পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন রক্ষায় করণীয়

ফারিহা হোসেন

প্রকাশ : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

পৃথিবীর অন্যতম ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন এবং দেশের অন্যতম আকর্ষণ পার্বত্য অঞ্চলের বনভূমির আয়তন ও পরিমাণ কমছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রতিবছর ৩৫০টি ফুটবল মাঠের সমান বনভূমি বাংলাদেশ অংশের সুন্দরবন থেকে কমে যাচ্ছে। আয়তন কমে আসায় সুন্দরবনের পরিবেশ ব্যবস্থা দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি কমে আসছে গাছ, লতাগুল্ম, মাছসহ নানা প্রজাতির প্রাণী। এসব বৈরি পরিস্থিতির মধ্যে সুন্দরবন দুর্বল হয়ে পড়ছে। প্রসঙ্গত বহু বছর ধরে সুন্দরবন দুর্বল হয়ে পড়ার ঝুঁকির কথা বলা হলেও কার্যত এর রক্ষায় নেওয়া হচ্ছে না কোনো ব্যবস্থা। স্বাদু ও লোনাপানি মিলিত হয়, এমন ভূমিতে সুন্দরবনের মতো বন গড়ে ওঠে। বনবিজ্ঞানীরা এ ধরনের বনের নাম দিয়েছেন ম্যানগ্রোভ। বিশ্বের আরো বেশ কিছু সমুদ্র উপকূলে ম্যানগ্রোভ আছে। কিন্তু সুন্দরবনের মতো এত বড় ম্যানগ্রোভ বন বিশ্বের আর কোথাও নেই। তথ্য অনুযায়ী বৃহত্তর খুলনা (খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা) জেলার গেজেটিয়ার লেখার কাজ শুরু হয়েছিল ১৯৭০ সালে। ১৯৭৮ সালে ছাপা ওই গেজেটিয়ারে বলা হয়েছিল, নির্বিচার বনসম্পদ লুট ও প্রাণী হত্যা বন্ধ না হলে সুন্দরবন বিবর্ণ, বৃক্ষলতাহীন, প্রাণহীন হয়ে পড়বে। পাঁচ দশক পর পরিস্থিতি ততটা মারাত্মক না হলেও সুন্দরবনের প্রাণপ্রাচুর্য কমছে। গবেষকরা বলছেন, সুন্দরবনের কিছু গাছ, প্রাণী ও পাখি বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বঙ্গোপসাগর উপকূলের বড় অংশজুড়ে সুন্দরবন। সরকারি দলিল অনুযায়ী, সুন্দরবনের ৬০ শতাংশ বাংলাদেশে, বাকি ৪০ শতাংশ পশ্চিমবঙ্গে। বাংলাদেশ অংশের সুন্দরবনে গাছ, লতাগুল্ম, পাখি, প্রাণী, মাছসহ অন্যান্য জলজ প্রাণীর প্রজাতির সংখ্যা বেশি।

২০২০ সালে বিশ্বব্যাংক তাদের এক প্রতিবেদনে সুন্দরবনের আয়তন কমে আসার তথ্য প্রকাশ করে। জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সুন্দরবন ও বনসংলগ্ন এলাকার মানুষের টিকে থাকার বিষয়ে প্রতিবেদন করা হয়েছিল। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯০৪-১৯২৪ সালে দুই দেশের সুন্দরবনের আয়তন ছিল ১১ হাজার ৯০৪ বর্গকিলোমিটার। ১৯৬৭ সালে তা কমে হয় ১১ হাজার ৬৬৩ বর্গকিলোমিটার। ২০০১ সালে আয়তন কমে দাঁড়ায় ১১ হাজার ৫০৬ বর্গকিলোমিটারে। ২০১৫-১৬ সালে আয়তন ছিল ১১ হাজার ৪৫৩ বর্গকিলোমিটার। অর্থাৎ গত ১০০ বছরে সুন্দরবনের আয়তন ৪৫১ বর্গকিলোমিটার কমে গেছে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের সুন্দরবনের আয়তন কমে যাওয়ার পৃথক কোনো পরিসংখ্যান দেওয়া হয়নি। তবে ওই পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১৯০৪-১৯২৪ সালে বাংলাদেশ অংশের সুন্দরবনের আয়তন ছিল ৭ হাজার ১৪২ বর্গকিলোমিটার। ২০১৫-১৬ সালে আয়তন কমে ৬ হাজার ৮৭১ বর্গকিলোমিটারে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ ১০০ বছরে সুন্দরবনের ২৫২ বর্গকিলোমিটার হারিয়ে গেছে। এর হিসাবে প্রতিবছর আড়াই বর্গকিলোমিটারের মতো বন হারিয়ে যাচ্ছে। এ পরিমাণ জমির আয়তন আন্তর্জাতিক ফুটবল সংস্থা ফিফার ৩৫০টি ফুটবল মাঠের সমান। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের গবেষণা সংস্থা সিজিআইএসের গবেষণায় দেখা গেছে, সুন্দরবনের আয়তন কমছে, জলাভূমি বাড়ছে। বনাঞ্চলে ঘুরে এবং উপগ্রহের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২৭ বছরে ৭৬ বর্গকিলোমিটার জমি কমেছে সুন্দরবনের।

