স্মার্ট বাংলাদেশ মেলা

সবার আগে দরকার ডিজিটাল কানেক্টিভিটি

প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশের নাগরিক আমরা। প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার বিকাশে আজ বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। মানুষ এখন ঘরে বসে সর্বাধুনিক সেবা পাচ্ছে। সরকারের দেয়া বিভিন্ন সেবা, চিকিৎসাসেবা, এমনকি আর্থিক লেনদেন এবং মানুষের জাতীয় পরিচয়পত্রের সংক্রান্ত বিষয় ছাড়াও করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণ সংক্রান্ত বিভিন্ন সেবা আমরা অনায়াসে পেয়ে যাচ্ছি। পুরো জীবনাচরণ আজ ডিজিটাল নেটওয়ার্কের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে। প্রযুক্তির ওপর আমরা এখন পুরোপুরি নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছি। জীবনকে আরো কীভাবে আরো সহজে প্রযুক্তিনির্ভর করা যায়, সেটি বাতলে দিতে দেশে প্রথমবারের মতো স্মার্ট বাংলাদেশ মেলার আয়োজন করা হবে আগামী মাসে। মানুষকে কোনো একটা বিষয়ে সচেতন করে তোলার লক্ষ্যে মেলার আয়োজন করা হয়। আমাদের দেশে প্রায় সারা বছরই কোনো না কোনো মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। এই মেলাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সেমিনার, কর্মশালা, র‌্যালি এবং পোস্টারিং করা হয়। এতে মানুষের মধ্যে বিষয়ভিত্তিক সচেতনা বৃদ্ধি পায়। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারে ছিল ২০২১ সালের লক্ষ্য ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরের রূপকল্প ঠিক হয়েছে ২০৪১ সালে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’।

সেই স্মার্ট বাংলাদেশের যাত্রাপথ, পথরেখা, ভিত্তি বা স্তম্ভ ইত্যাদি নিয়ে দেশে আয়োজন করা হচ্ছে- ‘স্মার্ট বাংলাদেশ মেলা’। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আগামী ২৬ থেকে ২৮ অক্টোবর এই মেলা অনুষ্ঠিত হবে। মেলার আয়োজক ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। বাস্তবায়নে থাকবে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। আর সহযোগিতায় থাকবে, দেশের ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসবিএবি। চলতি বছরের জানুয়ারিতে এবং ২০২০ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া বরাবরই অনুষ্ঠিত হয়েছে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড। ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ মেলার প্রাসঙ্গিতায় বলা যেতে পারে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ পর্ব শেষ হয়েছে। আমাদের পরবর্তী ধাপে যেতে হবে। পরবর্তী ধাপটাই স্মার্ট বাংলাদেশ। স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভের কথা বলা হয়েছে, এগুলো হলো : স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সোসাইটি। মেলায় প্রতিটি স্তম্ভের বিস্তারিত বিভিন্ন উপায়ে তুলে ধরা হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ বিষয়টি কী, তা এই মেলার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে স্পষ্ট হবে বলে মেলা আয়োজকের আশা। তবে সবার আগে দরকার ডিজিটাল কানেক্টিভিটি। এটার ওপর দাঁড়াতে পারলে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ পাব।

আমাদের কাজে-কর্মে, জীবন-যাপনে, সর্বস্তরে এমনকি প্রতিটি মানুষে, প্রতি ইঞ্চি জায়গায় কানেক্টিভিটি থাকতে হবে। তবেই আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ পাব।’ স্মার্ট বাংলাদেশ মেলার আয়োজন করে বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান, বাস্তব চিত্র, কোথায় যেতে চায়, কী কী প্রয়োজন, স্মার্ট বাংলাদেশ হলে তখনকার বাংলাদেশের চিত্র তুলে ধরা হবে। ২০২২ সালের ৭ এপ্রিল ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশের কথা উল্লেখ করেন। ওই বৈঠকে বলা হয়, ‘রূপকল্প ২০৪১ : স্মার্ট বাংলাদেশ’। ডিজিটাল বাংলাদেশের পরের ধাপে যাওয়ার জন্য সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়। ২০২২ সালের ২১ আগস্ট স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়। একই বছরের ১৮ অক্টোবর স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের নির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়। ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর স্মার্ট বাংলাদেশের ঘোষণা দেওয়া হয় এবং একই মাসে স্মার্ট বাংলাদেশের মাস্টার প্ল্যানের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।