ে পড়া অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষের জন্যও জমিসহ ঘর দেয়া করা হচ্ছে। এটি বিশ্বের বৃহত্তম সরকারি পুনর্বাসন প্রোগ্রাম। আজ সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও আশ্রয়ণ প্রকল্প একটি একক প্রচেষ্টা। গৃহের জমির মালিকানা স্বামী-স্ত্রীর নামে দিয়ে দেওয়া হয়। জমির রেজিস্ট্রেশন, মিউটেশন ও দাখিলা পর্যন্ত তাদের নামে করে দেওয়া হয়। তাই গৃহের রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রয়োজনীয় সংস্কারের দায়িত্বও তাদের দেওয়া হয়। শুধু সরকারি খাস জমিতেই আশ্রয়ণ প্রকল্পের গৃহ নির্মাণ করা হচ্ছে না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্ট থেকেও জমি ক্রয় করে এই প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সহায়তাও গ্রহণ করা হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সুবিধাবঞ্চিতদের সহায়তার জন্য অসংখ্য উদ্যোগ নেয়া হলেও ঠিকানাবিহীনদের নামে সরকারি জমিতে মালিকানা হস্তান্তর করে বিদ্যুৎ ও স্যানিটারি সুবিধাসম্বলিত বাড়ি নির্মাণের জন্য অর্থ প্রদান করে স্থায়ীভাবে এ ধরনের বাড়ি নির্মাণের নজির নেই। প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন। প্রশিক্ষণ ও ঋণ প্রদানের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহে সক্ষম করে তোলার পাশাপাশি আয়বর্ধক কার্যক্রম সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণ। ১৯৯৭ সালে প্রকল্পের শুরু থেকে এ পর্যন্ত শুধু আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ব্যারাক, ফ্ল্যাট, বিভিন্ন প্রকার ঘর ও মুজিববর্ষের একক গৃহে মোট ৫ লাখ ৫৪ হাজার ৫৯৭টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরেই ১৯৭২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন নোয়াখালী বর্তমান লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চরপোড়াগাছা গ্রামে ভূমিহীন-গৃহহীন, অসহায় ছিন্নমূল মানুষের পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু হয়। বঙ্গবন্ধু হত্যার দীর্ঘ ২১ বছর পর তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে বঙ্গবন্ধুর জনবান্ধব ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রমগুলো পুনরায় শুরু করেন। তাই তিনি ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের মডেল’ সামনে এনে পিছিয়ে পড়া ছিন্নমূল মানুষকে মূলধারায় আনার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৭ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা কক্সবাজার জেলার সেন্টমার্টিনে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ক্ষতিগ্রস্ত’ মানুষের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেন এবং একই বছর তিনি সারা দেশের গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে শুরু করেন ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প’। উপার্জন ক্ষমতা ও সঞ্চয় বৃদ্ধি করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করাসহ সম্মানজনক জীবিকা ও সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা। নারীদের জমিসহ ঘরের অর্ধেক মালিকানা দিয়ে নারীর ক্ষমতায়ন করে আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদাবোধ অর্জন করা। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়িয়ে মানবসম্পদ উন্নয়ন করা। ব্যাপকহারে বনায়ন ও বৃক্ষরোপণ করে পরিবেশের উন্নতি সাধন করাসহ গ্রামেই শহরের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা। মূলত এই বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নরূপের দ্বারা ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পের’ মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ভূমিহীন-গৃহহীন-ছিন্নমূল মানুষকে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের আওতায় আনছেন। সমাজের অনগ্রসর পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে ২ শতক জমির মালিকানাসহ সেমিপাকা একক ঘর প্রদান করা হচ্ছে। জমিসহ ঘরের মালিকানা পেয়ে তারা অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রক্রিয়া নিয়োজিত করেছেন। ফলে এসব পিছিয়ে পড়া মানুষের জীবনমান উন্নততর হচ্ছে। উন্নয়নের মূলধারায় নারীদের সম্পৃক্ত করা ও নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিতকরণে আশ্রয়ণের বাড়ি ও জমির মালিকানা স্বামী-স্ত্রীর যৌথ নামে দেয়া হচ্ছে। জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ। জাতির পিতার সেই স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। জাতির পিতার জন্মশতবর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য ছিল কেউ গৃহহীন থাকবে না। সবার থাকার ব্যবস্থা করে দেবে সরকার। আর সেই লক্ষ্য অর্জন করতেই সব কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, ‘জাতির পিতার জন্মশতবর্ষে আমাদের অঙ্গীকার, দেশে একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। প্রত্যেক মানুষকে আমি যেভাবেই পারি, একটা চালা হলেও করে দেব।’ তিনি আরো বলেছিলেন, ‘আমরা আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ঘর করে দিচ্ছি। শুধু এখানে বলেই না, সারা বাংলাদেশেই কোথায় গৃহহীন ভূমিহীন মানুষ আছে, তাদের আমরা পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিচ্ছি। পাশাপাশি যাদের জমি আছে, তাদেরও ঘর করে দেওয়ার জন্য গৃহায়ণ তহবিল নামে বাংলাদেশ ব্যাংকে একটা তহবিল করা আছে। সেখান থেকে যে কেউ বা যেকোনো প্রতিষ্ঠান টাকা নিয়ে ঘর করতে পারে। শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, সুদক্ষ বিচক্ষণতা, যোগ্যতা, নিষ্ঠা, মেধা-মনন-সৃজনশীলতা ও দূরদর্শী নেতৃত্বে অসহায়, নিপীড়িত, নির্যাতিত, সহায় সম্বলহীন উদ্বাস্ত’ দারিদ্র্য-দুর্ভিক্ষে জর্জরিত বাংলাদেশের মানুষ আজ বিশ্বজয়ের নবতর অভিযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে। প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ২০২০ সালের মে মাসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পরিচালিত আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পটি শুরু হয়। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে এই প্রকল্পের প্রথম ধাপে ৬৩ হাজার ৯টি একক পরিবারের বাড়ি হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী। এটি চলার সময়, ৭৪৩ ব্যারাকে ৩ হাজার ৭১৫ পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য রাখা হয়েছিল। একই বছরের জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী দ্বিতীয় পর্যায়ের ৫৩ হাজার ৩৩০টি বাড়ি হস্তান্তর করেন। তৃতীয় পর্যায়ে ৬৫ হাজার ৬৭৪টি বাড়ি নির্মাণ করা হয়। চলতি বছরের মার্চ মাসে চতুর্থ ধাপের ৩৯ হাজার ৩৬৫টি বাড়ি হস্তান্তর করা হয়। এই পর্যায় থেকে অবশিষ্ট বাসস্থানগুলো কীভাবে বিতরণ করা হবে তা নির্ধারণ করা হবে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে চারটি ধাপে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৮৫১ পরিবার বাড়ি ও জমি পেয়েছে। ১১ লাখ ৯৪ হাজার ০৩৫ পুনর্বাসন হয়েছে, প্রতিটি পরিবারে গড়ে পাঁচজন। প্রাপকের সংখ্যা এবং পুনর্বাসনের ধরন অনুসারে, এটি বিশ্বের বৃহত্তম সরকারি পুনর্বাসন প্রোগ্রাম। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আগ্রহের এ প্রকল্পটিতে মুজিববর্ষে আরো সংযোজন করা হয় ৪০০ বর্গফুট আয়তনের দুইকক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা একক গৃহ। এই ঘরে সুপরিসর দুটি কক্ষের সামনে টানা বারান্দা এবং পেছনে রয়েছে রান্নাঘর ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটারি ল্যাট্রিন। বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগের পাশাপাশি পুনর্বাসিতদের জন্য রয়েছে নিরাপদ সুপেয় পানির ব্যবস্থা। ক্লাস্টারভিত্তিক স্থাপিত প্রকল্প গ্রামগুলোতে সুনির্দিষ্ট দৃষ্টিনন্দন লে-আউটের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ রাস্তা, কমিউনিটি সেন্টার, পুকুর, খেলার মাঠ প্রভৃতি নিশ্চিত করা হয়। সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ : সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় মুক্তিযোদ্ধা, বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতাসহ অন্যান্য কর্মসূচির সুবিধা প্রাপ্তির বিষয়টি অগ্রাধিকারসহ বিবেচনা করা হয়। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনের পথে আশ্রয়ণ প্রকল্পের অসামান্য ভূমিকা রয়েছে, একটি ভূমিহীন পরিবারের সামনে শুধু একটি ঘর পাওয়ার মাধ্যমে দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র থেকে বের হয়ে আসর অপার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। এর মাধ্যমে একটি ছিন্নমূল পরিবার নিরাপদ বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারীর ক্ষমতায়ন, নারীর অধিকারের মতো বিষয়গুলোতে অন্তর্ভুক্তির সুযোগ পাচ্ছে, ফলে প্রধানমন্ত্রীর উদ্ভাবন আশ্রয়ণ প্রকল্প অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং চতুষ্পদী চিন্তাধারা বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারাকে করেছে আরো ত্বরান্বিত এবং শত শত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে উন্নতির চরম শিখরে। প্রধানমন্ত্রী একদিকে যেমন মানবতার সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে যাচ্ছেন, অন্যদিকে উদ্ধাস্তুদের দিচ্ছেন বাসস্থান, আরেকদিকে দেশের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে প্রতিদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে দাপ্তরিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন এবং নিজেই তদারকি করছেন সবকিছু। উন্নয়নশীল বিশ্বের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বাংলাদেশের ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প। ‘আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তার নেতৃত্বে দেশের অর্থনীতি আজ চাঙা হয়েছে। তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে বিশ্বের কাছে পরিচিত বাংলাদেশ আজ মধ্যআয়ের দেশে পরিণত হচ্ছে। বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে আজ মডেল ইকোনমিক কান্ট্রি। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি এবং গণতন্ত্র বিকাশে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অবদান অপরিসীম ও অতুলনীয়। তার দূরদৃষ্টি, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং জনকল্যাণমুখী কার্যক্রমে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। ক্রমাগত প্রবৃদ্ধি অর্জনসহ মাথাপিছু আয় বাড়ছে, কমছে দারিদ্র্যের হার। তার সাহসিকতা এবং নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো বৃহৎ প্রকল্প আলোর মুখ দেখেছে। বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করতে তিনি ‘ভিশন-২০২১’ ও ‘ভিশন-২০৪১’ কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন এবং সে অনুযায়ী বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ ও এর বাস্তবায়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে শেখ হাসিনার এসব যুগান্তকারী কর্মসূচি বাংলার ইতিহাস হয়ে থাকবে।