তবে বনের জমি কমে আসার বিষয়টি স্বীকার করতে চায় না বন বিভাগ। বনের আয়তন কমছে কি না, সে বিষয়ে সহমত বা দ্বিমত পোষণ করা যায় না। ভূতত্ত্ববিদরা বলছেন, দেশের কিছু এলাকাসহ সুন্দরবন হচ্ছে গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার ‘অ্যাকটিভ ডেলটা’ অঞ্চলে। অর্থাৎ এই বদ্বীপ এলাকায় ভূগঠন প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। এই অঞ্চলের ভূমি এখনো ভাঙা-গড়ার মধ্যে আছে। সুন্দরবনের মধ্যে ছোট-বড় অসংখ্য নদী ও খাল রয়েছে। জালের মতো বিছানো এসব খাল-নদীর মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার। এসব নদী-খাল দিনে দুবার জোয়ারের পানিতে ভরে ওঠে, দুবার ভাটায় পানি নেমে যায়। জোয়ার ভাটার কারণে নদীর পাড় ভাঙে-গড়ে। তবে বিগত ১০০ বছরে ভাঙনই বেশি লক্ষ্য করা গেছে। নদীভাঙনের কারণে বনের জমি কমছে এমন তথ্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার।

শুধু আয়তনের কারণে নয়, জীববৈচিত্র্যের জন্যও সুন্দরবন অনন্য। বিশ্বব্যাংকের ২০২০ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বনে ৫২৮ প্রজাতির বৃক্ষ ও লতাগুল্ম আছে, আছে ৩০০ প্রজাতির পাখি। ৫৮ প্রজাতির সরীসৃপ, ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী এবং ৯ প্রজাতির উভচর প্রাণী সুন্দরবনে চরে বেড়ায়। সুন্দরবনের নদী-খালে ২৫০ প্রজাতির মাছ আছে। আছে বহু প্রজাতির কীটপতঙ্গ, কাঁকড়া, শামুক-ঝিনুক। আছে নানা ধরনের ছত্রাক, শেওলা। কিন্তু চার দশক ধরে সুন্দরবনে উত্তর থেকে আসা স্বাদুপানির পরিমাণ কমেছে, লোনাপানির প্রবাহ বেড়েছে। এর ফলে লোনাপানি সহিষ্ণু গাছ ও লতাগুল্মের প্রজাতি টিকে থাকার সম্ভাবনা বেড়েছে। কমেছে বা ঝুঁকিতে পড়েছে স্বাদুপানি বা ব্রাকিস সহিষ্ণু প্রজাতিগুলো। সাম্প্রতিককালে বেশি আলোচনা হচ্ছে, রামপাল কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্র ঘিরে। উৎপাদন শুরু হলে বিদ্যুৎকেন্দ্রের পোড়া কয়লার ছাই সুন্দরবনের ক্ষতি করবে বলে পরিবেশবাদীরা কয়েক বছর ধরে অভিযোগ করে আসছেন। এ ছাড়া মোংলা সমুদ্রবন্দরকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে প্রায় ১০০ শিল্পকারখানা। এসব কারখানার বর্জ্য পশুর নদ হয়ে সুন্দরবনে পৌঁছায়। বড় বড় জাহাজ ছাড়াও অসংখ্য নৌযান নিয়মিত যাতায়াত করে পশুর নদ দিয়ে। সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে জাহাজসহ সব নৌযান চলাচল করায় উচ্চ শব্দ বনের নিস্তব্ধতা ভাঙে। তদুপরি সুন্দরবনে আছে শিকারির উৎপাত। মাছ ধরার নামে জলজ প্রাণী নিধনও চলছে। জেলেরা ছোট ছোট খালে বিষ ঢেলে মাছ শিকারীদের উৎপাত। এতে মাছের সঙ্গে অন্যান্য জলজ প্রাণীও মরছে। মানুষের এসব কর্মকাণ্ড ছাড়াও সুন্দরবনে আঘাত হানে ঝড়-জলোচ্ছ্বাস। ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে শুধু যে গাছের ক্ষতি হয় তা নয়, পশুপাখিরও প্রাণহানি ঘটে। পরিবেশবিজ্ঞানীরা বলছেন, বছর বছর ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের সংখ্যা বাড়ছে। প্রকৃতিবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইইউসিএনের তথ্য উদ্ধৃত করে বিশ্বব্যাংক বলছে, সুন্দরবন থেকে ১৯ প্রজাতির পাখি, ১১ ধরনের স্তন্যপায়ী ও এক প্রজাতির সরীসৃপ আঞ্চলিকভাবে বিলুপ্ত হয়েছে। বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকা মাছ ও গাছের প্রজাতির বর্ণনাও তাতে আছে। সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটের গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৮৯ সালে সুন্দরবনে ঘন বন ছিল ৬৩ শতাংশ। ২০১৪ সালে তা কমে হয় ৩৮ শতাংশ। বিশ্বব্যাংকের গবেষণায় যুক্ত পরিবেশ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আইনুন নিশাত বলেন, শত শত বছর ধরে সুন্দরবন ঝড়-ঝর্ঞ্ঝা থেকে মানুষকে রক্ষা করে চলেছে। বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে ও অর্থনীতিতে এর অবদান অপরিসীম। দেশে ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট দেশের বাস্তুতন্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এবং এর একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। দেশের ম্যানগ্রোভ বনগুলো অসংখ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল বিশেষ করে মানুষের কার্যকলাপ এবং প্রাকৃতিক কিছু কারণে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছিল।

এর মধ্যে বন উজাড় ম্যানগ্রোভ বনের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাঠ, জ্বালানি কাঠ এবং কৃষি জমির চাহিদা ব্যাপকভাবে ম্যানগ্রোভ গাছ কাটার দিকে মানুষকে পরিচালিত করে। এ কারণে অসংখ্য প্রজাতি তাদের আবাসস্থল হারিয়েছে এবং পরিবেশগত ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়েছে। ম্যানগ্রোভ বনকে চিংড়ির খামারে রূপান্তরিত করার ফলে বাস্তুতন্ত্রের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। চিংড়ি চাষের জন্য বাঁধ ও খাল নির্মাণ প্রাকৃতিক জলপ্রবাহের ধরনকেও ব্যাহত করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ ঘূর্ণিঝড় ও প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ। ২০০৭ সালে প্রলয়ঙ্করি ঘূর্ণিঝড় সিডর এবং ২০০৯ সালে ঘূর্ণিঝড় আইলায় গাছ উপড়ে এবং লোনা জলের অনুপ্রবেশসহ ম্যানগ্রোভ বনের ব্যাপক ক্ষতি করে। ২০১৪ সালে তেলবাহী ট্যাংকার সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে ডুবে গেলে বিপুল পরিমাণ জ্বালানি তেল, শ্যালা নদী দিয়ে সমগ্র সুন্দরবনে ছড়িয়ে পড়ে। এতে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যের ওপর নেমে আসে এক গাঢ় অন্ধকার।

স্থানীয় সম্প্রদায়গুলো ম্যানগ্রোভ বন সংরক্ষণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বনের ওপর নির্ভরতা কমাতে এবং তাদের টেকসই ব্যবহারকে উন্নীত করতে সম্প্রদায়ভিত্তিক উদ্যোগ এবং টেকসই ব্যবস্থাপনা অনুশীলন বিশেষ করে সহ-ব্যবস্থাপনা এবং জীবিকার বিকল্প প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সরকার ম্যানগ্রোভ বন সংরক্ষণকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। বন উজাড়, অবৈধ গাছ কাটা এবং চোরাচালান নিয়ন্ত্রণের বিধান বাস্তবায়ন জরুরি। ম্যানগ্রোভ সম্পদের টেকসই ব্যবহার সংরক্ষণ এবং জীবিকার চাহিদার ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য প্রচারণা চালানো হচ্ছে। ইকোট্যুরিজম, মৌমাছি পালন, কাঁকড়া চাষ এবং মধু উৎপাদনের মতো পরিবেশবান্ধব কাজে জড়িত হতে সম্প্রদায়গুলোকে উৎসাহিত করা দরকার। বাংলাদেশের ম্যানগ্রোভ বন জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে, এর মধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং ঘূর্ণিঝড়ের ঘনত্ব ও তীব্রতা হ্রাস করে। এ ছাড়া কাঠ, জ্বালানি ও মণ্ডের মতো প্রথাগত বনজসম্পদের পাশাপাশি এখান থেকে নিয়মিত আহরণ করা হয়, বিপুল পরিমাণ গোলপাতা, মধু, মৌচাকের মোম, মাছ, কাঁকড়া এবং শামুক-ঝিনুক। বৃক্ষরাজি পূর্ণ সুন্দরবনের ভূমি একইসঙ্গে প্রয়োজনীয় আবাসস্থল, পুষ্টি উৎপাদক, পানি বিশুদ্ধকারক, পলি মাটি সঞ্চয়কারী, ঝড় তুফান প্রতিরোধক, উপকূল স্থিতিকারী শক্তিসম্পদের বিপুল আঁধার এবং দারুণ সম্ভাবনাময় পর্যটনকেন্দ্র। দেশের কৃষিপ্রধান উপকূলীয় অঞ্চলের অর্থনীতির সুরতহাল রিপোর্ট পর্যালোচনায় করলে প্রতীয়মান, জাতীয় অর্থনীতির আন্তঃসলিলা শক্তির উদ্বোধন যার হাতে; সেই সুন্দরবন বেদনায় বিবর্ণ।

সমুদ্র, নদীমেখলা প্রকৃতি আর শ্যামল-সবুজ পরিবেশের সংমিশ্রণে উপকূল অঞ্চলসহ গোটা দেশের, সমাজের, অর্থনীতির জন্য অনিবার্য অবকাঠামো শুধু নয়, উন্নয়ন প্রচেষ্টায় ভারসাম্য রক্ষার জন্যও অপরিহার্য। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সুন্দরবনে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। সুন্দরবন সুরক্ষায় সরকারের যথাযথ উদ্যোগ প্রয়োজন। তবে উষ্ণায়নের প্রভাবে, তাপমাত্রার পবির্তনের তারতম্যে সমুদ্রের তলদেশ স্ফীত হয়ে ওঠার ফলে পরিবেশ ভারসাম্যহীনতার ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থা বিশ্বের প্রায় সব সমুদ্র উপকূল বেষ্টনীতে বিরাজমান। এ অবস্থা বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী বাংলাদেশের জন্য অশনিসংকেত। এতে দেশের নিম্নাঞ্চল জলোচ্ছ্বাসের শুরুতেই তলিয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে সুন্দরবনের প্রাণিবৈচিত্র্যও বিপন্ন হতে চলেছে। আমাদের মনে রাখা উচিত মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশ ও বিভিন্ন জীবজন্তুর পদচারণায় সমৃদ্ধ সুন্দরবন পর্যটকদের জন্য আজো আকর্ষণীয় স্থান হিসেবে বিবেচিত। সুন্দরবনকে ঘিরে পরিবেশবান্ধব ইকো ট্যুরিজম গড়ে তোলা, আশপাশের জনগোষ্ঠীর জন্য বিকল্প জীবিকার উদ্যোগ নেওয়া, পর্যটনভিত্তিক গ্রাম গড়ে তোলা, বনের আকার বাড়ানো এবং বন রক্ষায় বিদ্যমান আইনের কঠোর প্রয়োগ এবং এ সংক্রান্ত পরিকল্পনাকে বাস্তবে রূপ দেওয়া অত্যাবশ্যক।

ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক ও কলাম লেখক।